তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে ভুয়া এনজিও’র বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

নান্দাইলে ভুয়া এনজিও’র বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ১৭ সেপ্টেম্বর]
নান্দাইলে একটি ‘ভুয়া এনজিও’র বিরুদ্ধে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাকুরি দেওয়া ও ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়া নাম করে ৫ শতাধিক চাকুরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে।

চাকুরি প্রত্যাশীরা নিয়োগ না পেয়ে রোববার বিকেলে সংস্থাটির কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ভুয়া এনজিওটির দুই প্রধান কর্মকর্তাকে আটক করে। ভুয়া এনজিওটির নাম ‘অনকুল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় লিমিটেড’। আটককৃত কর্মকর্তারা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম এবং সম্পাদক মিনি আক্তার। তাঁদের মধ্যে জহিরুল টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও মিনি আক্তার বলেছেন, তিনি টাকা তুলে জহিরুলকে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদর  ইউনিয়নের ঝালুয়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম সম্প্রতি হঠাৎ করেই নান্দাইল পৌর শহরের চারিআনি পাড়া মহল্লায় ‘অনকুল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় লিমিটেড’ নামের একটি কার্যালয় খুলে বসেন। তিনি বেকার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর পারিবারিক পটভূমিও উল্লেখ যোগ্য নয় বলে জানা গেছে। ‘বোরবার বিকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি ভবনের দোতলায় গত সাত মাস ধরে সংস্থাটি কাজ করছে। সেখানে প্রোগ্রাম অফিসার পদে চাকরি করতেন চারিআনি পাড়া মহল্লার লাভলি আক্তার।

লাভলি বলেন, তিনি ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে সংস্থাটিতে যোগদান করেন। গত সাত মাস চাকরি করলেও তাঁকে কোনো সময় দু-তিন হাজার টাকার বেশি বেতন দেওয়া হয়নি। সংস্থাটির পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা সমাজসেবা কার্যালয়ের নিবন্ধন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। তবে এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কোনো অনুমোদন নেননি। এ ছাড়া সমবায় কার্যালয়ের নিবন্ধন আছে দাবি করলেও এ বিষয়ে কোনো অনুমতিপত্রও দেখাতে পারেননি।

এ সময় নান্দাইল, জাহাঙ্গীরপুর ও গাংগাইল ইউনিয়নের ১৫ জন নারী বলেন, সংস্থার কর্মকর্তা মিনি আক্তার তাঁদের বলেছেন,অনকুল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় লিমিটেড উপজেলায় ‘স্বাস্থ্যসেবা’ কর্মসূচি চালু করবে। ওই কর্মসূচিতে প্রচুর লোক নিয়োগ করা হবে। এ কথা বলে মিনি আক্তার তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। গত ১ সেপ্টেম্বর তাদের নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ নয় কাল বলে তাদের ঘোরানো হচ্ছে। টাকা আদায়ের অভিযোগ স্বীকার করে মিনি আক্তার বলেন, তিনি আদায় করা টাকা সংস্থার কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে জহিরুল ইসলাম কোনো টাকা নেননি বলে জানান। এ সময় যারা টাকা দিয়েছে তারা এনজিওটির ওই দুই কর্মকর্তাকে ঘিরে ধরে।

সংস্থাটির শিক্ষা কর্মসূচিতে কমর্রত প্রায় ১৫ জন শিক্ষিকা ও সুপারভাইজার (নারী) অভিযোগ করে বলেন, ৩০০ সুপারভাইজার ও ২১৫ জন শিক্ষিকার কাছ থেকে ব্যাংক হিসাব খোলার কথা বলে এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন জহিরুল ইসলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁদের ব্যাংক হিসাব খোলা হয়নি। তাঁরা নিয়মিত বেতনও পাচ্ছেন না। শিক্ষিকারা বলেন, সংস্থাটির ২১৫টি বিদ্যালয় রয়েছে। একেকটি বিদ্যালয়ে ৩৩ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি ফি ১৫০ টাকা ও মাসিক বেতন ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়। আদায়কৃত অর্থ সংস্থাটির পরিচালক জহিরুলের কাছে জমা রাখা হয়। কিন্তু এসব বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাগ ও পোশাক দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

নান্দাইল উপজেলা সমবায় কার্যালয় জানায়, তাদের কাছে এ ধরনের কোনো এনজিওর নিবন্ধন বা অনুমতি নেই। অনকুল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় লিমিটেড কর্তৃক নান্দাইলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই