তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা

ভালুকা আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
[ভালুকা ডট কম : ২১ জানুয়ারী]
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের আসন ১৫৬, ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা নির্বাচনী এলাকায় উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হাই কমান্ডের সাথে লবিং গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির প্রার্থীদেরকে মাঠে তেমন দেখা যাচ্ছে না। গ্রুপিং এর কারনে ভালুকা আ’লীগ বর্তমানে কয়েক ভাগে বিভক্ত, আর বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। পুলিশী বাঁধার কারণে বিএনপি প্রকাশ্যে কোন রাজনৈতিক মিছিল,মিটিং ও রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে পাড়ছে না। জাতীয় পার্টির তেমন কোন কর্মকান্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আ’লীগ চায় তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে আর বিএনপি চাচ্ছে আসনটি পুনরুদ্ধার। বর্তমানে ভালুকা জাতীয় পার্টি প্রায় অভিভাবক শূণ্য। আ’লীগ থেকে এক ডজনের উপরে, বিএনপি থেকে ৫প্রার্থীর মাঝে মুলত দুইজন ও জাতীয় পার্টি থেকে ২জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

একটি পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে ভালুকা আসনটি গঠিত হয়েছে। ২০১৭সালের জরিপ অনুযায়ী এখানে মোট ভোটার রয়েছে ২লাখ,৮৮হাজার,৭শত,১৪জন এর মাঝে পূরুষ ১লাখ,৪৫হাজার, ১৭জন ও নারী ১লাখ,৪৩হাজার,৬শত ৯৭জন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের ৭মার্চ নির্বাচনে আ’লীগ নেতা ভাষা সৈনিক ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট মোস্তফা এম মতিন।১৯৭৯সালে ১৮ফ্রেব্রুয়ারীর নির্বাচনে মুসলিমলীগ থেকে আফতাব উদ্দিন আহাম্মেদ চাঁন মিয়া। ১৯৮৬সালে মুসলিমলীগ থেকে আলহাজ্ব আমান উল্যাহ চৌধুরী। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মেজর (অবঃ) আব্দুল হামিদ। ১৯৯১ সালের ১৯অক্টোবর ১৯৯৬সালের ১৫ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে বিএনপির আলহাজ্ব আমান উল্যাহ চৌধুরী, ১৯৯৬ সালের ১২জুন,২০০১সালের ১অক্টোবর, ২০০৮সালের ২৯ডিসেম্বর ও ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারী নির্বাচনে টানা ৪বার ধরে আ’লীগের ডা.অধ্যাপক এম আমান উল্লাহ আসনটি ধরে রেখেছেন।

আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান,খেলাধূলা সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহন শীত বস্ত্র বিতরণ করে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের মন কুড়ানোর চেষ্টা করছে। মাঠে আ’লীগের প্রার্থীদেও জন্য বিএনপি প্রার্থীরা মাঠে নামতে পাচ্ছে না। সম্ভাব্য প্রার্থীর প্যানা ফ্যাস্টুন দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছেয়ে গেছে। কোন প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুবই শক্তিশালী বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করার সাথে সাথে ফেইস বুকে পোস্ট দিয়ে দিচ্ছেন। আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন,টানা ৪বারের এম,পি সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী,বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আশরাফুল হক জর্জ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ভালুকা আ’লীগের প্রবাদ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর কে,বি,এম আছমত আলীর ছেলে ডা.কে,বি,এম হাদিউজ্জামান সেলিম, আ’লীগের পাপুয়া নিউগিনি শাখার ৩বারের সভাপতি,বিশিষ্ট দ্বানবীর,শিক্ষানুরাগী,ময়মনসিংহ জেলা আ’লীগ নেতা ও শিল্পোদ্যোক্তা আলহাজ্ব এম,এ ওয়াহেদ,কেন্দ্রিয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিল্পব,সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মরহুম আফছার উদ্দিনের ছেলে আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টু,উপজেলা পরিষদের দুই বারের ভাইস চেয়ারম্যান,জেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদিকা  মনিরা সুলতানা মনি, জেলা আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন, জেলা আ’লীগের অপর নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপজেলার সদরের আনাচে কানাচে অনেক নতুন মুখ দলীয় মনোনয়ন চেয়ে প্যানা ঝুলিয়েছে।

বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন,উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মোর্শেদ আলম,উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটল,ময়মনসিংহ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা কালীন ভালুকা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক খান ও সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা জিয়া ব্রিগেডের সভাপতি আবুল হোসেন।জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন মাস্টার ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।

অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্লাহ ভালুকা আসনটি বিএনপির কাছ থেকে তিনি পুনরুদ্ধার করে টানা ৪বারের এম,পি। তিনি এম,পি থাকাবস্থায় ভালুকার আশানুরোপ উন্নয়ন হয়নি। ক্লিন ইমেজের এম,পি হিসাবে প্রথম বার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। বয়স জনিত কারণ ছাড়া তাঁরই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্লাহ বলেন,এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। অবহেলিত ভালুকাকে একটি আধুনিক ভালুকায় রূপান্তরিত করেছি। দল থেকে মনোনয়ন পেলে আমার অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করতে পারবো।

গোলাম মোস্তফা ১৯৬৯এর ১১দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ,যুবলীগ সভাপতি ও বর্তমানে আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪সালে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার পর পরিষদের তহবিলের সীমিত আয় থেকে এলাকায় ব্রীজ, কালভার্ট, বিদ্যুাতায়ন, রাস্তা,ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ ছাড়াও এতিম খানা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান ও আসবাবপত্র দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান ও সহযোগীতা করে জনগণের মন কুড়িয়েছেন।

গোলাম মোস্তফা বলেন,বর্তমান এম,পি অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্লাহ চার বারের এমপি হয়েও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর কাঁচা রাস্তা পাঁকা করার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রীর সুপারিশ নিয়ে উপজেলার প্রায় বড় বড় সব রাস্তার উন্নয়ন করেছি বেশ কিছু বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজ চলতি অর্থ বছরেই শুরু হবে।

মুক্তিযোদ্ধের ১১নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার আফসার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর আফসার উদ্দিনের ছেলে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু,উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। গত নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্তই ছিল।ভাগ্যের ফেরে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি। তিনি বলেন, জনমত যাঁচাই করে যদি মনোনয়ন দেয়া হয়,তাহলে আমি শত ভাগ মনোনয়ন আশাবাদী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা.কে,বি,এম হাদিউজ্জামান সেলিম,চিকিৎসক হিসাবে এলাকার মানুষকে কখনও বিনামুল্যে চিকিৎসা,কখনও বিপদ আপদে সহায়তা করে নজর কেড়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণ সংযোগ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন,আমার বাবা বারবার কারা বরণকারী নেতা কে,বি,এম আছমত আলী ভালুকা আ’লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি। তিনি আ’লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৯৬সাল পর্যন্ত থানা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর আমার বাবা এ হত্যা প্রতিবাদ করে দলীয় নেতা কর্মীদের সংগঠিত করার সময় ঘাতকদের দোসরদের হাতে আমার বাবা ও আমার বড় চাচা আহাম্মদ আলী সরকার গ্রেফতার হন। দোসরা তাদেরকে ১১দিন টর্চাল সেলে রেখে ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে কৃষ্ণচুড়া গাছের ডালে ঝুলিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। আমি দল থেকে মনোনয়ন পেলে জনগণের আশা পূরণ করতে পারবো।

কৃষকলীগের কেন্দ্রিয় সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরফুল হক জর্জ বলেন,আমি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৭৭সালে ময়মনসিংহ শহর ছাত্রলীগে আহবায়ক, ১৯৮১সালে ছলিমুল্লাহ হলের ছাত্রলীগে সভাপতি ছিলেন। ২০০৪সাল থেকে কৃষকলীগে কেন্দ্রিয় কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এ বছর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না। আমি এবার শতভাগ আশা করছি দল থেকে মনোনয়ন পাবো।

জেলা আ’লীগ নেতা আলহাজ্ব এম,এ ওয়াহেদ এম,বি,এ কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। তিনি তৃণমূল থেকে শুরু করে দলীয় হাইকমান্ড পর্যন্ত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। মসজিদ,মাদ্রাসা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান,অসহায় ছাত্র-ছাত্রী,গবীর মানুষকে ঘর নির্মাণ,মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করেছেন। বিভিন্ন উৎসবে হতদরিদ্রের মাঝে শাড়ি,লুঙ্গী এবং শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ। নিজ অর্থে দেড় শতাধিক গবীর মুসল্লিদের পবিত্র হজ্ব পালন করান।ব্যক্তিগত খরচে রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন ভাবে অকাতরে দান করায় উপজেলা জুড়েই দ্বানবীর হিসাবে পরিচিত লাভ করেছেন।

তিনি বলেন,জীবনে অনেক সময় প্রবাস কাটিয়েছি। দীর্ঘ দিন যাবত ভালুকার আনাচে কানাচে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সহ মসজিদ মাদ্রাসায় অকাতরে দ্বান করে যাচ্ছি। দল থেকে মনোনয়ন পেলে ভালুকার পশ্চিম অঞ্চল ডাকাতিয়া ও কাচিনা ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামের জনগণ দলমত নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী।

কেন্দ্রিয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিল্পব, উপজেলার প্রত্যেকটি দলীয় কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করছেন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন শতভাগ আশাবাদী। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু এবারই নতুন মুখ তিনি এ বছর মনোনয়ন প্রার্থী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।তিনি বলেন, আমি ১৯৯০সাল থেকে ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক,উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমানে জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক, আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারবো। জেলা আ’লীগ নেতা হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক মসজিদ,মাদ্রাসা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করে এলাকায় বেশ দ্বানবীর হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। তিনি তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা ও কেন্দ্রের দলীয় হাইকান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। তিনিও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি আশা করছেন এবার দল তাঁকে মনোনয়ন দিবে। জেলা আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন উপজেলার প্রত্যক ওয়ার্ডের দীর্ঘ দিন যাবত গণসংযোগ করে চষে বেড়াচ্ছেন। ২০০১সালে ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে আ’লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্লাহর বিপক্ষে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়ে ছিলেন মাত্র ১২হাজার।

ভালুকা বিএনপির যদি বিভক্ত দুই গ্রুপ এক হয়ে কাজ করে তাহলে আগামী নির্বাচনে ভালুকা বিএনপি সুবিধা জনক অবস্থানে থাকবে এবং আসনটি পূনরুদ্ধার করতে পারবে বলে দলীয় নেতা কর্মীরা দাবী করেন। ভালুকার বিএনপির রাজনীতি বিভক্ত থাকায় দলীয় কর্মসূচী তাঁরা পৃথক পৃথক ভাবে পালন করছেন। এক দিকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু অপর দিকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মোর্শেদ আলম। দলের মূল অংশ ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর সাথে অবস্থান করছে। বিএনপির এ বিভাজনটা গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ নিয়ে মোর্শেদ আলম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। উপজেলা বিএনপির বিভক্ততা তৃণমূলেও বিদ্ধমান।

ভালুকা উপজেলা বিএনপি ছিল একটি নিস্ক্রিয় দল। দলের সাংগঠনিক অবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু ২০০৯সালে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে সুসংগঠিত করে ভালুকা বিএনপিকে একটি শক্তিশালী দলে পরিনত করেন।তাঁকে ২০০৬ ও ২০০৮সালে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ২০০৮সালের নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে অধ্যাপক ডা.এম আমান উল্যাহ পেয়ে ছিলেন,১লাখ,৪৭হাজার,৩শত ২৯ভোট। ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু  ৭২হাজার, ৬শত,৩৮মোট ভোট পেয়েছেন। বিগত আন্দোলনে মাঠে নেমে মিছিল মিটিং করতে গিয়ে তিনি পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। তাঁর বিরুদ্ধে ভালুকা ১৪টি ময়মনসিংহ সদর ৬ ও ঢাকা পল্টন  থানায় ২টি সহ মোট ২২টি মামলা রয়েছে। এ সব মামলায় তিনি ৭মাস জেলও খেঁটেছেন। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৬সালে ৭টি ও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯ মামলা ছিল।

ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু বলেন,আমি আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছি এবং একাধিকবার জেল খেঁটেছি। ময়মনসিংহ (দঃ)এর সব গুলো উপজেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে গিয়ে আমাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে। ভালুকা ১২৫টি ওয়ার্ডে শহীদ জিয়ার মৃত্যু বার্ষিকী সহ দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছি। দল যদি ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে তাহলে দল থেকে আমি অবশ্যই মনোনয়ন পাবো।

আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম উপজেলা জুড়েই দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ,মাদ্রাসা,অসুস্থ,দুস্থ,অসহায়, মানুষকে কাপড় চোপড়,নগদ টাকা দান খয়রাত ও বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে জনগণের মন কুঁড়িয়েছেন। গত ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোর্শেদ আলম ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।মোর্শেদ আলম প্রথম দিকে যখন ভালুকাতে উন্নায়নের ছোয়া লাগছিল তখন সে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য জমির দালালি করতে থাকেন পরে পট পরিবর্তে ভালুকা বিএনপির সভাপতি ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর সমর্থনে হবিরবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় হবিরবাড়ীর ভিবিন্ন মৌজার বনের জমি জবরদখলের মাধ্যমে রাতারাতি গড়ে তুলে টাকার পাহাড় আর বনে যান শিল্পপতি।

বনের জমি জবরদখলের অভিযোগে মোর্শেদ আলম এর বিরুদ্ধে বন আইনে ১০/১২ টি মামলা রয়েছে যার মধ্যে দুটি মামলায় তাহার কারাদণ্ড সহ জরিমানা হয়েছে যা তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন ।  তাছাড়া মোর্শেদ আলমের দুই স্ত্রী পাপিয়া নাসরিন ও সুরাইয়া আক্তার এবং তিন কন্যা সাফিসা সাদাফ জুয়াইরিয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস মাইসা ও মিছতাহুল জান্নাত সুজাইতার সম্পদের আয় ব্যায় ও সম্পদের হিসাব নিতে মাঠে নেমেছে দুদক। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার দুনীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মোঃ শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত করতে মাঠে নামে দুদকের একটি টিম।

আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম বলেন,আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ছিলাম,আমাকে পরিকল্পিত ভাবে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে ব্যবধান ৪ হাজার ৭ শত ভোট মাত্র। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে বিএনপি বৃহৎ একটি অংশ প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে। আমাকে বিএনপি থেকে এমপি মনোনয়ন দিলে ভালুকার আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারবো।

বর্তমানে ভালুকা জাতীয় পার্টি অভিভাবক বিহীন হিসাবে রয়েছে। উপজেলা আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল খালেক মারা যাওয়ার পর দল থেকে কাউকেই দায়িত্ব না দেয়ায় ভালুকার জাতীয় পার্টি বর্তমানে অভিভাবক শূন্য। দলীয় প্রার্থী হিসাবে কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন মাস্টার ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল কাইয়ুম দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই