তারিখ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বার বছর ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি

বার বছর ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করছেন নওগাঁর ময়না খাতুন
[ভালুকা ডট কম : ১৬ এপ্রিল]
নওগাঁর রাণীনগরের মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই সনদ দিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর ১২বছর থেকে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছেন।

তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষক ময়না খাতুন ২০০৭সালের পাশ করা একটি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ নিয়েছেন। এনটিআরসিএ এর ওয়েবসাইটে সেই সনদের রোল নাম্বার দিলে সনদধারীর কোন তথ্য আসে না। শুধুমাত্র ওই সনদের তথ্যই আসে। এরপর জেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলে ওই রোল নম্বরধারীর কোন তথ্য জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে পাওয়া যায়নি। তিনি ওই বিদ্যালয়ে গত ২০১০সালের ৫অক্টোবর বাংলা বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ নেন। নিয়োগের সময় তিনি যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জমা দেন তার রোল নম্বর ৫১০১০০৫১ এবং নিবন্ধন নম্বর ৭০০৬০৮১। সেই সনদের আবশ্যিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর ৪৪ এবং ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৩। এরপর তিনি ২০১১ সালের ১মে বি.এডসহ এমপিওভুক্ত হন। এমপিওতে তার ইনডেক্স নং ১০৫৭৯১৪। তখন থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত তিনি চাকরি করে বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এরমধ্যে তিনি গত ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন গ্রহণ করছেন।

মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুন বলেন, আমার সকল তথ্য বিভিন্ন অফিসে আছে সেখান থেকে সংগ্রহ করে নেন। আর আপনাকে কেন আমি তথ্য দিবো? আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে আমি তাদের কাছে দিবো। এমন কথার এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠে লাইন কেটে দেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার বলেন, তাকে জানানোর পর তিনি তার কাগজপত্র আমাকে দেননি। তাই আমি আপনাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারছি না। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে কোন নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ওই শিক্ষকের তথ্য বিদ্যালয়ের অফিস কপি থেকে দিয়ে তিনি সাহায্য করেননি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি তাই আমি কিছুই জানিনা। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যদি জাল হয় তাহলে যাচাই সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান মোবাইল ফোনে জানান বিষয়টি তার জানা নেই। পরবর্তিতে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই