তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে খাল ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণ

নান্দাইলে সরকারি খাল ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণ
[ভালুকা ডট কম : ২৫ জানুয়ারী]
ময়মনসিংহের নান্দাইলে অবৈধভাবে সরকারি খাল ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণ করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকার খাল ও রাস্তা এবং জলাশয় রক্ষার জন্য কঠোর নির্দেশনা থাকলেও সেটির তোয়াক্কা না করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে সরকারি খাল ভরাট করে স্থায়ীভাবে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্বার্থনেষী ব্যক্তিরা।

জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম মৌজাস্থ বেলতলী বাজার নামক স্থানে পানি নিষ্কাসনের সরকারি খালে মাটি ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণ করছে স্থানীয় নজরুল ইসলাম ভূইয়া ও ফজলুর রহমান নামে জনৈক্য দুইজন ব্যক্তি। তবে ফজলুর রহমান সবে মাত্র মাটি ভরাট করেছেন। কিন্তুু নজরুল ইসলাম সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দোকান ঘরের তিনি ৩ ফুট ওয়াল তৈরি করেছেন। ব্যক্তিদ্বয় এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতে চায় না।

সরজমিন পরিদর্শন করে দেখাগেছে, সুরাশ্রম মৌজাস্থ জেএলনং ১৩০ ,বিআরএস খতিয়ান নং ১/১, সাবেক দাগ ১৩৩৬ ও হালদাগ ১৮৯০ সরকারি জায়গায় ইচ্ছা মাফিক দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে উক্ত এলাকায় বসবাসরত প্রায় ২ হাজার ৫০০ শত বাসিন্দার পানি নিষ্কাশন সহ রাস্তা দিয়ে চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হবে বলে এলাকাবাসী অভিযোগে উল্লেখ করে। এছাড়া পানি নিষ্কাসনের অভাবে ফসলি জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাবার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ষাকালে ২/৩টি বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই জন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, অবৈধভাবে সরকারি খাল বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। যাতে করে এরকমভাবে সরকারি জায়গা দখল করার সাহস না পায়।

এলাকাবাসী জানায়, সরকারি খাল ভরাট করাকে কেন্দ্র করে যেকোন সময় এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। সরকারি জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়ে নজরুল ইসলাম ভূইয়াকে জিজ্ঞাসা করলে- তিনি মাটি ভরাট সহ দোকান ঘর তুলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রশাসনের কাউকে অবহিত করেনি। আর আমার বাড়ির সামনে আমি ঘর করেছি, এতে দোষের কি ? সরকার চাইলে দিয়া দিবো।

তবে খাল ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একসময় খাল ছিলো.. এখন নেই। অপরদিকে ফজলুর রহমান বলেন, সবাই বলতেছে জায়গাটি খালি না রেখে, সেখানে মাটি ভরাট করে দোকান ঘর তুলে দেন। তাই মাটি ভরাট করেছি।’ তবে ফজলুর রহমানকেও প্রশাসনের কোন অনুমতি নিতে হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনা সত্য। আমার জানামতে এটা সরকারি জায়গা।’ গাংগাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তুষার কান্তি মজুমদার বলেন, আমাদের স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে, স্যার বললেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এটিএম আরিফুল ইসলামের সাথে সেলফোনে কথা হলে তিনি তাঁর অফিসে যাওয়ার কথা বলে ফোন কল কেটে দেন। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পায়নি। তবে পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই