তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় মুক্তিযোদ্ধার পুকুরে মাছ লুটের অভিযোগ

নওগাঁয় মুক্তিযোদ্ধার পুকুরে মাছ লুটের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১৭ আগস্ট]
নওগাঁর সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধার পুকুরে জোর পূর্বক মাছ ধরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের নিন্দইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা এসএম ময়েন উদ্দিনের পুকুর থেকে কয়েক দফায় মাছ ধরে নেয়া হয়েছে। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান (৭২ মিস/২০১৬)। তারপরও প্রভাবশালী নেতারা জোরপূর্বক মাছ ধরে নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা।

জানা গেছে, নিন্দইন গ্রামের পিঞ্জর বেওয়ার এক ছেলে গিয়াস উদ্দিন ও দুই মেয়ে খাতেজান ও ইনছন। ১৫/১১/৯৩ ইং তারিখে ১৩৩২১ নং কবলা দলিল মূলে ইনছন বেওয়া হাল ৭৩৬ দাগের ৫৬ শতক কাতে ৪১ এবং একই তারিখে ১৩৩২২ নং কবলা দলিল মূলে ইনছন বেওয়া হাল ৪৫৩ দাগের ৭৮ শতক কাতে ৩৯ শতাংশ জমি মুক্তিযোদ্ধা এসএম ময়েন উদ্দিন ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম কে রেজিস্ট্রি করে দেয়।

অপরদিকে খাতেজান গত ০১/০৭/২০০৮ ইং তারিখে ৪৮১৬ নং কবলা দলিল মূলে ৪৫৩ দাগের ৭৮ শতক কাতে ৩৯ শতকের মধ্যে ১৩ শতক রেজিস্ট্রি করে দেয়। এরপর জমিগুলো ভোগ দখল করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছেন মুক্তিযোদ্ধা এসএম ময়েন উদ্দিন ও তার ভাই।

কিন্তু ২৪/০২/১৯৯৮ ইং তারিখে পয়না গ্রামের আব্দুল মজিদ মোল্লার স্ত্রী মোওয়াহিদা মেরিনা বেগম ৪৫৩ দাগে ১৩ শতক জোত সহ অপরাপর চারদাগে ৬৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তবে মোওয়াহিদা মেরিনা বেগম মুক্তিযোদ্ধা এসএম ময়েন উদ্দিনের আগে জমি কিনলেও তিনি কখনোই ভোগ দখল করেননি। যেহেতু ১৩ শতক জমি মোওয়াহিদা মেরিনা বেগমের দখলে নাই সেহেতু তিনি গত ১৩/০৮/২০১৪ ইং তারিখে ‘উত্তর নিন্দইন আব্দুল্লাহ জামে মসজিদ, নিন্দইন উত্তরপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ ও নিন্দইন উত্তরপাড়া মৎসজীবি জামে মসজিদ’ এর নামে পৃথক দুইটি দলিলে রেজিস্ট্রি করে দেন।

এরপর থেকে মসজিদ কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি মোসলেম আলী মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক আখতার হোসেন, সদস্য বাবু মন্ডল ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্কাস আলী মন্ডলসহ অনেকেই ১৩ শতক জমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পুকুর থেকে মাছ ধরে নেয়। গত ২৯/১১/২০১৪ ইং তারিখে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। এতে আদালত তাদের পুকুরে যেতে নির্ষেধ করলেও তা সত্ত্বেও তারা পুকুর থেকে মাছ ধরে নেয়।

এরপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ০১/১১/২০১৫ ইং তারিখে আদালতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। উক্ত জমিতে গত ২৭/০৯/১৬ ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা ও তার ভাইয়ের নামে খাজনা খারিজ দেয়া হয়। তারপরও তারা জোর পূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন এবং লুটপাট ধরে মাছ ধরছেন। এ নিয়ে নওগাঁ সদর থানায় ১১/০৭/১৮ ইং তারিখে একটি অভিযোগ দেয়া হয়।

স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি মোসলেম আলী মন্ডল ও দপ্তর সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ওই পুকুরটি মোওয়াহিদা মেরিনা বেগমের হলেও মুক্তিযোদ্ধা ও তার ভাই দখলে রেখেছিল। গ্রাম্য আপোষের মাধ্যমে তারা আবার ওই পুকুরটি মোওয়াহিদাকে দিয়ে দেয়। এর দুই মাস পর ওই পুকুরটি গ্রামের তিন মসজিদের নামে লিখে দেন মোওয়াহিদা। দীর্ঘদিন থেকে আমরা মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে পুকুরটি দখলে রেখেছি এবং মাছ চাষ করা ও ধরে আসছি। জোর পূর্বক পুকুর দখল ও মাছ ধরার অভিযোগ মিথ্যা।

নওগাঁ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, মামলার পর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী পেয়েছেন। তারপরও মসজিদ কমিটির লোকজন মাছ ধরে নেয়ায় থানায় একটি অভিযোগ দেন মুক্তিযোদ্ধা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মসজিদ কমিটিকে পুকুরে যেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু তারপরও তারা মাছ ধরছেন। তবে উভয় পক্ষকে আবারও থানায় ডাকা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই