তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার উথুরা স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ

ভালুকার উথুরা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ২৮ এপ্রিল]
ভালুকা উপজেলার উথুরা স্কুল এন্ড কলেজের কতিপয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকেই কোচিং পড়ানো অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ নির্বাহ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার উথুরা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মো: ফজলে রাব্বি, মঞ্জুরুল হক, খাইরুল বাশার ও রমজান হোসেন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সকাল থেকেই কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় বার বার তাদেরকে নিষেধ করা সত্যেও এমনকি কোচিং বাদ দিয়ে স্কুলে সবগুলো ক্লাস করানোর ব্যাপারে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেও তারা তার কোন তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগকারী শাহ মো: শহিদুজ্জামান, মো: নুরুল ইসলাম ও মো: মনিরুজ্জামান জানান, স্কুলের সহকারী শিক্ষক ফজলে রাব্বি প্রতিদিন সকাল থেকেই এমনকি এক দুটি ক্লাস করেই তার কোচিং সেন্টারে চলে যান। প্রতিদিন ওই কোচিং সেন্টারে দেড়’শ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী ক্লাস রেখে কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছে। কোচিং না পড়লে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নির্যাতণসহ পরীক্ষার খাতায় নাম্বার কম দিয়ে কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী যেতে বাধ্য করা হয়ে থাকে। নিরুপায় হয়ে আমরা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।

অভিযোগকারীরা আরো জানান, ফজলে রাব্বি ভূয়া ইনডেক্স নাম্বার (১৫০১৪৯) ব্যবহার করে এই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী খাতের লাখ লাখ টাকা বেতন ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাত করে চলেছেন। যা সুষ্টুভাবে তদন্ত করলেই তার জালিয়াতির বিষয় বের হয়ে আসবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলে রাব্বি কোচিং পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে ইনডেক্স নম্বরের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই বিষয়টি ডিজি মহোদয়ই ভাল জানেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ চাঁন মিয়া জানান, ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ফজলে রাব্বিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে  প্রাইভেট কোচিং পড়ানোর ব্যাপারে লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক ফজলে রাব্বির ইনডেক্স নম্বর বিষয়ে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে যাচাই করে দেখা যেতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ কামাল জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই