তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে রোবো ধানের জন্য আদর্শ বীজতলা প্রস্তুত

রাণীনগরে রোবো ধানের জন্য আদর্শ বীজতলা প্রস্তুত,শুরু হয়েছে বোরো ধান রোপন
[ভালুকা ডট কম : ১৩ জানুয়ারী]
চলতি বোরো মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ শুরু হয়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মাঠে মাঠে বোরো ধান রোপনের মৌসুম পুরোদমে শুরু হবে। বোরো চারার সংকটে যাতে কৃষকদের পড়তে না হয় সেজন্য আদর্শ বোরো বীজতলার তৈরির মাধ্যমে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া  হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, এ বছর রাণীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৪শ ২৫হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপজেলার প্রায় ২হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। বোরো আবাদের জন্য উপজেলার মোট ৯শত ২৫হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে এরমধ্যে আদর্শ বীজতলা ৫শ হেক্টর। এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় সিআইজি ১৮টি কৃষকদলের মাধ্যমে কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৮টি আদর্শ বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, এই ইউনিয়নের চারাপাড়া গ্রামে পুরুষ সিআইজি সমবায় সমিতি এবং এনায়েতপুর মহিলা সিআইজি সমবায় সমিতির সদস্যদের দিয়ে এককভাবে ১২টি আদর্শ কমিউনিটি বোরো বীজতলা স্থাপন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

সরেজমিনে কাশিমপুর ইউনিয়নের চারাপাড়া গ্রামের আদর্শবীজতলা পরিদর্শন করে দেখা যায়,  সিআইজি কৃষক দলের সেক্রেটারি মোঃ আলমগীর হোসেনের সমিতির  ৩০ জন সদস্যের বোরো বীজতলা এক সাথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব আরো জানান, তিনি এ বছর তার ব্লকে ১০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা স্থাপন করেছেন।

এ ছাড়া উপজেলার খট্টেশ্বর রাণীনগর, পারইল, ছয়বাড়িয়া, একডালা, এনায়েতপুর, কুজাইল, বেতগাড়ীতে পলিথিন আবৃত শুকনা বীজতলাসহ আদর্শ কমিউনিটি বীজতলা করা হয়েছে। বেতগাড়ী গ্রামের কৃষক  শেখ আমজাদ হোসেন জানান, এ পদ্ধতিতে জমিতে ১ মিটার প্রশস্ত বেড তৈরি করে এবং পাশাপাশি ২ বেডের মাঝখানে ২৫ সেঃমিঃ নালা রাখা হয়। এরপর বাঁশের লাঠি দিয়ে বেড সমান করা হয়। দু’ বেডের মাঝখানের নালা যেমন সেচের কাজে লাগে তেমনি অতিরিক্ত পানি নিকাশ সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য আন্তঃপরিচর্যা করতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের আদর্শ বীজতলায় প্রতি বর্গমিটারে ১০০ গ্রাম অংকুরিত বীজ বপন করা হয়। বীজ গজানোর ৪-৫ দিন পর বেডের ওপর ২-৩ সেঃমিঃ পানি রেখে আগাছা গজানো বাধাগ্রস্ত করা যায়।

শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য কৃষকরা রাতে পলিথিন দিয়ে বীজ ঢেকে রাখে। এ ধরনের বীজতলায় প্রতিটি চারাই স্বাস্থ্যবান, সবল, সতেজ ও রোগমুক্ত যা জমিতে রোপণ করলে শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত ফলন বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের আদর্শ কমিউনিটি বোরো বীজতলা দেখে আগামী মৌসুমে আরো অনেক কৃষক উৎসাহিত হবেন।#





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই