সখীপুরে মায়ের সহায়তায় এক গৃহবধূকে সাবেক দুই স্বামীসহ ৫ জন মিলে ধর্ষণ
[ভালুকা ডট কম : ২০ মে]
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক গৃহবধূকে (৩২) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণে সহযোগিতা করায় ওই গৃহবধূর মা অজুফা খাতুন ও ধর্ষক সাবেক দুই স্বামীকে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মাসহ ছয়জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে ওই গৃহবধূকে টাঙ্গাইল  শেখ হাসিনা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আবদুল কাদেরের (৫৫) বাড়ি  পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে এবং আবদুর রহমানের (৩৯) বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মা অজুফা খাতুন তার  মেয়েকে (ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ) কবিরাজ বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার কীর্ত্তণখোলা ধুমখালি  বেইলি ব্রীজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে মোটরসাইকেলযোগে  হেলমেটপড়া দুই যুবক আসলে মা  কৌশলে  মেয়েকে (গৃহবধূ) তাদের হাতে তুলে দিয়ে চলে আসেন। পরে ওই গৃহবধূকে  পৌর শহরের একটি পরিত্যক্ত  দোকান ঘরে আটকে  রেখে তার সাবেক দুই স্বামী আবদুল কাদের ও আবদুর রহমানসহ পাঁচজন মিলে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকরা তাকে  ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রাত একটার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায়  সে পাশের একটি বাড়িতে  গেলে ওই বাড়ির  লোকজন তাকে কাপড় পড়িয়ে তার স্বামীকে খবর দেয়। পরে তার স্বামী তাকে  উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর  দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় মা অজুফাকে এবং সাবেক দুই স্বামীকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদেরও  গ্রেফতারের  চেষ্টা চলছে।#

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।