তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় বরই চাষে রফিকুলের ভাগ্য বদল

ভালুকায় বানিজ্যিক ভাবে বরই চাষে রফিকুলের ভাগ্য বদল
[ভালুকা ডট কম : ১৯ জানুয়ারী]
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও বড়চালা গ্রামে বানিজ্যিক ভাবে মৌসুমী ফল বরই আবাদ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষক রফিকুল ইসলাম রবি। বাজার মূল্য বেশী থাকায় ভাল লাভে বরই বিক্রি করতে পারছেন এলাকার বরই চাষীরা। আধা পাহাড়ি ভালুকা উপজেলার সর্বত্র এটেল ও দোআঁশ মাটি হওয়ায় বরই সহ বিভিন্ন ফল গাছ যেমনি ভাল জন্মায় তেমনি ফলন বেশী ও সুস্বাদু হয় ।

১৮ জানুয়ারী বুধবার  সরজমিন ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মাটি লাগুয়া ছোট ছোট একডালা গাছগুলি বরইয়ের ভারে নুইয়ে রয়েছে। রোদ লেগে চিক চিক করা কাঁচাপাকা বরই গুলি দেখে জিবে মুচর দিয়ে উঠে। কয়েকজন শ্রমিক বাগান পরিচর্যার কাজ করছিলেন। এগিয়ে আসেন কৃষক রফিকুল ইসলাম রবি । তিনি জানান ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে এক বছর পূর্বে চুয়াডাঙ্গা হতে ১২০/১৫০ টাকা করে ৫৮০ টি বরইয়ের চারা কিনে এনে রোপন করেছেন।

রোপনের ৪ মাসের মধ্যেই গাছে ফুল আসতে শুরু করে। বর্তমানে প্রতিটি গাছ কাঁচা পাকা বরইয়ে টই টুম্বর। তার বাগানে কাশ্মির জাত, বল সুন্দরী, থাই কুল সহ বেশ কয়েক জাতের বরই রয়েছে। জমি বর্গা, ক্ষেত তৈরী,চারা ক্রয়, সার কীটনাশক, পানি সেচ ও শ্রমিক বাবদ এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি হিসেবে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছেন। সামনের দেড় মাসে আরও ২ লাখ টাকার বরই বিক্রি করার আশা করছেন তিনি। তবে মৌসুম শুরু হওয়ায় যে পরিমানে বরই হারভেষ্ট হয় সে তুলনায় বাজারজাত  করা কঠিন হয়ে যায়। দুর দুরান্তের পাইকার না আসায় স্থানীয় হাট হকারদের কাছে কম দামে বরই বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে উপযুক্ত বাজার মুল্য হতে বঞ্চিত হতে হয়। এ ছারাও চলতি মৌসুমে ২ একর জমিতে লাল গোল আলুর আবাদ করেছেন। কিছুদিন পরই ফলন উঠবে। তিনি আশা করছেন প্রায় ৩ লাখ টাকার আলু বিক্রি করতে পারবেন। তিনি জানান উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে আবাদকৃত ফসলের পরিচর্যা করায় ভাল ফলন পেয়েছেন। বরইয়ের আবাদের পাশাপাশি তার বাগানের গাছ হতে কলম করে বানিজ্যিক ভাবে চারা তৈরী করবেন। বরই বাগান দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান হতে লোকজন এসে ভীড় জমায়। তার বাগান দেখে অনেকেই বরই চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। গত বছর কলা চাষ করে লাখ টাকার কলা বিক্রি করেছেন। এ ছারাও বিভিন্ন মৌসুমী সবজি বিক্রি করে মোটামোটি ভাল অর্থ আয় করেন।

এক সময় অর্থ কষ্টে দিন কাটলেও বিভিন্ন ফসল আবাদ করে তিনি এখন স্ত্রী সন্তান নিয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। কৃষি পন্য বিক্রি বরে এক ছেলে ও দুই মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছেন তিনি। তার বাগানের বরই পুষ্টিমানে ভাল হওয়ায় বাজারে ভাল কাটতি রয়েছে। অনেকেই চারা সংগ্রহে ব্যস্ত হওয়ায় মনে হচ্ছে আগামীতে ভালুকায় বরইয়ের আবাদ আরও সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি মনে করেন কৃষি বিভাগ হতে বরই চাষের উপর সঠিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেলে হয়তো আগামীতে ভালুকায় বানিজ্যিক বরই চাষ আরও প্রসার লাভ করবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই