তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় ব্রীজের মূখে মাটি ফেলে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ

নওগাঁয় ব্রীজের মূখে মাটি ফেলে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ
[ভালুকা ডট কম : ১৬ মে]
ব্রীজের দুই মাথায় পুকুর খনন করার মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে উত্তোলন করে উঁচু পাড় নির্মান করায় ব্রীজের নীচ দিয়ে পানির স্বভাবিক প্রবাহ হুমকী মূখে পড়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এতে করে ওই এলাকার ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি, হাজার হাজার বিঘা আবাদী জমি ও বসতবাড়ি বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যাবার আশংকা করছেন ওই এলাকার জনসাধারন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ নওগাঁর মান্দা উপজেলার ৪নং গনেশপুর ইউনিয়নের নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের শাপলা ফিলিং ষ্টেশনের কাছে গোদনার বিলের ব্রীজের দুই ধারে পুকুর খনন করছেন স্থানীয় এক পরিবার। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের ৫০তম কিলোমিটারে শাপলা ফিলিং ষ্টেশনের দক্ষিন পার্শ্বে ব্রীজের (গোদনা বিল ব্রীজ) উত্তর ও দক্ষিন পার্শ্বে  উঁচু পার নির্মান করে পুকুর খনন করছেন মান্দা কামারকুড়ি গ্রামের মোঃ ওবায়দুল বিশ্বাস ও তাঁর পরিবার। এই ব্রীজের নীচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে অথবা বন্যার সময় বিপুল বেগে পানি প্রবাহিত হয়। ব্রীজেটির উত্তর দিকের মান্দা উপজেলার উত্তরপারইল, দোসতিনা, কালিকাপুর ও সূর্যনারায়নপুরসহ ৪টি গ্রামের পানি নিস্কাশন হয়। ব্রীজের দুই মাথায় পুকুর খনন করতে গিয়ে ওই পুকুরের মাটি উত্তোলন করে উঁচু করে পুকুরের পার নির্মান করা হচ্ছে। এতে ওই ব্রীজের দুই মাথায় উঁচু বাঁধের মত স্থায়ী প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই ব্রীজেন নীচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কোন ভাবেই স্বাভাবিক পানি নিস্কাশন হওয়া সম্ভব না। এই স্থায়ী বাঁধের ফলে পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতায় তলিয়ে যাবে উল্লেখিত ওই ৪টি গ্রাম।

ওবায়দুল হক বিশ্বাস ও তাঁর নাতি নবেল বলেন ওই ব্রীজের দুই ধারেই তাঁদের পরিবারের খতিয়ান ভুক্ত ১.৪০ একর সম্পত্তি আছে। এসিল্যান্ড অফিস থেকে যে অনুমতি দেয়া হয়েছে সেই মোতাবেক কাজ চলছিল। সেখানে ব্রীজের পানি প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্থ না হয় সেই ব্যবস্থা রেখে পুকুর খনন করতে বলা হয়েছে। ব্রীজের পানি নিস্কাশন যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে ভাবেই পুকুরের কাজও করা হচ্ছিল। মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজ বন্ধ করতে বলায় পুকুর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা আরো বলেন গনেশপুর ও মান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এই বিষয়ে সিদ্ধন্ত নিতে। তবে জনগনের ক্ষতি বা সরকারের ক্ষতি হয় এমন কাজ সেখানে করা হবে না। প্রয়োজনে পুকুরের কাজ বন্ধ থাকবে।

গনেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দীন মন্ডল বলেন, গোদনার বিলে পুকুর খননের  বিষয়ে বসার কথা আছে। একবার বসে আলোচনা করা হয়েছে সেদিন সমাধান হয়নি। তবে এখন ধান কাটা নিয়ে সকলে ব্যস্ত। পরবর্তিতে এই বিষয়টি নিয়ে দিন নির্ধারন করে বসতে হবে।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুশফিকুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই