তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঝিনাইদহে নিরুপায় দুই বোন বাবার মৃত্যুর প্রহর গুনছে

টাকা উঠেছে ১৪ হাজার, বাবা কি বাঁচবে না
ঝিনাইদহে নিরুপায় দুই বোন বাবার মৃত্যুর প্রহর গুনছে
[ভালুকা ডট কম : ২১ মার্চ]
স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া জমজ দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী ঝিনাইদহের রফিকুল ইসলামের সময় কাটছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায়। তার অবর্তমানে মেয়ে দুটি পড়ালেখা করতে পারবে না বন্ধ হয়ে যাবে এই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

এদিকে রফিকুল ইসলামের জীবন রক্ষায় সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে আসছেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, নিউজ পোর্টাল, ফেসবুকে এ সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই সহেযাগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

৫০ বছর বয়সী রফিকুলের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘুর্ণাক্ষরেও তিনি টের পাননি কখন যে, মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। আর যখন তিনি জানলেন তখন তার দুটো কিডনিই অকেজো। ডায়ালাইসিস করে এখন তিনি কোনো রকম বেঁচে আছেন। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার প্রয়োজন অনেক টাকা, যা তার নেই। বেঁচে থাকার আকুতি আছে। কিন্তু চিকিৎসার সামর্থ্য নেই।

এ পর্যন্ত তিনি তিন লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। সামান্য বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রফিকুল তীব্র অর্থ সংকটে ভুগছেন। চাকরিই ছিল তার ভরসা। এই চাকরির টাকা দিয়ে তিনি ঝিনাইদহ শহরে বাসা ভাড়া করে দুই মেয়েকে লেখাপড়া করাতেন। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, টাকার অভাবে কিডনি ডায়ালাইসিসও করতে পারছেন না তিনি।

রফিকুলের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুরে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আদিল উদ্দীন মালিথার ছেলে। স্ত্রী রওশন আরা হতাশ কণ্ঠে জানান, সর্বক্ষণ কাজে ডুবে থাকা তার স্বামী আজ জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দেই চোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। তারপরও শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বামীকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু চিকিৎসায় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। টাকা হলে হয়তো তার স্বামীকে বাঁচানো সম্ভব হতো।

স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিক জানান, আমার বাসার সামনেই রফিকুল ভাইয়ের বাসা। তার দুই মেয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে পড়ে। সব সময় তারা তার বাবার জন্য চিন্তিত থাকে। তাদের বাবার কিছু হলে মেয়ে দুটির জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করছি রফিকুল ভাইকে সাহায্য করার।

রফিকুল ইসলাম এখন ঢাকা মেডিকেলের ৯০১ নং ওয়ার্ডের ৪৯ বেডে অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দীন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। অবসন্ন শরীর নিয়ে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন রফিকুল। তার মধ্যে বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি থাকলেও পরিবারের সামর্থ্য নেই এতো অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। রফিকুলের জমজ দুই মেয়ে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তার বাবার জন্য চিন্তিত দুই বোন।

রফিকুলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসক জানিয়েছেন, দ্রুত তার কিডনি দুটি প্রতিস্থাপন করা না হলে আর বাঁচানো যাবে না। আর এজন্য প্রয়োজন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। রফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ০১৬২১-৪২৮০৫৫ নম্বরে। আর্থিক সহায়তার জন্য রওশন আরা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ২৮৬৬, অগ্রণী ব্যাংক, বাজারগোপালপুর শাখা, ঝিনাইদহ। বিকাশ নং ০১৬২১-৪২৮০৫৫।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই