তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় টপলেডি পেপে চাষে মোস্তুফার সাফল্য

ভালুকায় টপলেডি পেপে চাষে মোস্তুফার সাফল্য
[ভালুকা ডট কম : ০৩ জানুয়ারী]
ভালুকার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে টপলেডি জাতের পেপে আবাদ করে ব্যাপক সফলতা অর্জণ করেছেনে মোস্তুফা মিয়া নামে এক যুবক। একের ভিতর দুই কাঁচা পেপে সবজি পাঁকা হলে ফল। কাঁচা পেপে তরকারী, ভাজি, ভর্তা হিসাবে সকলের কাছে সমাদৃত আর পাঁকা পেপে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ায় সর্বত্রই এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বর্তমানে ভালুকার বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভাবে এর আবাদ বেড়ে গেছে। ভালুকার উৎপাদিত পেপে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করে চাষীরা লাভবান হচ্ছে।

৩ জানুয়ারী রোববার সরজমিন চাঁনপুর গেলে দেখাযায় বাগান থেকে পেপে তুলে উঠানে জড়ো করছেন কয়েকজন শ্রমিক। পাশে নাতি কোলে বসে রয়েছেন পেপে চাষী মোস্তুফার মাতা চাঁন বানু (৬০)। তদারকি করছিলো পেপে চাষী মোস্তুফা। তিনি জানান ৮ একর জমি বর্গা নিয়ে গত তিন বছর যাবৎ টপলেডি জাতের পেপের আবাদ করে মোটামোটি অর্থনৈতিক সফলতা পেয়েছেন। সংসারের অভাব অনটন অনেকটা দুর করতে পেরেছেন। ৮ একর জমির বর্গা ভাড়া, জমি চাষ, বীজ ক্রয়, চারা তৈরী, চারা রোপন, পারিচর্যা, সার কীটনাশক ও যাবতীয় কাজ কর্ম বাবদ প্রায় ৩০ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে।

পেপের চারা সাধারণত ফাল্গুন চৈত্র মাসে লাগানো হয়। আবহাওয়া অনুকূল হলে সার কীটনাশক দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে ১২০ দিন অর্থাৎ ৪ মাসের মাথায় ফলন আসা শুরু হয়। রোগ বালাই নাশকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক ও সার দিয়ে পরিচর্যা করেন। একটি গাছ পর্যায়ক্রমে একাধারে ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত প্রতি মৌসুমে ফল দিয়ে থাকে। এ বছর শুরুর দিকে অতি বৃষ্টির কারনে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। বর্তমানে ৩০/৪০ টাকা কেজি দরে পেপে বিক্রি করছেন।গাছ থেকে পেপে নামিয়ে বাজার জাত করার জন্য কাগজে মুড়িয়ে বস্তাবন্দী করা হয়। পরে ট্রাকভরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে পাইকারী দামে বিক্রি করেন। সর্ব সাকুল্য খরচ বাদ দিয়ে চলতি মৌসুমে সাত আট লাখ টাকা মুনাফা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।

তিনি জানান ঝাড় জংলার চালা জমির আগাছা পরিষ্কার করে শক্ত মাটি চষে নরম বানিয়ে চাষোপযোগী করে তাতে পেপের আবাদ শুরু করেন। তার দেখাদেখি অনেকেই ফেলে রাখা পতিত জমিতে পেপে বাগান করে সংসারে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়েছেন। মা চাঁনবানু, স্ত্রী শেফালী আক্তার,মেয়ে মাহফুজা আক্তার (৮) ছেলে মাসুদ রানা (৩) কে নিয়ে মোস্তুফার সুখের সংসার। ভালুকার হবিরবাড়ী, মল্লিকবাড়ী, চাঁনপুর, ডাকাতিয়া, আঙ্গারগাড়া, উথুরা, নয়নপুর, কাদিগড়, পাড়াগাঁও সহ বিভিন্ন গ্রামে পেপের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই