তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরের হামিদপুর গ্রামে চলাচলের একমাত্র উপায় বাঁশের সাঁকো

রাণীনগরের হামিদপুর গ্রামে চলাচলের একমাত্র উপায় বাঁশের সাঁকো
[ভালুকা ডট কম : ১৬ অক্টোবর]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউপি’র সবগুলো গ্রাম অবস্থিত প্রত্যন্ত এলাকায়। এই ইউিিনয়নটি বিল এলাকা নামে পরিচিত। বর্ষাকালে চলাচলের একমাত্র উপায় নৌকা। গত ১বছার পূর্বে হামিদপুর গ্রামে শ্রীমতখালী খালের উপড় ব্রিজটি নির্মাণ কাজের শেষ সময় মাঝের পিলারটি দেবে যায়। এতে করে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ধুলায় মিশে যায়।   
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীনগর উপজেলার ৮নং মিরাট ইউপি অত্যন্ত অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত এলাকা নামে পরিচিত ছিলো। যুগ যুগ সময়ে এতটুকু উন্নয়ন করা হয়নি এই এলাকার। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই এলাকায় উন্নয়নের সূচনা করা হয়। এই শ্রীমতখালী খালে পূর্বে এলাকার মানুষ নৌকায় করে পারাপার হতো। কয়েক বছর আগে স্থানীয় লোকেরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। এরপর গত বছর এই খালের উপড় একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের শেষ সময়ের দিকে নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্মমানের হওয়ার কারণে মাঝের পিলারটি দেবে যায়। ব্রিজটি দেবে যাওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও আজো ব্রিজটি পূর্ণনির্মাণ করার কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে এই ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র উপায় এই নড়োবড়ো বাঁশের সাঁকোটিই। এই পথ ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষদের।

হামিদপুর গ্রামের মো: নজরুল ইসলাম (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) সহ আরো অনেকে জানান, আমরা যে অবহেলিত ছিলাম আজো তাই রয়ে গেলাম। আমাদের ভাগ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্মমানের কাজের কারণে ব্রিজটি নির্মাণাধিন অবস্থায় পিলার দেবে যায়। অথচ ১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো ব্রিজটি পূর্ণনির্মাণের কোন প্রদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি। জানি না আমাদের জীবন দশায় এই খালের উপড় ব্রিজ দিয়ে চলাচল করা ভাগ্যে আছে কি না ? তারা আরো জানান, যদি এই ব্রিজটি পূর্ণনির্মাণ করা দেরি হয় তাহলে আপাতত চলাচলের জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারে কর্তৃপক্ষ। একটি ব্রিজের অভাবের কারণে প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ মালামাল বহন করে কাছের কোন স্থানে স্থানান্তর করতে পারছে না। এতে ব্যবসায়িক কাজে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

মিরাট ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম জানান, এই সাঁকোর উপড় দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ব্রিজটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও কাজ নিম্মমান হওয়ার কারণে উদ্বোধনের আগেই দেবে গেছে। এরপর থেকে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত আবেদন দিয়েছি তবুও এখনো কোন সমাধান হয়নি। বিকল্প একটি ব্রিজ নির্মাণ করার জন্যেও কর্তৃপক্ষকে একাধিকবা অনুরোধ করেছি।  
 
উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাইদুর রহমান মিঞা জানান, এই ব্রিজটি নতুন করে পূর্ণনির্মানের জন্য সকল প্রস্তুতি শেষের দিকে। বরাদ্দ পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই