তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে নুতন বিুদ্যৎ সংযোগের নামে জনগণের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

নান্দাইলে নুতন বিুদ্যৎ সংযোগের নামে জনগণের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৮ সেপ্টেম্বর]
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে নুতন বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন প্রদানের কথা বলে  জনগণের নিকট থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট এসব গ্রামের লোকজনদের কাছ থেকে সংযোগ প্রতি ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে নান্দাইল বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন ওই অঞ্চলে এখনো গ্রাহক পর্যায়ে সংযোগ দেওয়ার পক্রিয়া শুরু হয়নি। তাই অফিসিয়ালি কোন টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের লতিফপুর, দাপনহাটি, কাওয়ারগাতী, চকমতির একাংশ, মাইজহাটির একাংশ, ইন্দারগাতী, রাজগাতী ইউনিয়নের রাজগাতী গ্রামে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন তৈরী হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে এসব গ্রামের নিরীহ মানুষ স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির কাছে টাকা জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ এক বছর আগেও টাকা দিয়েছেন। এসব গ্রামের শতাধিক লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে প্রতি মিটারের জন্য জমা দিয়েছেন। সরকারী হিসাব মতে সংযোগ পেতে প্রতি মিটারে অন্তত ৬৫০ টাকা জমা দিতে হয়।

অনুসন্ধানে জানাগেছে উল্লেখিত গ্রামগুলোর প্রায় ৭শতাধিক পরিবার বিদ্যুতের লাইনের জন্য অবৈধভাবে সিন্ডিকেটের নিকট টাকা জমা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, এসব গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়েছে। খুটিঁতে তার লাগিয়ে সঞ্চালন লাইন তৈরী করা হয়েছে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে সংযোগ দেওয়া হয়নি।

ইন্দারগাতী গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তাদের কাছ থেকে গ্রামের মো. মোজাম্মেল হোসেন ও রেজাক মিয়া নামে দুই ব্যাক্তি টাকা নিয়েছেন। একই গ্রামের সঞ্জু মিয়া (৫০) বলেন, প্রায় পাচঁ মাস আগে আমিও আমার তিন ভাই মোজাম্মেল হোসেনকে ২৪ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু সংযোগ পাইনি। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ওই টাকা বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে খরচ করা হবে। এরই মধ্যে ১১৬ জনের ঘরে ওয়্যারিং করে দেওয়া হয়েছে। সঞ্চালন লাইন চালু হলে সবাই সংযোগ পাবে।

অন্য ছয়টি গ্রাম থেকে টাকা নিচ্ছেন নবীয়াবাদ গ্রামের মো. হাদিস মিয়া ও সুরুজ আলী। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন হাদিস মিয়া বলেন, আমার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিন বছর আগে মুশুলি ইউনিয়নের মেরেঙ্গা ও নবীয়াবাদ গ্রামের লোকজন বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছে। এবার তাঁকে (বড়ঁ  কর্মকর্তা ) ধরে এসব গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অফিস খরচ থেকে শুরু করে ওয়্যারিং, পরিদর্শন, বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের খুশি করা, জামানত প্রদান প্রভৃতি কাজ আমরাই করে দেব।

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মনির উদ্দিন মজুমদার বলেন, সংযোগের জন্য কাউকে টাকা দিতে বারণ করে মাইকিং করেছি। কর্তৃপক্ষের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করেছি। এখন কেহ যদি স্বেচ্ছায় অফিসে টাকা জমা না দিয়ে বাহিরের লোককে প্রদান করেন এক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই