তারিখ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দেখুক বিশ্ব আমরাও পারি

দেখুক বিশ্ব আমরাও পারি
[ভালুকা ডট কম : ২১ জানুয়ারী]
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও নিয়মের দোহাই দিয়ে সমর্থনহীন অবিশ্বাসযোগ্য বিজয় ও জোড়াতালির সংসদ দিয়ে একটি দেশ কতটুকু এগুতে পারে। এটা যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন, জানেন বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।গৃহপালিত বিরোধী দলের কি পরিণতি তা আ.স.ম. আব্দুর রবের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। এরশাদের তথাকথিত সেই নির্বাচন রবের মত একজন নেতাকে জনগণের কাছ থকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেল। জাতীয় নেতাকে আঞ্চলিক নেতায় পরিণীত করল।

সমাধান চাই। কিন্তু সমাধান কোথায়। উদ্যোগই বা কোথায়। বিদেশী ব্যবস্থাপত্রে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা কতটা সুখপ্রদ? প্রধান দু’দলের সমসাময়িক বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাবিয়ে তুলেছে।ভাবিয়ে তুলেছে তৃণমূল রাজনৈতিক কর্মীদেরও।দেশ এখন কোন পথে এগুচ্ছে।

দৃশ্যত: মনে হচ্ছে বিএনপি জামাত নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনেছে। ইতিমধ্যেই জামাত বিহীন একটা সমাবেশ করেছে। এতে সহিংস রাজনীতি অহিংস হতে সাহায্য করবে। আর অন্য দিকে আওয়ামী লীগ জেলে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়ে নিরাপদে চলে যেতে সাহায্য করেছ। বোদ্ধারা মনে করছেন তবে কি আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদের মোকাবেলায় সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে রাজনীতিকে সহিংসতার দিকে ঢেলে দিচ্ছে। পত্রিকায় প্রকাশ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির সংবাদে আন্ডার ওয়ার্ল্ড নড়েচড়ে উঠছে। শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ।

আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশকে আমরা কোন পথে নিয়ে যাব।উদীয়মান বাঘকে আমারা হত্যা করব, না পঙ্গু করে দিব, না বিশ্ব জয়ের কাফেলায় শরিক করব। যে যাই বলুক। নির্বচন করে আওয়ামী লীগ একটু সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেছে। অন্তত আলোচনার মুলা ঝুলিয়ে সময় নদী পার করে দিতে চাইবে। নির্বাচন করার সাংবিধানিক চাপ আপাতত আগামী পাঁচ বছর নেই। মন্ত্রীদের কথাবার্তায় এমনটা ধারনা করলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সদিচ্ছাটাই এখন মুখ্য।

আন্দোলনের চাপ আওয়ামী লীগ প্রতিহত করতে পারে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ রাষ্ট্র যন্ত্রের সফল ব্যবহার অনৈতিক ভাবে হলেও এরা করেছে। বাকি আছে দ্বিতীয় পথ বৈদেশিক চাপ। এটা আমাদের জন্য সুখকর কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।

অতি কূটনৈতিক নির্ভরতা বিএনপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য এখনই দরকার বিএনপিকে ঢেলে সাজানো।দলের কাউন্সিলটা এখনই করে ফেলা দরকার। যারা দল ছেড়ে চলে যাবার তারা দুঃসময়ে পালিয়ে থেকেছে। লোভী, পরশ্রীকাতর, ফটো রাজনৈতিকদের দিন শেষ। একটা কথা সত্য রাজনীতিতে অর্থ যোগান একটা মুখ্য বিষয় হলেও যাদের কাছে অর্থ আছে তারা রাজনীতির মাঠে থাকেন না। সব কিছু কিনে ফেলতে চান। মিছিলের লোক, জনসভার লোক, বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ, মিডিয়াতে প্রচারে সুযোগ, দলীয় পদবী, নির্বাচনের মনোনয়ন।যার ফলে গণতন্ত্র অভিযাত্রায় দলের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সাড়ির নেতাদেরকে মাঠে দেখা যায় নি। দলের নেত্রীর পাশে কাউকে দেখা যায় নি। বিরোধী দলের নেত্রীর এই আত্ম উপলব্ধি করা দরকার।

আসুন নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করি।সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে না দিতে, আমাদের কৃষককে বাঁচাতে, আমাদের শিল্পকে বাঁচাতে, দেশটাকে বাঁচাতে,  সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সবার অংশগ্রহণমূলক আরেকটা অবাধ নির্বাচনের যৌথ সিদ্ধান্ত নিক আমাদের প্রধান দুই দল । দেখুক বিশ্ব আমরাও পারি।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই