তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় মুরগী পালনে অসীম রিছিলের সাফল্য

ভালুকায় নিরাপদ সোনালী হাইব্রীড মুরগী পালনে অসীম রিছিলের সাফল্য
[ভালুকা ডট কম : ০৪ জুন]
ভালুকার মল্লিকবাড়ী গ্রামের উচ্চ শিক্ষিত আদিবাসী অসীম রিছিল হাইব্রীড ও সোনালী হাইব্রীড মুরগীর খামার করে বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হয়ে সংসারে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। ১ জুন বৃহস্পতিবার মল্লিকবাড়ী গ্রামে পোল্ট্রি খামারে গিয়ে দেখা যায় মুরগীর তত্বাবধান করছেন অসীম রিছিল ।

তিনি জানান ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় হতে একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স পাশ করে একটি আর্ন্তজাতিক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কিছুদিন চাকুরী করেন। করোনা কালীন সময়ে ২০২০ সালে তিনি ওই সংস্থার চাকুরি ছেরে দিয়ে বাড়ী চলে আসেন। বাড়ীতে বসে থাকায় এক সময় তিনি বেকারত্বের বোঝা অনুভব শুরু করেন। তিনি নিজস্ব এক কাঠা জমিতে ৬৫ হাজার টাকা খরচ করে একটি শেড নির্মাণ করে তাতে প্রথম অবস্থায় ৫০০ সোনালী হাইব্রীড জাতের মুরগীর বাচ্চা পালন শুরু করেন। মুরগীর খামারটির চারপাশে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন ফুলের বাগান। মুরগীর সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য শেডের চারিপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছেন। নিরাপদ ডিম ও মাংস উৎপাদনের লক্ষে তিনি পিদিম ফাউন্ডেশন পরিচালিত সাস্টেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) পোল্ট্রি প্রকল্পের অধীনে নিরাপদ ডিম ও মাংস উৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। এসইপি’র প্রযুক্তি অনসরণ করে মুরগী পালনে নিরাপদ ডিম ও মাংস উৎপাদন করে সফল হওয়ায় একটি সন্মাননা সনদ পেয়েছেন। তার খামারটিতে ২২শ মুরগীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও তীব্র গরমের কারনে বর্তমানে ১৮শ মুরগী রয়েছে। হিটষ্ট্রোক হতে বাঁচাতে শেডের চালায় মটর হতে পানি ষ্প্রে করে ভিজিয়ে রাখেন। সামান্য রোগ বালাই দেখা দিলে সঠিক পরিচর্যায় সারিয়ে তোলেন।

তিনি জানান বর্তমানে বেশীর ভাগ খামারিরা সোনালী হাইব্রীড মুরগী পালন করছেন। তার খামারে বিভিন্ন  রংয়ের মুরগী রয়েছে ২ কেজি হতে ৩.০৫ কেজি ওজনের। খামার করার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি ৭ টি ব্যাচ বিক্রি করেছেন। সর্ব সাকুল্য খরচ বাদে প্রতি ব্যাচে তিনি ৩০ হাজার টাকা করে মুনাফা পেয়েছেন। তবে স্বল্প পুঁজির কারনে খামারটির পরিধি বাড়াতে পারছেননা।

তিনি মনে করেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকুরীর পিছনে ছোটা ছোটি করে সময় নষ্ট না করে সামান্য জমির উপর স্বল্প পুঁজি নিয়োগের মাধ্যমে অন্তত একটি শেডে মুরগী পালন করে মাংসের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা হতে মুক্তি লাভ করতে পারেন। ছোট হলেও মুরগীর পোল্ট্রি করে তিনি বর্তমানে স্বাবলম্বী।

স্ত্রী এ্যানি সাংমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। একমাত্র ছেলে অব্র সাংমা শারিরিক প্রতিবন্ধী। ছোট বড় মাঝারী মিলে সারা উপজেলায় পাঁচ শতাধিক পোল্ট্রি খামার থাকলেও মুরগীর খাদ্য ও ঔষধ সহ এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জিনিষের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক খামারী ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে অসীম রিছিল মনে করেন যেহেতু বাজারে ডিম ও মাংসের দাম বেশী রয়েছে সেক্ষেত্রে নিজে পরিচালনা করলে ছোট আকারের পোল্ট্রি চালানো কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এতে শ্রমিকের বেতন ও আনুষাঙ্গিক খরচ কম লাগে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই