তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আর কত দূর.........? পর্ব -০৩

আর কত দূর.........? পর্ব -০৩
[ভালুকা ডট কম : ২৪ অক্টোবর]
শ্রদ্ধাবোধ
বিনয়, নম্রতা, ভদ্রতা, সহনশীলতা,উদারতা, ধৈর্যশীলতা, সময়নিষ্ঠ, উদ্দোমী, ন্যায়নিষ্ঠ, সুবিবেচক, সুবিচারক, পরপোকারী,সেবক, মিতব্যয়ী, ধার্মিক, অধ্যাবসায়ী, সৎচরিত্রের অধিকারী -- এ সকল গুনাবলীযাদের মধ্যে বিদ্যমান তারাই শ্রদ্ধার পাত্র বা শ্রদ্ধাশীল। তাহলে মানবতার উপকারে যে সকলচারিত্রিক গুনাবলী সবই শ্রদ্ধার পাত্রে আবদ্ধ।পৃথিবীর সকল মানুষ শ্রদ্ধার পাত্র হবে এটা আশাকরাই স্বাভাবিক। একজন শিক্ষককে ছাত্র শ্রদ্ধাকরে। তাহলে একজন শিক্ষকের মাঝে ও এইসকল গুনাবলী থাকার কথা। আমরা মনে করিএ সকল গুনাবলী বিদ্যমান আছে বলেই একজনশিক্ষক শ্রদ্ধার পাত্র।

শিক্ষা যদি জাতির মেরুদন্ড হয় তাহলে শিক্ষক হবে মেরুদন্ড সৃষ্টিরশিল্পী। আমি এখানে কারিগর বলব না। কারনকারিগর শব্দটি কেমন জানি এক দিক বুঝায়।শিল্পী শব্দটির বিস্তৃতি অনেক। তাই শিক্ষক মানুষগড়ার কারিগর না ব্যবহার করে " শিক্ষক মানুষগড়ার শিল্পী " ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়। যাই হোক শিক্ষকসম্প্রদায় শ্রদ্ধার পাত্র এটাইঠিক আচ্ছা মাননীয়, জনাব, সম্মানিত, প্রিয়এ শব্দগুলি কি তাহলে রাষ্ট্রিয় ভাবে স্বীকৃত বিশেষ ব্যক্তি বা রাষ্ট্রিয় কতগুলি পদ। আমারধারনা তাই হবে।তাহলে আমরা যাদের নামেরপূর্বে এই শব্দগুলি ব্যবহার করি তাহারা ঐ সকলগুনের অধিকারী নাও হতে পারে। শ্রদ্ধারপাত্র নাও হতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রিয় পদমর্যাদায় বলতেবা লিখতে বাধ্য। আর সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তি, মুরব্বি, সমাজসেবক, তারাও শ্রদ্ধার পাত্র। এই শ্রদ্ধাবোধটাকে জাগ্রত করার দায়িত্বে শিক্ষক সম্প্রদায়ের ভুমিকা সর্বার্গে। আমি মনে করিশিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিই পারে প্রকৃত শ্রদ্ধাবোধ সকলের মাঝে জাগ্রত করতে। শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করুন প্রকৃত মর্যাদা দিন। দেশ ও জাতির কল্যান হবে।

Childhood
"Beauty charms everybody"প্রতিটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে গর্ভধারীনি মাদীর্ঘ প্রায় দশটি মাস কষ্ট করল সেও কিন্তু শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে অতীতের সব দূ:খ ব্যাথাভুলে যায়। শিশুটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় মা বাবাসহসকলেই। হাসিখুশিতে ভরপুর হয় সংসার। আনন্দঘন পরিবেশ তৈরী হয় আত্বীয়, অনাত্মীয়সকলের মাঝে। মায়ের মায়া মমতায়, বাবার স্নেহময়তায় আর আত্বীয় অনাত্মীয়ের আদরে বড় হতে থাকে সংসারে। আর এভাবেই অতিবাহিত হওয়ার কথা তার শিশুকাল। কিন্তুআদৌ কি অতিবাহিত হয় বা হতে পারে? কোন কোন বাবা মা ছয় বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই পাঠায়স্কুলে আবার কোন কোন বাবা মা ছয় বছর পর্যন্ত লালনপালন করে আয়ার মাধ্যমে। তারপর স্কুলেও আয়া। এমনও দেখা যায় কোন কোন মা বাবাছয় বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কর্মসংস্থানে লাগিয়ে দেয়। অন্যদিকে যাব না আজ শুধু শিশুদের শিক্ষা সম্পর্কে লিখব। আসলে মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ারপর থেকেই একটি শিশুর শিক্ষাকাল শুরু হয়ে যায়। যেহেতু শিক্ষা হলো আচরনীক পরিবর্তন।মা বাবা বা নিকটজন হাসলে শিশু হাসে আবারমন খারাপ করলে শিশুও মন খারাপ করে। ক্ষুধালাগলে শিশু কাঁদে। অপরিচিত কারো কাছে সেযেতে চায় না। আবার এটাও দেখা যায় কোন কোন খেলনা তার পচ্ছন্দ আবার কোন কোন খেলনা সে পচ্ছন্দ করে না।মোবাইল এ ব্যাটারির চার্জ ছিলনালিখতে পারিনি। লিখা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আপনারাও বন্ধ করে দিন। মোবাইল নয় শিশু নির্যাতন। আপনার শিশু অতিতর আদরে ভবিষ্যৎ স্বপ্নের মানুষ গড়ার লক্ষ্যে শিশুটির বয়স ছয় বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন।শুধু এটাই নয় শিশুটি যখন আদো আদো কথা বলতে শিখে তখনই শুরু করেন বর্ণমালা শিখানোর কৌশল। এটা একধরনের শিশু নির্যাতন।

অনেকে আবার ধমকও দিয়ে থাকেন।শুধু ধমক নয় কেউ কেউ শিশুর গায়ে হাতও তুলেন। এগুলি আপনার অতি আদরের শিশুকেমানুষ করার জন্যই আপনি করে থাকেন, এটা জানি। কিন্তু আপনার এ আদর আসলে শিশু নির্যাতন। আপনাদের জানার অভাব। ছয় বছরবয়স পর্যন্ত কোন শিশুকে পারিবারিক শিক্ষা ছাড়া অন্যকোন ধরনের শিক্ষা বা শিখানোর দরকার নেই। মায়ের গর্ভ থেকে যেভাবে সম্পূর্ণএক নতুন জগতে এসেছে ঠিক একই ভাবে শিক্ষাজগতে প্রবেশ করবে। আর এ জন্যই আমি আমার "শিক্ষা" পর্বে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও বয়স অনুযায়ী শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তনের কথা বলেছিলাম। কিন্ডারগার্ডেন নামে যে স্কুল গুলি আমাদের দেশে রয়েছে এ গুলি দেখার তোকেউ নেই। কি পড়াচ্ছে বা কি মানের পড়াচ্ছে সবই স্ব স্ব নির্ধারিত। আর দেখবেন মায়েরা কিপেরেশানি। মায়ের পেরেশানিতে মনে হবে যদি এমন হতো যে আজই আমার শিশুটি ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার বনে যেত। আর কিন্ডারগার্ডেন গুলিও এমন যে আটানব্বই, নিরানব্বুই, বা মোট নম্বরদিয়ে কম্পিটিশন আরো বাড়িয়ে দেয়। আর জ্ঞানী মায়েরা নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে শিশুটিরপিছনে লেগে পরে কিভাবে পূর্ন নম্বর পাওয়া যাবে। এসব মায়েদের নাকি আবার সম্মানেও বাঁধে। শিশুটি পড়তে পড়তে আর মায়ের কথা শুনতে শুনতে, দুধ কলা খেতে খেতে আর ঘরে বসে থাকতে থাকতে ফার্মের মুরগীর মত দূর্বল হয়ে পরে। খেলাধূলা তো নাই ই এরপর ঘরেও দূষ্টমি করা যাবে না। কি আর করা ঘরে বসে খাওআর মোটা হও। কয়েকদিন পর চশমা নিবা। আর ডাক্তারখানা মাসে মাসে। কিন্ডারগার্ডেন গুলিতে তো খেলার মাঠ লাগেনা। আর এ জন্য WHO এর মতে ২০২১ সালের পর ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের স্ট্রোক মহামারী আকার ধারন করবে। ব্যক্তিগত একটা ঘটনা বলি একদিন বাসায় গিয়ে দেখি আমার জীবন সঙ্গিনী, আমার ডরভব চোখের জল আর নাকের জল একটা করে ফুফাইয়া ফুফাইয়া কাঁদছে। আমি বিনীত ভাবে জানতে চাইলাম, কি হয়েছে? তোরাগেগরগর করে মুখ লাল করে উত্তর " তোমার মেয়ে পরীক্ষায় ৯৯ নম্বর পেয়েছে"। আমি আর স্কুলে তোমার মেয়েকে নিয়ে যাব না। ব্যাস হয়ে গেল। বললাম, না! খুব খারাপ করেছে। পাশে দেখলাম মেয়েটি ভয়ে কাঁপছে। ডরভব কে বুঝিয়ে শুনিয়ে কোন রকম ঠান্ডা করলাম কিন্তু মেয়ে? যে ভয়ে কাঁপছে?কি আর করা। বললাম বাবা তোমার আম্মাজানকে আর পড়তে হবে না। তোমার আম্মা ফেল করেছে তো, তাই কাঁদছে। ওসে কি খুশি! আম্মা ফেল করেছে, আম্মা ফেল করেছে। তারপর তো বুঝেনই, আদর দিয়ে মাথায় তুলেছি, ইত্যাদি। না! এখনো শেষ করতে পারলাম না। পরে আবার লিখব।ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক, খালাকাল ইনসানা মিন আলাকমহানআল্লাহর বানী। আমাদের নবী করিম(সা:) এঁর উপর নাজীল হওয়া সর্বপ্রথম কোরআনের আয়াত। এই আয়াতকে বিশ্লেষণ করলে দুটি জিনিস বেরিয়ে আসবে। একটি হলো জ্ঞান অর্জন আর একটি হলো সৃষ্টি রহস্য। এই আলাক্অবস্থা থেকেই শিশুকে যত্ন নিতে হবে অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়া পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত মা কে যত্ন নিতে হবে। মা সুস্থ থাকলে শিশুও সুস্থ হবে। আধুনিকবিজ্ঞান বলে একটি শিশু মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় প্রায় ৮০% জ্ঞান নিয়ে জন্ম গ্রহনকরে। বাকী ২০% বার বছর বা সর্বোচ্চ পনের বছরের মধ্যে পূর্ণ হয়। তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারেএত বুদ্ধি নিয়ে শিশু জন্ম গ্রহন করে তাহলে সে কিছু করতে পারেনা কেন? এর উত্তর হলো "ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক "। বিকশিতহওয়ার সুযোগ দিতে হবে। জ্ঞান, বুদ্ধি,বিবেকহাঁড় মাংস অর্থাৎ শরীর গঠনের সাথে সাথে আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়। বয়স বা সময় হলোমাপকাঠি। তাই বয়স অনুযায়ী বোঝা দিবেন সবকিছুই ঠিক থাকবে। এদিকওদিক করবেন হোঁছটখাবে। ভেবে দেখুন তাই হচ্ছে। একটি শিশুর সাথে মা বাবা, আত্বীয় অনাত্মীয়, খেলার সাথীশিক্ষক, আবাসন, পরিবেশ, সকল কিছু আনুপাতিক হারে থাকতে হবে। শিশুর মন বোঝার মত যোগ্যতা থাকতে হবে।

নেপোলিয়নেরমহামূল্যবান কথা " আমাকে একজন শিক্ষিত মাদাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিব "।এই মায়েরা শোন " বই পড়লেই শিক্ষিত হয় এটাঠিক নয়। অভিজ্ঞতাও একটি শিক্ষা "। তোমরা মাতোমাদের নাড়ীছিড়া ধন তোমাদের সন্তান। তোমরা এদেরকে তাদের মত করে মানুষ হতে দাও। " স্বামীর সাথে একজন স্ত্রীর সম্পর্ক হলোকাগজেকলমে আর সন্তানের সাথে মায়ের সম্পর্ক হলো রক্ত মাংসের। আর এ জন্যই মায়ের পায়ের নীচে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সন্তানের বেহেস্ত তৈরী করে রেখেছেন।আমার এতকিছু বলার কারন হলো সরকার, শিক্ষক,প্রতিবেশী, মা বাবা সকলেই সার্বিক সহযোগীতা করুন একটি শিশু যাতে তার আপনগতিতে বড় হতে পারে। জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক, হাঁড়মাংস বৃদ্ধির স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন। কিন্ডারগার্ডেন বা ইংলিশমিডিয়ামের নামে শিশুদের অসুস্থ বা অটিস্টিক হওয়ার হাত থেকেবাঁচান। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে সচল করুনশিশুদের পরিবেশ উপযোগী করে। প্রতিটি ক্লাশে প্রতিবার দুইজন শিক্ষক একসাথে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। প্রশিক্ষিত শিক্ষক বৃদ্ধি করুন। বীজ বপন করে যান "জ্ঞানী স্বর্ণ যুগের "। যে সকল বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নাই, সেটা সরকারীবা বেসরকারি বা কিন্ডারগার্ডেন বা ইংলিশমিডিয়ম যাই হোক না কেন, চোখ বুঝে বন্ধ করে দিন। শিশুদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। শিশুদের বিষয়ে সচেতন হওন। শিশুদের আবেগকে ছোট করে দেখবেন না। শিশুকে উৎসাহিত করুন।

কোচিং সেন্টার
কোচ-গৃহশিক্ষক, শিক্ষা ক্ষেত্রে আবার ক্রীড়া ক্ষেত্রে কোচ---প্রশিক্ষক। তাহলেকোচিং সেন্টার --- গৃহশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্র বা প্রশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত ক্রীড়া প্রশিক্ষণকেন্দ্র। এটা আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে আশা করা যায়। পরিবর্তন শুধু সমষ্টিগত। পূর্বে শিক্ষকবাসায় গিয়ে একটি মাত্র বিষয় পড়াতেন আর এখন সমষ্টিগত ভাবে সবগুলি বিষয় কম টাকায়একসাথে পড়তে পারছে। পার্থক্য এইটুকুই। শিক্ষার্থীদের লাভ হলো কম টাকায় অনেকগুলোবিষয় একসাথে পড়তে পারছে আবার টাকাও কম লাগছে। তাহলে কোচিং নিয়ে এত মাতামাতিকেন? মাতামাতি একটি জায়গায় আছে আর সেটা হলো গচঙ ভূক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। আমার কথা হলো গচঙ ভূক্ত শিক্ষক কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত থাকলে গচঙ বাতিল হবে এমনিতেই। কারন সে যখন MPO ভূক্ত হয় তখনি শর্ত থাকে। তাহলে কেন কোচিং বানিজ্যএমন কথা শুনতে হয়? কোচিং বাণিজ্যের সাথেজড়িত শিক্ষকদের গচঙ বাতিল করা সহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হওক। এ বিষয়ে আমিএকমত। কিন্তু এরপর কি কোচিং সেন্টার গুলি বন্ধ হয়ে যাবে নি:শ্চয়তা আছে? আসলে বন্ধহবে না বা বন্ধ করাও যাবেনা। যেহেতু শিক্ষিতবেকার অনেক বেশী। কোচিং সেন্টার থাক কিছুশর্ত সাপেক্ষে।
শর্ত:
# MPO ভূক্ত কোন শিক্ষক কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত থাকবেনা। কোচিং সেন্টার চালাবে বেকার, শিক্ষার্থী, আর অবসর গ্রহণ কারি শিক্ষক।
# শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি চলবে সকাল ৯.০০ঘটিকা হইতে বিকাল ৩.০০ ঘটিকা পর্যন্তআর কোচিং সেন্টার গুলি সন্ধ্যা ৬.০০ঘটিকাহইতে রাত ১০.০০ঘটিকা পর্যন্ত চলবে। বিকাল৪.০০ঘটিকা হইতে ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত খেলাধুলাকরবে।

আমি বলেছিলাম কোচিং সেন্টার থাকবে এবং বেকার, শিক্ষার্থী, ওঅবসর প্রাপ্ত শিক্ষক কোচিং সেন্টার পরিচালনা করবে। আবার এটাও বলেছিলাম কোচিং সেন্টার গুলি চলবে সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকা হইতে রাত ১০.০০ ঘটিকা পর্যন্ত। এর যৌক্তিক দিক গুলি হলো সকাল ৯.০০ ঘটিকা হইতে বিকাল ৩.০০ ঘটিকা পর্যন্ত স্কুল শেষে বিকাল বেলায় শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করবে। খেলাধূলা শেষে যেখানে ঘরে পড়তে বসার কথা সেখানে তারা কোচিং সেন্টারে পড়তে বসবে। কারন কারো ঘরএখন আর পড়ার সুবিধে নেই। নেই কেন এটা আমরা সবাই জানি। টাকার পিছনে ঘোড়া দৌড় তো দৌড়াইতে হইবে। TV সিরিয়াল চলে গেলে তো উপায়ই নাই। আপনি TV রুমে সিরিয়াল দেখবেন আর শিক্ষার্থীকে বলবেন " তুই পড় "।স্বামী -স্ত্রী ঝগড়া করবেন আর শিক্ষার্থী ভাল মনে পড়ালেখা করবে। কি বলেন? শিক্ষার্থীর আবদার পূরণ করতে বড় মোবাইল আর মোটরবাইক কিনে দিবেন আর শিক্ষার্থীকে বলবেন "তুই পড় "। কেমন পড়ালেখাটা হবে?তারচেয়ে স্কুল, খেলাধূলা আর বাধ্যতামূলক কোচিং করলে ঐ কাজ গুলি করার বা চাওয়ারসময় পাবে না। আমার লেখাতে কারো কোন আসে যায় না এটা আমি জানি। আমি এটাও জানি অনেকে বিরক্তিবোধও করতে পারেন। কিন্তুএকটু গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখবেন এতে অনেক গুলি ভাল দিক আছে।

যেমন---
# বেকার সমস্যার কিছু সমাধান হবে।
# শিক্ষার্থীরা নিজের খরচা নিজে রোজগার করাসহ শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত থাকবে। খারাপ পথে ধাবিত হবে না।
# অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক, যারা সারাটি জীবন শিক্ষাক্ষেত্রে অতিবাহিত করেছেন তারা নতুন পুরানের সমন্ন্বয়ে জ্ঞান বিতরন করতে পারবেন।
নিজের সম্মান রক্ষাসহ সামাজিক মর্যাদা বজায়রাখতে পারবেন।
# সকল শ্রেণিতেই এ ব্যবস্থা থাকবে।

দূর্ঘটনা
Accidentবা দূর্ঘটনা --- উড়োজাহাজ Accident মানে আকাশ পথের দূর্ঘটনা, lounge, Stimer বা Boat Accident মানেপানি পথের দূর্ঘটনা আবার Bus, Truck, Texi,Rickshaw বা অন্যান্য যানবাহন দ্বারা Accident হলো সড়ক পথের দূর্ঘটনা। এছাড়া ও suicide এক ধরনের Accident. গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, আবার রাস্তা দিয়ে হাটার সময় হঠাৎড্রেনে পরে যাওয়া বা পায়ের নোখ উঠে যাওয়াআবার OT তে রোগী মারা যাওয়া বা বিবাহেরক্ষেত্রে ও Accident. এমনও শোনা যায় Accidently আমার এ বাচ্চাটার জন্ম। তাহলে Accident ঘটার পিছনে "অ" অক্ষরটি সর্বাপেক্ষা দায়ী। যেমন অযোগ্যতা, অদক্ষতা, অসাবধানতা, অপ্রতিরোধ্য, অবিবেচক, অকাল পক্ক, অব্যবস্থাপনা ইত্যাদি । আবার "ব" অক্ষরটিও কম দায়ীনয়। যেমন বেপরোয়া, বিভ্রান্তি, বিতারিত, বেঈমানি ইত্যাদি। তাহলে আমরা যদি "অ " আর" ব " নিয়ে কাজ করি তাহলে Accident নামকদূর্বিসহ যন্ত্রণায় কোন পরিবার ভূগবেনা। পুঙ্গত্ব নিয়ে কেউ দেশ বা সমাজের বোঝা হতো না ।তাহলে Accident নিয়ে কি করা যায় বা আমরা কিকরতে পারি? প্রথমেই প্রতি উপজেলায় Drivingcenter Academy করতে হবে। এখানে বাস,ট্রাক, বেবিট্যাক্সি, লরী, রিক্সা Drive শেখার unite থাকবে। প্রতি উপজেলা হতে কতজন Driving lichenes নিয়ে বের হচ্ছে তার ছবিসহ Biodata বাংলাদেশের সকল থানায় Drivingunite এ চলমান থাকবে। কোন Driver কোনকারনে দুইবারের বেশী Accident করলে তার Driving lichens বাতিল করে তাকে motorgerege এ কাজ দিতে হবে।দূরপাল্লার কোন গাড়ীথাকবেনা, দূরপাল্লা বলতে বুঝাবে এক জেলাসদর থেকে অন্য জেলা সদর। প্রধান সড়কেশাখা সড়কের কোন গাড়ী উঠতে পারবেনা।রিক্সা গুলি শাখা সড়কেও চলাচল করতে পারবেনা। এ সকল সড়কে বাস সার্ভিস থাকবে।কোন Bus স্টেশন বা কোন প্রকার স্টেশন সড়কে থাকবেনা। ব্যাক্তি প্রয়োজনে একটির
বেশী গাড়ী ক্রয় করতে পারবে না। মোটরবাইকেরক্ষেত্রে incomes sources সহ সকল তথ্য সরবরাহেরপর দিতে হবে। Traffic police রাস্তায় থাকবেনা। বক্সে বসে মামলা লিখবে।

ভেজাল
মীরজাফর নামটা উচ্চারণ করা মাত্রই কেমন জানি সবার মনে একধরণের ঘৃনা বা খোবের সৃষ্টি হয়। আবার যখন হিটলার নাম উচ্চারণ করবেন তখন দেখবেন কেমন জানি একটা পশুত্বভাব বা নরঘাতক ভাব চলে আসবে।এখন তো আমাদের দেশে এ দুটো নাম কেমন জানি গালিতে রূপান্তরিতহয়ে গেছে। এমন অবস্থায় রপ নিয়েছে যে এখন আর কেউ এ দুটো নাম সন্তানের নাম রাখেনা। তাহলে এটা কি নামের দোষ? নি: শ্চয় না। এটা হলো কর্মের দোষ। বসনিয়া হার্জেগোভিনার কথা না জানার কথা নয়। মুসলিম নিধনের জন্য একজন মুসলিম নারীর পেটের বাচ্চা মদের বোতল ভেঙ্গে পেট দিয়ে ঢুকিয়ে বাচ্চা বের করে নিয়ে আসত। এ গুলি ইতিহাসের নির্মমতা। আমার এ প্রেক্ষাপট টেনে আনার কারণ হলো এখন যেভাবে ভেজাল রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকছে একসময় তো মহামারী আকার ধারণ করবে। সব ইতিহাসকে হার মানাবে! ঔষধেভেজাল, ফল ফসলে ভেজাল, মাছে ভেজাল, শিশু খাদ্যে ভেজাল, বিদ্যুৎ বা বিদ্যুৎবিলে ভেজাল, ওজণে ভেজাল, বিভিন্ন মেডিক্যাল ক্লিনিকে ভেজাল, কথায় ও কাজে ভেজাল, এক কথায় ভেজালের মহোৎসব। তাহলে এত ভেজালের সায়রে মহামারী হওয়াটাই স্বাভাবিক। এক সময় ভেজাল শব্দটি মীরজাফর বা হিটলাকে হার মানাবে মনে করা অবাস্তব বা অসম্বব নয় নি: শ্চয়। ভবিষৎ বংশ ধরদের কথা এখুনি ভাবা উচিত। ওহফরধ তে দেখলাম সকল চা এর দোকানে গরুর দুধ দিয়েচা তৈরী করছে। আবার অধিকাংশ দোকানে কাপ হলো মাটির তৈরী যা One time কাপ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আলাপ করে বুঝলাম কৃষকে গরু পালতে উৎসাহিত করা আবার মৃতশিল্পকে টিকিয়ে রাখা। সর্বোপরি ভেজাল মুক্ত থাকা। এদের দেশপ্রেম প্রশংসনীয়। সোনার বাংলা ভেজাল মুক্ত হউক, সকলের মাঝে প্রকৃত দেশ প্রেম জাগ্রত হউক। ভেজাল মুক্ত ভাবে হতে পারে এর জবাব আজ সকলকেই দিতে হবে। সমাধানও সকলকেই করতে হবে। সকল শব্দটি এখানে আনার পিছনে কারন হলো সকলেই একসাথে " না " বলা শিখতে হবে। ফল ফসলে ফরমালডিহাইড মিশাব " না "। ঔষধে ভেজালমিশাব " না " বা ভেজাল ঔষধ বিক্রি করব " না"। সব কিছু প্রথমে " না" বলতে হবে তারপর বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে পরীক্ষা করে প্রয়োজনে ুবং বলতে হবে। বিবেক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

পরচর্চা আর পরনিন্দা
পরচর্চা আর পরনিন্দা এ দুটি বিষয় আলোচনা করা আজ কেন জানি আমার কাছে অতি গুরুত্বপূর্ন মনে হচ্ছে। পরচর্চা ও পরনিন্দা এ শব্দ দুটিতে একটি সাধারণ শব্দ পর। আর বাকী রইলচর্চা ও নিন্দা। তাহলে ১ম টার পরিধি অনেক কিন্তু ২য় টা নিন্দনীয় বা হারাম।পর শব্দটি হলো আমি ব্যতিত বা আমাকে ছাড়া। শিশুকালে একটি শিশু তার মা বাবা ওনিকটতম ব্যাক্তিদেরঅনুসরণ বা অনুকরণ করে থাকে। এটা চর্চা। মা বা নিকটতম লোকজন হাসলে শিশু হাসে। খারাপ আচরণে কাদে। শিশু কাদলে বুঝি শিশুরক্ষুধা লেগেছে। এখানে পরিবার গত একটি চর্চাহচ্ছে। আবার যদি " সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গেসর্বনাশ" এখানেও অনুসরণ বা অনুকরণ হচ্ছে অর্থাৎ চর্চা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কয়েকজনলোক কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করছেন। এখানে সমালোচনা যাতেসম বা সমষ্টি গত আলোচনা। এখানেও চর্চা হচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বই, খেলাধূলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে পরিপূর্নতা লাভকরে। ধর্মীয় অনুসরণ, অনুকরণ বা চর্চার মাধ্যমেসিদ্ধি লাভ করা যায়। অর্থাৎআমি ব্যতিত অন্যদের ভাল গুন বা দিক গুলি চর্চা করে ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগানোই হলো পরচর্চা। এই যেভাল গুন বা দিক এর বিপরিত দিক নিন্দা। অর্থাৎপরনিন্দা। একটা চুটকী শুনেছিলাম " এক ধাত্রীপ্রসবঘর থেকে বের হয়ে বলছে, তোমার ছেলেহয়েছে। তবে ছেলেটা একেবারে কুচকুচে কাল। প্রতিবেশী এক মহিলা শুনে কিছুদূর গিয়ে আরেক মহিলাকে বলছে, এই শুনেছিস ঐ বাড়িতে একটা ছেলে হয়েছে একেবারে কাকেরমত কালো। কিছুদূর গিয়ে ঐ মহিলা আরেকমহিলাকে বলছে, এই শুনেছিস ঐ বাড়িতে নাকিকাক প্রসব করেছে। তারপর আর কিছুদূর গিয়েআরেক মহিলাকে বলছে, এই শুনেছিস ঐ বাড়িতে নাকি কাক প্রসব হচ্ছে আর উড়ছে, প্রসব হচ্ছে আর উড়ছে ----। এই তো পরনিন্দা।ইসলাম ধর্মে " মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়া মতখারাপ " কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এইপরনিন্দা একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। নতুন সংযোজন হচ্ছে ঞঠ. রাজনৈতিকমঞ্চ থেকে শুরু করে ঘরে কোণা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। চলুন আমরা পরচর্চা করি ভাল গুনগুলিআহরণ করি, আরপরনিন্দা থেকে বিরত থাকি।  

সুখ এবং দু:খ
সুখ এবং দু:খ। এ দুটি শব্দ মানব জীবনের সাথেঅঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত। রাতের পরে যেমন দিন আবার অন্ধকারের পরে আলো। তেমনি সুখ ও দু:খ ঘূর্নায়মান। দু:খ শব্দটি যদি কষ্ট, ব্যাথা, আঘাত, না পাওয়ার বেদনা, অভিমান, বিয়োগ, বিচ্ছেদ, শূন্যতা, অপূর্নতা--- হয়, তবে সুখ তার বিপরীত। অর্থাৎ ঘূর্নায়মান। পৃথিবী ঘূর্নায়মান। গ্রহ, নক্ষত্র ও ঘূর্নায়মান। মানুষের দেহে রক্ত শিরাও ধমনির মাধ্যমে ঘূর্নায়মান। বাতাস ঘদর্নায়মান।তাহলে মানব জীবন সুখ-দুখের দোলাচলে দুলবেএটাই স্বাভাবিক। কিন্তু----খরভব ংঃুষব পরিবর্তনের নামে সুদ খাওয়া। (যা ইসলাম ধর্মে হারাম করা হয়েছে।) এতে কি সুখ আসে? Life style পরিবর্তনের নামে ঘুষ খাওয়া। (এটাওইসলাম ধর্মে হারাম করা হয়েছে।) সংসার জীবনেসুখ কতটুকু পাওয়া যায়?আমি অর্থটাকে প্রাধান্য দিচ্ছনা। একজন ডাক্তারকসাইয়ের মত রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া বা একজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর নামে টাকানেওয়া বা একজন ব্যবসায়ী অধিক মুনাফায় মাল বিক্রি করা বা যারা দেশ পরিচালনা করেনতাদের মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, চিকিৎসা, বিনোদন এর ন্যায্যতা প্রদান না করা। তাহলে খরভব ংঃুষব পরিবর্তন কী অর্থ না কর্ম বুঝব? এখানেও ঘর্নায়মান। সৎপথে উপার্জিত অর্থ আর সুকর্ম। মাটির দেহ মাটিতেই বিলিন হবে এটাই সত্য। নশ্বর এই পৃথিবীতে চলুনসৎ পথে উপার্জন আর সুকর্ম করি।

রং বা রঙ
বেনীআসহকলা এই সাতটি রং তো আমরা জানি। পরিমানমত এই রং গুলি এক সাথে মিশালে হয় সাদা আবার তুলে নিলে হয়কালো --এটাও জানি। গরমের দিন সাদা পোশাকআবার শীতে কালো পোশাক পড়ি কেন---এটাওহয়ত অনেকেই জানি। প্লাস্টিড এর কারনে পাতাফুল বিভিন্ন রঙের হয় তাও জানি। সাগর নীল, আকাশ নীল তাও অজানার বাইরে নয়। চিকচিককরে বালি কোথাও নাই কাদা, দুই ধারে কাশবনফুলে ফুলে সাদা। "এটা বইয়ের পাতায় পড়েছি।আলো আর আলেয়ার কথা শুনেছি। রবী ঠাকুরের " অগ্রানে ঐ ধানের শীষে রৌদ্র ছায়ায়লুকোচুরি খেলা " বা কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলিযে যা বলুক অন্য লোক, দেখেছিলাম ময়নাপাড়ার মাঠে, কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ"। বা নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা। আবার প্রিয়াকে খুশি করার জন্য " ঐ চাঁদমুখে যেন লাগেনা গহন, জোসনায় ভরে থাক সারাটি জীবন "। আবার কাজী নজরুল দেখিয়েছেন লাইলীর রুপে মজনুর পাগলামি।" লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনু গো আখি খোল। নেনসল ম্যানডেলা একজন বর্ণবাদীনেতা। ক্রিকেট, ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়সহ ভক্তদের নিজ নিজ রঙের ছড়াছড়ি। কোন কোন ভক্ত আবার যধরৎং ংঃুষব নকল করে। শেখ সাদির দাওয়াত তো সবাই জানি। এখন প্রশ্ন হলোআমি এতকিছু টেনে আনলাম কেন? আপনারালক্ষ করুন একজন হিন্দু মহিলা যখন সিথিতে সিদুর পড়ে তখন হয়ে যায় হিন্দু বধু। একজনমুসলিম মহিলা যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েঘোমটা মাথায় দিয়ে বা বোরখা পড়ে হাটে তখন তাকে বলছি মুসলিম বধু। মুসলিম মসজিদেআযান হলে আজু করে টুপি পড়ে মসজিদে ঢুকছেন আবার অন্য ধর্মের লোকেরাও তাদেরনির্দিষ্ট লেবাসে উপাসনালয়ে ঢুকছেন। ডাক্তারএক ধরনের পোশাক পড়ে ঙঞ তে যাচ্ছেন আবার উকিল এক ধরনের পোশাক পড়ে এজলাসে উঠছেন। নেতা, আমলা, ছাত্র, শিক্ষক,কৃষক, শ্রমিক, সবার মাঝে একটা ঈড়সসড়হ পার্থক্য আর সেটা হলো পোশাক বা রং। আসলেএত রঙের মেলায় কে কোথায়, কার জন্য খেলছি বা খেলাচ্ছেন? আর তার উত্তর " মানব সেবায়"।  

হয়রানি
হয়রানি এই শব্দটির সাথে পরিচয় নাই এমনলোক খুব কমই পাওয়া যাবে। জিজ্ঞেস করলেইখুব জামেলায় আছি বা পেরেশানিতে আছি বাদৌড়াদৌড়িতে আছি বা চিন্তায় আছি -- এ রকমহাজারো সমস্যার কথা উঠে আসবে। যদি জিজ্ঞেস করি -- কেন? তাহলে কেউ বলবে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি এর উপর আবারমিথ্যে মামলা, আবার কেউ বলবে জমির খারীজকরাতে জুতা ছিড়ে ফেলেছি আবার হয়তবা কেউবলবে তিন বছর হলো অবসর ভাতার কাগজপত্রজমা দিলাম ( বেসরকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে) ঘুরতে ঘুরতে তো এখন মারাই যাব। এই অবসরভাতা কি খেয়ে যেতে পারব? আবার আপসোসকরে কেউ বলবে ১০/১২ বছর যাবৎ দুই কাঠাজায়গাজমি নিয়ে মামলা করছি শুধু তারিখ পড়েআর তারিখ পড়ে, আবার কেউ বলবে ফাইল তোনড়েনা। এ রকম হাজারো হয়রানীর কথা আমরাজানি। তাহলে এই হাজারো হয়রানি থেকে আমরা কিভাবে মুক্তি পেতে পারি বা আমাদেরমুক্তির পথ কী? মুক্তির উপায় হিসেবে আমারব্যক্তিগত মতামত হলো------ প্রশিক্ষণ । ঘুষ না খাওয়ার প্রশিক্ষণ, ফাইল দ্রুত ছাড়ার প্রশিক্ষণ,মামলা দ্রুত শেষ করার প্রশিক্ষণ, সবচাইতেবড় প্রশিক্ষণ হলো বেতনের টাকা বা অল্পটাকা দিয়ে কিভাবে সংসার চালাতে হয় তার প্রশিক্ষণ ( স্বামী - স্ত্রী দুজনকেই প্রশিক্ষণ নিতেহবে) । ধর্মীয় বিধিনিষেধ, হারাম হালাল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ।

কিং কর্তব্য বিমূঢ়
দুই group এর সংঘর্ষ মাঝখানে আপনি পথিক, কি করবেন? দাঙ্গাপুলিশ একদিক থেকে লাঠিচার্চ করে আসছে,আপনি মাঝখানে নিরিহ পথচারী, কি করবেন?নদীপথে বেড়াতে যাচ্ছন, হঠাৎ ঝড়। আপনি কিকরবেন? এমন হাজারো প্রশ্ন হঠাৎ সামনে এসেহাজির হয়। কি করব, কি করবনা বা কি করা উচিৎ, কি করা উচিৎ নয় ইত্যাদি। আপনি অফিসে কাজ করছেন, হঠাৎ একলোক আপনাকে অষথা কিছু কথা শুনিয়ে গেল বাউর্ধত্বন কেউ সবার সামনে অষোগ্য,অদক্ষ বলেধমক দিয়ে বাহাবা কুড়িয়ে নিল। কি করবেন?এলাকার কোন গোষ্ঠী বা কোন নেতা আপনাকেশাসিয়ে গেল " তোকে দেখে নিব "। কি করারআছে আপনার? বাস্তবতা হলো আমরা সবাইকারো না কারোর কাছে জিম্মি। রাজনীতি বলেন,অফিস বলেন, ব্যবসা বলেন আর সাধারন জনগনই বলেন, কে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় নেই? তাহলে আমরা সবাই কী কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর রোগী?সারাবৎসর পড়ালেখার খবর নেই,পরীক্ষার রুটিন হাতে পেলেই শিক্ষার্থীরা আধাজল খেয়ে লেগে পরছে। সব মুখস্ত করেফেলবে। আমার মনে হয় কিংকর্তব্যবিমূঢ় মানবসৃষ্ট একটা মানসিক রোগ। তাহলে এ রোগ থেকেআমরা কী ভাবে মুক্তি পেতে পারি? এটার জবাবমানসিক রোগের ডাক্তার ছাড়া কেউই দিতে পারবেনা বা দেওয়া সম্ভব ও না। তবে আমি মনেকরি ধৈর্য, সহনশীলতা আর সহমর্মিতা এই তিনটি ট্যাবলেট কাজে লাগতে পারে! সবার মাঝে এই তিনটি গুন থাকলে কিংকর্তব্যবিমূঢ়তাকেটে যেতেও পারে। মা--মাটি ---দেশ। দেশের মানুষ। কে ভাল না বাসে? কে না চায় যে," আমার মা ভাল থাকুক, আমার মাটি খাটি সোনাতে পরিনত হউক, আমার দেশ নিরাপদথাক। সুখে শান্তিতে ভরপুর থাক আমার জনগন। তাহলে কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা কেন? মুক্ত মনে, মুক্তচিন্তায়, মুক্ত আবহাওয়ায়, মুক্ত পরিবেশে কাজকরতে পারিনা কেন? আমরা চাই সহনশীল,সহমর্মিতা আর ধৈয্রের পরিবেশ।চলবে.........

 আর কত দূর.........? পর্ব -০১আর কত দূর.........? পর্ব -০২

লেখক
মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক তালুকদার
প্রধান শিক্ষক
গোয়ারী ভাওয়ালিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়
ভালুকা, ময়মনসিংহ।



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই