তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় মুলতাজিম স্পিনিং মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারী খাল জবরদখলের অভিযোগ

ভালুকায় মুলতাজিম স্পিনিং মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারী খাল জবরদখলের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১১ ডিসেম্বর]
ভালুকায় মুলতাজিম স্পিনিং মিল কর্তৃক একটি সরকারী খাল বেদখল করে পানি যাওয়ার জন্য সরু ছিদ্র রেখে উপর দিয়ে সীমনাপ্রাচীর নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে গত পাঁচ বছর ধরে উজানের প্রায় ৫০ একর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় অবস্থিত মুলতাজিম স্পিনিং মিল কর্তৃপক্ষ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ‘আফাইন্না’ নামক সরকারী খালটি বেদখলে নিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য সরু ছিদ্র রেখে লোহার রড দিয়ে জাল তৈরী করে উপর দিয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছে। এতে উজানের মেদিলা বিল, আনফি বিল ও চান্দাই বিলসহ আশপাশ এলাকার শতাধিক একর দু’ফসলি জমি গত পাঁচ বছর ধরে অনাবাদি হয়ে পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় মফিজুল ইসলাম ওরফে দুলু চৌধুরী ভালুকা ডট কম কে জানান, উজানের একটি বিলে তার দেড় একর জমি রয়েছে। মুলতাজিম মিলের লোকজন গুরুত্বপূর্ণ আফাইন্না খালটি দখল করে ফেলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পাঁচ বছর ধরে ফসল করতে পারছিনা। এনিয়ে অনেক দরবার শালিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পর্যন্ত লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরেও এর কোন ফয়সালা হয়নি। তাছাড়া ওইসব বিলে স্থানীয় সুমদ আলী মাস্টারের দুই একর, আব্দুল বারেক মিয়ার এক একর, তাজুল ইসলাম তালুকদারের ৫ একর, সবুজ মিয়া গংদের ৫ একর, হেকমত আলী তালুকদারের ৫ একর, হযরত আলী তালুকদারের তিন একর, মনজাজ আলী তালুকদারের ৫ একরসহ প্রায় ৩০/৩৫ জনের প্রায় ৫০ একর দু’ফসলি জমি একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ভালুকা ডট কম কে জানান, প্রায় ২০ ফুট প্রস্থ সরকারী আফাইন্না খালটি কোম্পানীর লোকজন বেদখল করে ফেলায় এবং পাড় ভেঙে গিয়ে বর্তমানে ৬ থেকে ৭ ফুট প্রস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে উজানের পানি নিষ্কাশন হতে পারছেনা।

মুলতাজিম মিলের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমরা খালটি ঠিক রেখেই সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছি। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে আছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া সরকারী লোকজন সরেজমিনে এসে আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ কামাল ভালুকা ডট কম কে জানান, এ বিষয়টির ব্যাপারে আমার জানা নেই। এলাকাবাসি হয়তো আগের অফিসারের কাছে অভিযোগ দিতে পারেন। নতুন করে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক সরকারী খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই