তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ২৬কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার

ভালুকায় ২৬কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
[ভালুকা ডট কম : ২১ এপ্রিল]
রবিবার দুপুরে ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও  এলাকার গুচ্ছ গ্রামের পুরনো পুকুর খনন করতে গিয়ে কয়েকশত বছরের পুরনো কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। মূর্তিটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুর্তি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রোমেন শর্মা।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে কার্যাদেশ নিয়ে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুস ছামাদ,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম ও স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী মজলিশ পাড়াগাঁও মৌজার ৫৩৮নং দাগের ৪একর ২১শতাংশ জমির উপর গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি মাছ চাষের জন্য ভ্যাকু দিয়ে খনন কাজ শুরু করেন।  ঘটনার দিন পুকুরটি খনন করতে গিয়ে পুকুরের মাঝ খানের ১০/১২ ফুট নিচ থেকে কষ্টি পাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। মূর্তি উদ্ধারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মূর্তিটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার,হাজার লোকজন ভীর জমায়। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ,স্থানীয় হবিরবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পাড়াগাঁও মৌজার গুচ্ছ গ্রামের এ জমিটি খাস খতিয়ান ভূক্ত। জমিটি তৎকালীন মুক্তাগাছার জমিদার রগুনাথ বাবু জমিদারি স্টেট ছিল। জমিদারি প্রথা উচ্ছ্বদের পর সেটি খাস খতিয়ান ভূক্ত রেকর্ড হয়। স্থানীয়দের ধারণা মূর্তিটির বয়স পাঁচ শত বছরের পুরনো হতে পারে। মুর্তিটির মূল্য কত হতে পারে কেউ বলতে পারে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে মূর্তিটির মূল্য কয়েক কোটি টাকা মূল্য হবে। মূর্তির দৈর্ঘ্য অনুমানিক ২ফুট,প্রস্থ ১ ফুট,ওজন ২৬কেজি। উদ্ধার পর মূতিটি কী পাথরের পরীক্ষা করার জন্য সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রোমেন শর্মা পুলিশ প্রহরায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মূর্তিটিকে জেলা প্রশাসকের (রাষ্ট্রীয়) কোষাধারে জমা রাখা হবে।

গুচ্ছ গ্রামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, ছোট বেলা থেকে আমরা এ পুকুরটিকে আজৈরা পুকুর হিসাবে চিনতাম। তখন ভয়ে পুকুরে কেউ নামতো না। মাছ চাষের জন্য পুকুরটি খনন করার সময় মাটির নিচ থেকে মূর্তিটি পাওয়া গেছে।

নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রোমেন শর্মা জানান, প্রায় ১০ফুট মাটির নিচ থেকে মূর্তিটি পাওয়া গেছে। এটি কি পথরের তার এখনো বলা যাচ্ছে না। ডিসি স্যারের অফিসে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রাষ্টীয় কোষাধারে জমা রাখা হবে। মূর্তিটি কি পাথরের,কত টাকা মূল্য,কত বছরের পুরনো এখন কিছ্ইু বলা যাচেছ না। মূর্তি যদি কষ্টি পাথরেরও হয় খুব যে মূল্য হবে তার ঠিক না। কারণ সোনার দোকানের কষ্টি পাথর যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়। যদি কষ্টি পাথর খুব বেশি মূল্যেবান  হতো তাহলে সোনার দোকানদারা পাথরটি যত্ন করে রাখতো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই