তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মৃত ভোটারদের জন্য অর্থের অপচয় হচ্ছে- নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী

মৃত ভোটারদের জন্য অর্থের অপচয় হচ্ছে- নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী
[ভালুকা ডট কম : ২৬ জানুয়ারী]
নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী বলেছেন, মৃত ভোটাররা শুধু আমাদের নয়, প্রার্থীদের বেলায়ও সমস্যা হয়। দেশের অর্থের অপচয় হয়। প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই হালনাগাদ ভোটার তালিকায় তাদের নাম এবং তাদের নামে স্মার্ট কার্ডও তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তিনি মৃত ভোটারদের তথ্য দিয়ে নাম কর্তনে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা নির্মলম নিখুঁত, পরিচ্ছন্ন ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা সংরক্ষন করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যকম উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার ওইসব কথা বলেন। গাজীপুর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. গোলাম হায়দার খান, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জকিস্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা রহমান, জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুন্নেছা প্রমুখ।

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন অফিসে তাদের সমর্থনে এক শতাংশ ভোটারদের যে নামের তালিকা জমা দেন। তাতেও দু-একটি মৃত ভোটারদের নাম থেকে যায়। এসব প্রমান হওয়ার পর অনেকক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রার্থীতাও বাতিল হয়েছে। শুধু তাই নয় মৃত ব্যাক্তিদের নামে ল্যামিশন করা ভোটার আইডি কার্ড এবং স্মার্ট কার্ডও তৈরি হয়েছে। প্রতি ল্যামিনেশন কার্ড তৈরিতে ২টাকা ৩৪পয়সা এবং প্রতি স্মার্টকার্ড তৈরিতে খরচ পড়েছে ৮০টাকা। এসব তৈরিতে ১৬-১৮কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। সঠিক সময়ে ভোটারদের মৃত খবর পেলে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম কর্তন করা গেলে ওই অপচয় হত না। মৃত্যু খবর সঠিক সময়ে পৌঁছানোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার-দফেদারদেরও প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে। তারপরও তা সঠিক সময়ে আসছে না।

কমিশনার বলেন, বছরে বাংলাদেশে প্রায় শতকরা দশমিক ৫৬শতাংশ মৃত্যুবরন করছে। আমাদের হিসেবে ভোটার হয় প্রায় শতকরা আড়াই ভাগ। পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসেব অনুযায়ি লোকসংখ্যার বৃদ্ধি প্রায় শতকরা ২ভাগের চেয়ে কিছু কম। মৃতের হার যদি গড়ে শতকরা দশমিক ৫৬শতাংশ হয়, তাহলেতো ভোটার তালিকায় বিরাট রকমের কর্তন হওয়ার কথা। তা যদি না হয়, ভোটার তালিকা নিখুঁত হবেনা।

এছাড়া হাসপাতালে কোন ভোটার মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৃতের ভোটার আইডি কার্ডের নম্বরসহ মৃত্যুসনদ সরবরাহ এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর এবং ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যদের ভোটারদের মৃত্যু তালিকা সরবরাহের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ৩১জানুয়ারির মধ্যে চ’ড়ান্ত ভোটর তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে তিনি ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করার তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এখন ভ’য়া ভোটার হওয়া সহজ নয়, কারণ আঙ্গুলের ছাঁপ নিয়ে ভোটার করা হচ্ছে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই