তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে ২১ নৌকা ও ৫৯ জেলে আটক

তজুমদ্দিনে নিষেধাজ্ঞার ১মাসে ২১ নৌকা ও ৫৯ জেলে আটক
[ভালুকা ডট কম : ০১ এপ্রিল]
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেন ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের ঘটনায় গত ১মাসে (১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত) প্রশাসনের অভিযানে ৫৯ জেলে, ২১টি নৌকা ও জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আটক করা হয়। আটক জেলেদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা, নৌকা নিলাম প্রদান করা হয়েছে ও জালসহ সরঞ্জামাদি আগুনে পুড়ে নষ্ট করা হয়।

উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১লা মার্চ থেকে ৩০এপ্রিল দীর্ঘ দুইমাস মেঘনা নদীর ৪টি অভয়াশ্রমে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। অভয়াশ্রমগুলি হলো চর ইলিশার মদনপুর থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত শাহবাজপুর চ্যানেলের ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চররুস্তুম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার ও শরীয়তপুরের নরিয়া থেকে ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার জলসীমার মধ্যে সব ধরনের মাছ আহরনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া সরকার। সে অনুযায়ী ভোলা জেলার চর ইলিশার মদনপুর থেকে তজুমদ্দিনের চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে  তজুমদ্দিনে মৎস্য প্রশাসন মেঘনায় ৩১টি অভিযান পরিচালনা করেন।

এসব অভিযানে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ৫৯ জেলে আটক, ২১টি নৌকা, নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ১লক্ষ মিটার, বেহুন্দিজাল ১৫টি, মশারীজাল ২টি, চাই ৪টি ও অন্যান্যজাল ১৬টি আটক হয়। আটক জেলেদের মধ্যে ৪০জনকে ৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১লক্ষ ৩২ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা রায় প্রদান করেন তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞ নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মরিয়ম বেগম। আটক বাকী ১৯জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া হওয়ায় তাদের অভিভাবকের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। আটক কারেন্টজাল, চাই, বেহুন্দিজাল শশীগঞ্জ সুইজগেট এলাকায় জনসম্মুখে আগুনে পুড়ে নষ্ট করা হয়। ২১টি নৌকার মধ্যে ১৭টি ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। এসব নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম। নিলামের বাহিরে থাকা ৫টি নৌকা মৎস্য অফিসের হেফাজতে রয়েছে। অভিযানে আটক মাছ উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার নিল্লাহ বোডিংয়ে বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন বলেন, দুইমাসের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য প্রশাসন দিনরাত মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। কিন্তু পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে প্রশাসনিক তৎপরতা কম থাকায় সেখানকার জেলেরা আমাদের সীমানায় ডুকে পড়েন। যে কারণে আমরা দিনরাত অভিযান করেও বিভ্রত।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম বলেন, অভিযানে মেঘনা নদীর সার্বিক পরিস্থিতি এখনো ভালো আছে। বাকী একমাস আমরা যথাযথভাবে অভিযান অব্যাহত থাকবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই