তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গ্রামবাসীর সভা

ভালুকায় হুমকী,হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গ্রামবাসীর সভা
[ভালুকা ডট কম : ১৭ সেপ্টেম্বর]
বনবিভাগের লোকজনের হুমকী, হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ভালুকা উপজেলার ছয়টি গ্রামের কয়েকশ মানুষ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খোলাবাড়ি গ্রামের পন্নাভিটা মসজিদের সামনের খোলা মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম। সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন পেশার মানুষ বনবিভাগের লোকদের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির বক্তব্য তুলে ধরেন। সবশেষে  গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবি গুলো হলো,স্থানীয়দের ফল-ফসল,বাঁশ,সবজি আবাদের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে। হুমকী, হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবৈধ ভাবে টাকা নেওয়া ছাড়া থাকার ঘর নির্মাণের সুযোগ দিতে হবে।স্থানীয়দের রেকর্ডীয় জমি ও বন বিভাগের জমির সীমানা নির্ধারণ। সরকারের বন্দোবস্ত দেওয়া জমির নামজারির মাধ্যমে হস্তান্তরের সুযোগ রাখতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বনবিভাগের লোকদের কোনো মতবিরোধ হলে ‘বনভূমি বিরোধ  নিস্পত্তি কমিটি’র সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করনীয় ঠিক করতে হবে।

আলোচনা সভার বক্তব্য থেকে জানা গেছে,উপজেলার বিভিন্ন মৌজার স্থানীয় ভূমি মালিকদের পাশাপাশি বন বিভাগের দাবিকৃত বেশ কিছু জমি রয়েছে। এসব জমিতে বংশ পরমপরায় স্থানীয় বাসিন্দারা বসবাস করে আসছেন।বসত ভিটার জমিতে উৎপাদন করছেন নানা ধরণের সবজির পাশাপাশি ধান,ফল ও বাশ । সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের রোপন করা বিভিন্ন জাতের গাছ ও বাঁশ কাটতে বাধা দিচ্ছে উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও তার লোকজন। নিজেদের ঘর-বাড়ি তৈরির প্রয়োজনে দুই-চারটি বাঁশ কাটলেই করা হয় হয়রানি। দেওয়া হয় মামলার হুমকী। হারুন অর রশিদের ছেলে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরি করেন, তার হুমকীও দেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। রেঞ্জ কর্মকর্তার এমন আচরণে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাধা গ্রস্ত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন।

স্থানীয় হাফেজী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে বনবিভাগের দাবিকৃত জমিতে একটি হাফেজি মাদ্র্রাসা করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। মাদ্রাসায় ছাত্রের সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে আরেকটি ঘর নির্মাণের প্রয়োজন। কিন্তু উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছে গেলে তাঁর সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন এবং মামলার ভয় দেখান। অথচ স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ওই মাদ্রাসার জন্য সরকারি ভাবে ডেউটিন দিয়েছেন।

মামলার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোচনা সভায় মেনজেনা গ্রামের এক কৃষক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বয়স্ক মা এবং স্ত্রী অসুস্থ। সাড়ে আট হাজার টাকায় বাঁশ বিক্রি করেছিলেন তাদের চিকিৎসার জন্য। বন বিভাগের বাধার কারণে বাঁশ বিক্রির টাকা ফেরত নিয়েছেন ব্যাপারি। চিকিৎসা হয়নি তাদের। ওই ব্যক্তির মা এখন বাড়িতে মৃত্যু শয্যায়।

শিক্ষক মাফিজুল মাস্টার বলেন,তাঁর চাচাত ভাইয়ের থাকার ঘর করার সময় মামলা না করার শর্তে টাকা নিয়েছে উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন। পরে ঠিকই ওই ভাইয়ের নামে মামলা দিয়েছে।

ধলীকূড়ি গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন,সম্প্রতি তিনি তাঁর রেকর্ডীয় জমিতে পুকুরের সংস্কার কাজ করাচ্ছিলেন।ওই সময় বন বিভাগের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে ভেকু জব্দ করে চালকসহ তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।পরে সরকারি দলের এক নেতার মধ্যস্ততায় ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে চালককে ছাড়িয়ে নিয়ে তাঁর পুকুরের সংস্কার কাজ করেন। টাকার বিষয়টি তাকে গোপন রাখতে বলেন বন বিভাগের কর্তা ব্যক্তিরা। তাকে আরও জানিয়ে দেন, বিষয়টি প্রকাশ পেলে মামলা দেওয়া হবে।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের কার্যালয়ে গিয়েও পাওয়া যায়নি।পরে মোঠো ফোনে বলেন,এসব যারা বলেছে,তাদের নাম বলেন। সব অভিযোগ মিথ্যা।আপনিই মিথ্যা বলতেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, রেঞ্জ কার্যালয়ে তার কি কাজ? তিনি কেন আসবেন?





সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই