তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুর প্রধান ডাকঘরে জার্নাল বুক,জনবল ও অবকাঠামো সংকট

চিঠি রেজিস্ট্রীতে অতিরিক্ত ফি আদায়
শ্রীপুর প্রধান ডাকঘরে জার্নাল বুক,জনবল ও অবকাঠামো সংকট
[ভালুকা ডট কম : ০৪ ডিসেম্বর]
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা প্রধান ডাকঘরসহ ১২টি শাখা ডাকঘর অফিসে জার্নাল বুক (রেজিস্ট্রী বই) সংকটের নামে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। চিঠি রেজিস্ট্রী থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনবল এবং অবকাঠামো সংকট রয়েছে উপজেলা ডাকঘরসহ শাখা ডাকঘরগুলোতে।

গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান (গার্মেন্টস, সোয়েটার, সিরামিক, সাইকেল ফ্যাক্টরী, পলি কারখানা, প্লাস্টিক কারখানা) রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসেই শত শত চিঠি রেজিস্ট্রী করা হয়।

শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকার এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেডের এম এল এস এস (পিয়ন) সুজন বেপারী জানান, শ্রীপুর উপজেলা প্রধান ডাকঘর থেকে চিঠি রেজিস্ট্রী করতে গেলে ২০টির বেশি চিঠি রেজিস্ট্রী করা যায় না। তাছাড়া প্রতি চিঠি রেজিস্ট্রী করতে ১০ টাকা ফি দিতে হয়। অথচ রসিদ দেয়া হয় মাত্র ৭ টাকার।

প্যাশন মেকারস্ কারখানার কমপ্লায়েন্স অফিসার মাকসুদুর রহমান জানান, শ্রীপুর প্রধান ডাকঘরে বেলা ১২টার পর গেলে রানার আব্দুল খালেক বলেন ১২ টার পর কোনো চিঠি রেজিষ্ট্রি হয় না। তাছাড়া ১০/২০ টির বেশি চিঠি রেজিষ্ট্রি করার এখতিয়ার তাদের নেই। উপরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যদি আপনারা অনুমতি আনতে পারেন, তাহলে আমদের রেজিস্ট্রি করতে কোনো সমস্যা নেই।  

গ্রাহকেরা জানান, উপজেলা ডাকঘরের রানার আব্দুল খালেক একই ডাকঘরে প্রায় এক যুগ ধরে চাকরী করছেন। রাজস্ব টিকিট বিক্রি, চিঠি রেজিস্ট্রেশনের কাজও তিনিই করেন। এসময় তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রী ফি নিয়ে থাকেন। সরকারী সেবার গুরুত্বের কারণে গ্রাহকেরা বাধ্য হয়ে তাদের কৌশলী দুর্ভোগ মাথা পেতে নেন। পোস্ট মাস্টার পারভীন আক্তারও গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে গ্রাহকেরা অভিযোগ করেন।

উপজেলা ডাকঘরের রানার আব্দুল খালেক বলেন, উপরের কর্মকর্তারা চেয়ারে বসে ঘুষ খায়। চাহিদানুযায়ী জার্নাল বুক (রেজিস্ট্রী বই) চাইলেও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জার্নাল বুক দেন না। ফলে উপজেলা প্রধান ডাকঘরসহ শাখা ডাকঘরগুলোর কর্মীরা বিড়ম্বনায় পড়েন। উপজেলার যেসব পোস্ট অফিস থেকে উপরের কর্মকর্তাদের চাহিদামতো ঘুষ দেয়া হয় সেসব পোস্ট অফিসে চাহিদানুযায়ী জার্নাল বুক (রেজিস্ট্রী বই) সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, দরিদ্র তহবিলের জন্য রেজিস্ট্রী চিঠিতে অতিরিক্ত তিন টাকা নেয়া হয়।

শ্রীপুর উপজেলা প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার পারভীন আক্তার এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজী হননি।শ্রীপুর উপজেলা প্রধান ডাক ঘরের পোস্টাল অপারেটর শরীফ হোসেন বলেন, মাসে ৪’শ জার্নাল বুকের জন্য আবেদন করলে মাত্র দেড়’শ জার্নাল বুক সরবরাহ করা হয়। উপজেলা প্রধান ডাকঘরে তিনজন পোস্টাল অপারেটরের স্থলে একজন, তিনজন পোস্টম্যানের স্থলে একজন, ২জন রানার ও একজন পোস্ট মাস্টার রয়েছেন। ১২টি শাখা ডাকঘরে তিনজনের জনবল থাকার কথা রয়েছে। সেসবেও জনবল সংকট রয়েছে।

গাজীপুরের পোস্টাল পরিদর্শক রাজন ভূষণ দাস বলেন, উপজেলা ডাকঘরের চাহিদানুযায়ী জার্নাল বুক সরবরাহ করা হয়। রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠানোর নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। অফিস সময় পর্যন্ত চিঠি রেজিস্ট্রি করা যায়। আকস্মিক জার্নাল বুকের সংকট হতে পারে। কিন্তু তা সব সময়ের জন্য নয়। দরিদ্র তহবিল নেই, ঘুষের অভিযোগ সঠিক নয়। যদি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এসব বলে থাকে এটা তাদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই