তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সৃতিচারণ -কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে শব্দ যন্ত্র কলের গান

সৃতিচারণ -কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে শব্দ যন্ত্র কলের গান
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জুন]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিকায়নের স্পর্শে আজ মানব সভ্যতার অতি পুরাতন চিত্তবিনোদনের প্রথম আবিষ্কৃত শব্দ যন্ত্র গ্রামোফোন বাংলায় কলের গান এখন আর চোখে পরেনা। শিশু থেকে ৩০/৩৫ বছরের যুবক যুবতিদের কাছে এটি সম্পুর্ণ অপরিচিত। মানুষের ব্যাবহার থেকে সম্পুর্ণ রুপে হারিয়ে গেছে এক সময়ের অতি আশ্চর্য অদ্ভুদ আকৃতির শব্দ যন্ত্রটি।

বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম্বেল আবিষ্কৃত গ্রামোফোন যন্ত্রটির সাহায্যে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষেরা তাদের সংস্কৃতির ধারণকৃত শব্দরুপ বাতাসে ছড়িয়ে দিয়ে অন্যকে শ্রবনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কোন বৈদ্যুতিক শক্তি ছাড়াই স্প্রিং পেনিয়ামের সাহায্যে চালিত এ যন্ত্রটিতে ডিস্ক রেকড বসিয়ে চাবি ঘুড়িয়ে শক্তি তৈরী করে মাইক্রোফোন সাউন্ডবক্সে পিন ডুকিয়ে সাউন্ডবক্সটি রেকডের উপর আস্তে করে বসিয়ে চালু করলেই রেকডটি ঠায় ঘুরতে থাকে আর পিনে ঘর্ষনের ফলে গান শুরু হতো। একটি রেকডের দুই পৃষ্ঠায় দুটি গান শোনা যেত। আবৃতি, ড্রামা, গান, যন্ত্রসংগীত সহ সব ধরনের শ্রুতিমধুর শব্দ ধারন করা হতো চাঁেচর তৈরী কালো রংয়ের গোলাকার ডিক্স যাকে রেকড বলা হতো। আর কলেরগানে তা বসিয়ে চালু করলেই পছন্দের গান সহ নানা কিছু শোনা যেতো।

অনেক কথা আর স্মৃতিময় দিন জড়িয়ে আছে কলের গানের সাথে। আমার বয়স তখন ৬ কি সাত হবে। গ্রামের স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করি। গ্রামের ঝাড় জংলায় জড়িয়ে থাকা মেঠো পথ বেয়ে দেড় মাইল দুরে বড়দের সাথে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। স্কুল ছুটি হলে বাড়ী ফিরে খাবার খেয়ে ডাংগুটি খেলায় পাড়ার ছেলেদের সাথে যোগ দিতাম। একদিন রাতে হটাৎ ঘুম ভাঙ্গলো অচেনা মিষ্টি গলায় গানের শব্দ শোনে। গ্রামের উজার ভিটার বটতলার আসরে ডুগডোগি একতারা দোতারা আর পাতিল বাজিয়ে মানুষের স্ব কন্ঠে গাওয়া জারি গান,পালা গান, ঘাটু গান শুনেছি  অনেকবার কিন্তু বাক্স থেকে এত সুন্দর বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ সহ মিষ্টি মধুর গান ঘরে বাজছে শোনে চোখ কচলিয়ে উঠে বসে দেখি অবাক কান্ড। হ্যারিকেনের আলোতে দেখলাম একটা বাক্সের মাঝখানে থালার মত ঘুরছে আর থালার উপর বসানো রয়েছে একটি গোলাকার চাকতির মত কিছু যেটি একটু একটু নড়ে নড়ে শাঁ শাঁ করে ভিতরের দিকে এগুচ্ছে। বাক্সের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে গানের শব্দ।

আমি ওই গানের মানুষটিকে দেখার জন্য উকি ঝুকি পারছিলাম। আবার এটাও ভাবছিলাম এত ছোট বাক্সের ভিতর মানুষ থাকবে কি করে। যাইহোক পরে অবশ্য সবই বুঝতে পারি।  আমার পিতা ডাক্তার রমজান আলী তরফদার গান পাগল লোক ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ লিটন মেডিকেল স্কুলে লেখাপড়া করার সময় ময়মনসিংহ শহড়ে থাকতেন। ময়মনসিংহ শহড় থেকে তিনিই প্রথম আমাদের গ্রামে গ্রামোফোন বা কলেরগান কিনে আনেন। পরদিন সকালে পাড়ার লোকজন ভীড় জমায় কলের গান দেখতে। শুধু দেখা নয় দু-চারটি গানও শোনাতে হয় তাদেরকে। এর পর শুরু হয় কলের গানে গান শোনা। কালো রংয়ের বাক্সটি খোলে গোল লোহার প্লেটে পাতলা চাঁচের ডিক্স রেকড বসিয়ে তার উপর সাউন্ডবক্স বসিয়ে হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে শক্তি তৈরী করে চালু করলেই ৪/৫ মিনিটের একটি গান।

আমাদের বাড়ীতে শুরু হয় এপাড়া ওপাড়া থেকে লোকজনের আসা যাওয়া কলেরগানে গান শোনার জন্য। শুধু তাই নয় বিভিন্ন পাড়া মহল্লা এমনকি ভিন গাঁয়ের লোকজন কলেরগান শোনার জন্য বায়না স্বরুপ দাওয়াত করা শুর করে দিলেন। আমার পিতা যেহেতু ময়মনসিংহে লেখাপড়া করেন তখনও তাঁর পক্ষে এসব দাওয়াত রাখা সম্ভব হতোনা। পিতার অনুমতি ক্রমে এ কাজটি করতেন আমার এক চাচা রশীদ তরফদার। তিনি বাড়ীর কাজের লোকের মাথায় কলেরগানের বাক্সটি দিয়ে চলে যেতেন ওই সব দাওয়াতী বাড়ীতে। কাছে হলে আমিও চলে যেতাম সাথে। ড্রামা সিস্টেম রোপবান যাত্রার পালা, নবাব সিরাজ উদদ্দৌলার পালা, রাখাল বন্ধু পালা, নিমাই সন্স্যাস ইত্যাদি আব্বাছ উদ্দীন, আব্দুল আলীম, মীনাখান সহ বিভিন্ন শিল্পীর গান শোনতে ভিড় জমাতেন নারী পুরুষ সহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন। পরিশেষে মোরগ জবাই করে খাওয়া দাওয়া করিয়ে বিদায়। তখনকার সময়ে বিয়ে বাড়ী, দোকানের হালখাতা, বর্ষায় উবুরি নৌকায় জল বনভোজন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে লাউড স্পিকার ( মাইক) বাঁশের মাথায় টানিয়ে কলেরগানে গান বাজানো হতো।

 কলের গান এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পাক ভারত উপ মহাদেশের বিখ্যাত শিল্পীদের গান শোনার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সংগীত ও সংস্কৃতির জগতে যা চির স্মরনীয় ঘটনা। সংগীতকে রাজা বাদশাদের জলসা ঘরের বাইরে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে গ্রামোফন বা কলেরগান এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। কথিত আছে মোগলে আযম স¤্রাট আকবরের রাজত্বে প্রকাশ্যে গান নিষিদ্ধ ছিলো। স¤্রাট আকবরের শীষ মহলে রাজ জলসায় সংগীত পরিবেশন করতেন সুর স¤্রাট তানসেন যা প্রজাগনের শ্রুতিতে ধ্বনিত হতোনা। কিন্তু গান মানুষ শব্দ করে গাইতে না পারলেও গুনগুনিয়ে গেয়ে হৃদয়ের অভিব্যাক্তির প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। গ্রামোফোন আবিষ্কারের পর আমাদের এই বাংলাদেশে ভারতীয় বিখ্যাত শিল্পিদের কন্ঠে গাওয়া গান গুলি শোনার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

আমার বয়স যখন ৮ বছর ১৯৬৫ সালের দিকে তখন আমার পিতা ময়মনসিংহ শহড় থেকে প্রায়ই কোলকাতার শিল্পীদের গানের ডিস্ক নিয়ে আসতেন। এখনও সেই গান গুলি কানের কাছে নিঃশব্দে বেজে উঠে। ভারতীয় বাংলা চলচিত্রের প্রথম নায়িকা কানন দেবী। তিনি নজরুল গীতি, রবিন্দ্র সংগীত সহ অভিনয়ের সাথে নিজে প্লে-ব্যাক সিংগার হিসেবে অসংখ্য বাংলা ও হিন্দি সিনেমায় গান করেছেন। তাঁর গাওয়া নজরুল গীতি “ যদি আপনার মনে মাধুরি মিশায়ে-একে থাকো কারো ছবি, সে কথা বলিয়া যেও- ভূলিয়া যাবেকি সবি”, আর একটি গান “ আমি বন ফুলগো-ছন্দে ছন্দে দোলি আনন্দে আমি বন ফুলগো, বাসন্তিকার কন্ঠে আমি-মালিকা দো-দোলগো-” আকাশে হেলান দিয়ে-পাহাড় ঘুমায় ওই, ইত্যাদি।

তারও আগে আঙুর বালা দেবীর গাওয়া নজরুল গীতি “চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়, ইন্দোবালা দেবীর গাওয়া অসংখ্য নজরুল গীতি“ বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি, “ ডেকে ডেকে কেন তারে ভাঙ্গালি ঘোমের ঘোর, “ আজ বাদল ঝরে মোর একেলা ঘরে, ইত্যাদি। ভারতীয় বাংলা গানের জগতে কিংবদন্তী শিল্পী কুমার শচীন দেব বর্মণ তার কন্ঠে গাওয়া “ভ্রমরা--নিশিথে যাইয়ো ফুল বনে রে ভ্রমরা, “ রঙ্গিলা-রঙ্গিলা-রঙ্গিলারে, ইত্যাদি। এছারা সংগীতের স্বর্ণ যোগ ওল্ড ইজ গোল্ড যে যোগের নাম করণ হয়েছে ভারতবর্ষে সে সময়কার অনেক শিল্পীর গান শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল অল্প বয়সেই আমার পিতার সৌখিনতার বদৌলতে। যাদের গান এখনও মনের জানালায় উকি দেয়।

সুধির লাল চক্রবর্তীর গাওয়া “খেলাঘর মোর ভেঙ্গে গেছে হায়-নয়নেরও যমুনায়, সাপমোচন ছবিতে হেমন্ত মুখার্জীর গাওয়া “ বসে আছি পথ চেয়ে-ফাগুনের গান গেয়ে,যত ভাবি ভূলে যাবো মন মানেনা” লতাজির কিশোরী কন্ঠে গাওয়া “প্রেম একবার এসেছিল নিরবে-আমারই এ দুয়ার প্রান্তে, “আকাশ প্রদীপ জ্বলে দুরের তারার পানে, “বাচপান কি মোহব্বত কো,ইত্যাদি। ভারতীয় বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন যার অসংখ্য গানে ঠুট মিলানো সন্ধ্যা মুখার্জীর গাওয়া,“ফুলের কানে ভ্রমর আমি স্বপ্ন ভরা সম্ভাষন- এই কি তবে বসন্তেরই নিবন্ধন, “মধু মালতী ডাকে আয়-ফুল ফাগুনের এ খেলায়,“ এ শুধু গানের দিন এ লগন গান শুনাবার, ইত্যাদি। একটি নাম না বললেই নয় গীতা দত্ত যার কন্ঠে “নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে, চুপি চুপি বাঁশি বাজে বাতাশে বাতাশে,। জগন্ময় মিত্র, শ্যামলমিত্র, আঙুরবালা দেবী, ইন্দোবালা দেবী,সতিনাথ মুখপাধ্যায়, মোহাম্মদ রফি, কিশোর কুমার, আশা ভোষলে,উষা মঙ্গেষ্কার, আরো অনেক শিল্পীর গান কলের গানে শোনা যেত।

তার পরে আমাদের রংপুরের ভাওয়াইয়া গান যার মধুর কন্ঠে বিভিন্ন গানে ফুটে উঠতো বিরহী নারীর হৃদয় উজার করা কথা মালা সেই আব্বাস উদ্দীন। তার গাওয়া “ ওকি গাড়িয়াল ভাই, “ আমায় এত রাতে কেনে ডাক দিলি, “নদীর কুল নাই, হেমলতা ও আব্বাছ উদ্দীনের দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া “ নাইয়র ছাইরা দেওরে বন্ধু-নাইয়র ছাইরা দেও,  ইত্যাদি। একই সময়ে পল্লীর মানুষের মন কাড়া শিল্পী আব্দুল আলীমের গান শুনতে কলের গানের চার পাশে ভিড় জমাতো গ্রামের নারী পুরুষ সব বয়সের মানুষ। ভাটিয়ালী, পল্লগিীতি কলের গানে বেজে চলতো গ্রাম বাংলার বাড়ী ঘর দোকান পাট আনাচে কানাচে। “রুপালী নদীরে রুপ দেইখা তোর হইয়াছি পাগল, “ সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই, “কেহই করে বেচা কেনা কেহই কান্দে-রাস্তার ধারে ধরবি যদি তারে, ইত্যাদি।

কলের গানে গান শোনা যেত আর এক গুনি শিল্পী মিনা খান ওরফে মিনা হামিদ। দেশ স্বাধীনের আগে ষাটের দশক পর্যন্ত কলের গানে যাদের গান শোনা যেত তাদের মধ্যে মধুর কন্ঠী শিল্পী মিনা হামিদ। “ আমার সোনার ময়না পাখি, “নদীতে না যাইওরে বইদো, “আমার নিদারুন স্বাম-তোমায় নিয়ে বনে আসিলাম, ইত্যাদি। গ্রামোফোন ডিক্সে গান রেকড করেছেন এমন অনেক গুনিশিল্পী ছিলেন যাদের নাম আমার জানানেই। স্মৃতির স্মরনিকায় যাদেরকে উপলদ্ধিতে পেয়েছি শুধু তাদের কয়েকজনের নামই আজকের এই লেখায় তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি শুধু হারিয়ে যাওয়া কলেরগান নামের যন্ত্রটির তাৎপর্য এ প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে।  

১৯৩০ ইং সন থেকে ১৯৪৭  ইং সন পাকভারত তৎপরবর্তী ১৯৭০ পর্যন্ত সময়কে সংগীতের সোনালী যুগ বা স্বর্ণ যুগ বলা হয়ে থাকে। এ সময়টিতে বড় বড় সাধক উস্তাদদের মাধ্যমে যন্ত্র সংগীত ও কণ্ঠ সংগীতের পরিপূর্ণতা আসে বলে অনেকের ধারনা। শুনেছি তখনকার দিনে প্রাসাদ- হাবিলির জলসা ঘরে শিল্পীরা বেশীর ভাগ রাজপ্রধান, ঠুমড়ি, গজল ও উচ্চাঙ্গ সংগীত গাইতেন। আস্তে আস্তে ঢং ও কথার পরিবর্তন আসলে সকল শ্রেণীর শ্রুতার কাছে গান সহজ ও বোধগম্য রুপনেয়। আর ওই সময়টিতেই কলেরগান ডাক হরকরার মত সংগীতকে পৌছে দেয় সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়।  

কোলকাতা হিজ মাষ্টার্স ভয়েজ কোম্পানীর তৈরী মাইকের সামনে বসা কুকুরের ছবির লগো সম্বলিত বিভিন্ন সাইজের গ্রামোফোন বা কলের গান, ডিস্ক রেকড, পিন বক্স বাংলাদেশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভারত থেকে আমদানি হতো। মূলত এ দেশে কলের গানের কোন কিছুই তৈরী হতোনা। বেতার যন্ত্র রেডিও ও টেপ রের্কডার আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত কলের গানের প্রচলন সর্বত্রই পরিলক্ষিত হতো। রেডিও টেপরের্কডার বাজারে আসায় ষাটের দশক হতে আস্তে আস্তে কলেরগান বাজানো কমতে থাকে। সত্তোরের দশকে এটি একেবারেই বাক্স বন্দী হয়ে পরে।

১৯৭১ পর্যন্ত আমাদের দুটি গ্রামোফোন বক্স ছিলো যা যুদ্ধের সময় লুট হয়ে যায়। এর পর হতে ক্যাসেট প্লেয়ার ও রেডিওর ব্যাবহার শুরু হয়। কিন্তু কলের গানের ডিক্স পিনের সা-সা শব্দের মাঝখান থেকে বেড়িয়ে আসা গানগুলি আজও অনূভবে হৃদয়ে পূলক জাগায়। কলের গান হারিয়ে গেলেও সে সময়ের রেকর্ডকৃত গানগুলি অনন্তকাল বেজে যাবে সংগীতপ্রেমী মানুষের হৃদয় যন্ত্রে।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

সাহিত্য পাতা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই