তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় চাল আত্নসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান রানী পুলিশ হেফাজতে

ভালুকায় ভিজিএফ’র চাল আত্নসাতের অভিযোগ ;চেয়ারম্যান ও দফাদারকে আটক
[ভালুকা ডট কম : ২২ জুলাই]
ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের ৬শতাধিক ভিজিএফ কার্ডধারি হতদরিদ্রের চাল আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার(২২জুলাই) দুপুরে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী ও আকবর হোসেন নামে এক দফাদারকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

সুত্রে জানাযায়, উপজেলার ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়নে ৪হাজার,তিরাশি জনের ভিজিফি কার্ডের তালিকা রয়েছে। এ জন্য ওই ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সরকার ৪০দশমিক ৮৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতি জনের মাথা পিছু ১০কেজি করে বিনামূল্যে এ সব চাল দেয়ার কথা। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে গত মঙ্গলবার (২১জুলাই) চাল দেয়া শুরু হয়। বুধবার দুপুরে ৬শতাধিক কার্ডধারী বাকী থাকতেই চাল শেষ হয়ে যায়। চাল না পেয়ে এ সময় উপস্থিত কার্ডধারী হত দরিদ্ররা হৈ চৈ শুরু করেন।

বিষয়টি ট্র্যাক অফিসার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জুয়েল আশরাফের নজরে আসে। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কার্ডধারীরা তাদের চাল দাবী করেন।

ট্র্যাক অফিসার  জুয়েল আশরাফ জানান, আমি উপস্থিত থেকে চাল দিয়েছি,২শতাধিক কার্ডধারী চাল পায়নি। কার্ড থাকা সত্বেও মজুতকৃত চাল শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি বিষয়টি উপজলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করি।

ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী জানান,দুদিন যাবত চাল দেয়া হচ্ছে আজকে চাল দেয়ার সময় আনুমানিক ৭৫/৭৬টি কার্ডের চাল কম পড়ে গেছে। যে কয়েজন কার্ডধারীর চাল কম পড়েছে আমরা তাদের চাল কিনে দিয়ে দিবো। কিভাবে চাল কম পড়েল আমি বুঝে উঠতে পারছি না।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবুল বাসার জানান,গত তিন দিনে গুদাম থেকে ওই ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডের সব চাল চেয়ারম্যান সাহেবের পক্ষে দফাদার আকবর উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান,প্রতিবস্তা ৩০কেজি ওজনের ২শ৩০বস্তা চাল কম পড়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রানী ও আকবর হোসেন নামে এক দফাদারকে থানায় আনা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান,ঈদ উপলক্ষে বিশেষ বরাদ্দের ভিজিএফ চালের জন্য ওই ইউনিয়নের সকল টোকেনধারী চাল পায়নি এমন খবরে ভিত্তিতে আমি তাক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে হাজির হই এবং টোকেনধারীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, তারা চাল পায়নি। উপস্থিত মেম্বার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে চেয়াম্যারন চাল বিক্রি করে দিয়েছেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চেয়ারম্যান ও এক দফাদারকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই