তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বাজারে সাড়া ফেলেছে নওগাঁর লাল মরিচ

বাজারে সাড়া ফেলেছে নওগাঁর লাল মরিচ
[ভালুকা ডট কম : ২৫ মার্চ]
নওগাঁর রাণীনগরে উৎপাদিত লাল মরিচ বাজারে সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে দিগন্তজোড়া মরিচের মাঠে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁচা ও লাল মরিচ। বর্তমানে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর তীরে মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে মরিচ চাষীরা। নদীর দু’পাড়ের পলি ও বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে।

কিছুদিন আগেও মরিচের বাজারে যে আগুন লেগেছিলো বর্তমানে মরিচের দাম কিছুটা কমার কারণে স্বস্তি ফিরেছে। বর্তমানে বাজারে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০-৯০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো ফলন ও বেশি দাম পেয়ে বেজায় খুশি উপজেলার মরিচ চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে আগামীর দিনগুলোতে মরিচের ফলন আরো বেশি হবে ফলে বাজারে দাম আরোও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন চাষীরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠগুলোতে  ঘুরে দেখা গেছে মরিচের দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ খেতে কৃষকের ছোঁয়ায় আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিচের বাহার। এ দৃশ্য দেখে কৃষকের মন ভরে উঠেছে। অল্প করচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দুপুর গড়াতেই মরিচ তুলে হাটে নিয়ে যাওযার প্রস্তুতি নেন কৃষকেরা। অনেকে আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। জমিতে পাইকারি বিক্রি করলে লাভ কম হয় বলেও জানান চাষিরা।

উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মরিচ চাষী জাহাঙ্গির আলম জানান এবার মরিচের দামে আমি অনেক খুশি। বর্তমানেও বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। আর সঠিক পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুক’লে থাকাায় এবার মরিচের ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমিতে মরিচের গাছও অনেক ভালো অবস্থায় আছে তাই আগামীতেও ফলন অনেক ভালো পাবো বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩০হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও রোগবালাইয়ের তেমন একটা আক্রমণ না থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন পাচ্ছে মরিচ চাষীরা। এছাড়া বাজারে ভালো দাম চাষীদের মরিচ চাষে আগ্রহটাকে আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি করেছে। এখন পর্যন্ত মরিচের গাছে যে পরিমাণ মরিচ ধরে আছে তাতে করে আগামীতে বাজারে মরিচের সরবরাহ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং দামও কমে যাবে বলে আমি আাশাবাদি। কম সময়ে, কম কীটনাশক ও সার ব্যবহার করে কিভাবে মরিচ চাষে লাভবান হওয়া যায় সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই আমরা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই