তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় যত্রতত্র পশু জবাই হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

ভালুকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যত্রতত্র পশু জবাই হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
[ভালুকা ডট কম : ০৪ ফেব্রুয়ারী]
ভালুকা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাস্তার পাশে উন্মুক্ত স্থানে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছে স্থানীয় কসাইরা। এতে করে রোগাক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে জন সাধারণ। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গরু ছাগল জবাইয়ের পূর্বে ভেটেরিনারী পাবলিক হেলথ সাভির্স প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে রোগমুক্ত পশু জবাই করার লক্ষে প্রতিটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ কসাইদের সংগ্রহ করার কথা থাকলেও তারা সেই নির্দেশ মানছেননা। নির্দিষ্ট জবাই খানায় পশু জবাইয়ের কথা থাকলেও ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়ক, হাসপাতাল রোড, খীরু ব্রীজের নীচে উন্মুক্ত স্থানে অবাদে পশু জবাই করা হচ্ছে।

সরজমিন ৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে ভালুকা পৌর এলাকার কয়েকটি কসাইয়ের দোকান ঘুরে এসব অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। থানার মোড় রাজিব নামে একজন কসাই একটি বকনা গরু জবাই করার সময় তার কাছে গরুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডাক্তারী সনদ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। পাশের দোকানের সোহাগ মিয়া মাটিতে গরুর মাংস কাটার সময় আশপাশে কুকুর ঘুরাফিরা করছিল তিনিও গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই জবাই করা গরুর মাংস বিক্রি করছেন বলে জানান। ওই মোড়ে ফারুক নামে আরও একটি দোকানে একই নিয়মে মাংস বিক্রি চলছে। ভালুকা বাজারে সবুজ মিয়া ও হাসপাতাল মোড়ে তারেক কসাই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে মাংস বিক্রি করছেন। এসব মাংস বিক্রেতাদের সবারই এক কথা তারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই দীর্ঘদিন যাবৎ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করে যাচ্ছেন তাদের কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তারা জানায় বর্তমানে গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসীর মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মতিউর রহমান জানান তিনি কয়েক মাস পূর্বে পৌর এলাকা সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের মাংস বিক্রেতাদের নিয়ে একটি মত বিনিময় সভায় স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে রোগমুক্ত পশু জবাই ও এ সংক্রান্ত বিভিন্ন করনীয় বিষয়ের উপর আলোকপাত করে সচেতনতা মূলক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। অসুস্থ্য পশুর মাংস হতে এনথ্রাক্স, টিভি ও জলাতংক রোগ মানুষের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পরতে পারে। এজন্য একটি পশু জবাই করার পূর্বে অবশ্যই ভেটেরিনারী পাবলিক হেলথ সাভির্স এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জবাই করা মাংস বাজারজাত করা জরুরী। কিন্তু কার্যত এ সবের কোনটাই বাস্তবে প্রয়োগ না থাকায় জনগণ অনিশ্চয়তার মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাজারের মাংস কিনে খাচ্ছেন।

এ ব্যাপরে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান জানান তিনি এসব অনিয়মের বিষয়ে বার বার সতর্ক করার পরও আশানুরুপ সারা পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানুষের দাবী স্বাস্থ্য সম্মত গরু ছাগলের মাংস যাতে বাজারজাত করা হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ অচিরেই সার্বিক পদক্ষেপ নিবেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই