তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঝিনাইদহে জিংক ধানের বৈশিষ্ট্য ও জিংকের উপকারিতা বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

ঝিনাইদহে জিংক ধানের বৈশিষ্ট্য ও জিংকের উপকারিতা বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
[ভালুকা ডট কম : ০৮ সেপ্টেম্বর]
বৃহস্পতিবার বিকালেঝিনাইদহ উন্নয়ন ধারা, এর প্রশিক্ষণ কক্ষে ২ দিনব্যাপী জিংক ধানের বৈশিষ্ট ও জিংকের উপকারিতা বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের “ডেলিভারি অব হাই জিংক রাইস ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের সহযোগি সংস্থা হিসেবে স্থানীয় এনজিও উন্নয়ন ধারা এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক ছিলেন সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড. খাঁন মোঃ মনিরুজ্জামান, শৈলকুপা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাসান আলী, উন্নয়ন ধারার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শহীদুল ইসলাম, কৃষিবিদ রাজু আহমেদ ও কৃষিবিদ রুবেল আলী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রদর্শণী কৃষাণ-কৃষাণীবৃন্দ। ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বুধ ও বৃহস্পতিবার কৃষক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

আমাদের দেশের  শতকরা ৪০ ভাগের বেশি মানুষ বিশেষ করে শিশু ও নারীদের জিংকের ঘাটতি রয়েছে। আর্থ-সামাজিক সীমাবদ্ধতায় কারণে আমাদের দেশের বহু মানুষ দৈনন্দিন পুষ্টির জন্য একমাত্র ভাতের উপর নির্ভরশীল। জিংক-এর অভাব পূরণের লক্ষ্যে বিশ্বে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল ধানের জাত আবিস্কার করেছে।

এই প্রোগ্রামের আওতায় আমন ২০১৬ মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলার সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, কোর্টচাঁদপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলাতে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ ও ব্রি ধান৭২ জাতের ধানের ৫০ টি প্রদর্শণী প্লট সহ মোট ১২৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।

এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মোট ৫০ জন কৃষককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের মাঝে মানব শরীরে জিংকের গুরুত্ব এবং জিংক ধানের বিশেষ দিকগুলো তুলে ধরেন উন্নয়ন ধারার হারভেস্ট প্লাস প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী কৃষিবিদ কৃষ্ণ দাস সাহা এবং হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এ- ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোঃ মজিবর রহমান।

প্রশিক্ষণে সকলের মাঝে ব্রি ধান৬২ ও ব্রি ধান৭২ এর ফ্যাক্টশীট, ধান চাষের উন্নত পদ্ধতি ও চাষাবাদ পঞ্জিকা সম্পর্কিত ডক্যুমেন্ট, ফাইল প্রভৃতি প্রদান করা হয়।জিংকের অভাব জনিত অপুষ্টি লাঘবে বর্তমানে দেশে প্রচলিত অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি সহযোগি কার্যক্রম হিসেবে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত জিংক সম্মৃদ্ধ ব্রিধানের ব্যবহার একটি কার্যকর এবং টেকসই পন্থা হিসেবে কাজ করবে বলে উপস্থিত সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই