তারিখ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ধানক্ষেত থেকে জবাই করা লাশ উদ্ধার

ভালুকায় ধানক্ষেত থেকে দুই সন্তানের জননীর জবাই করা লাশ উদ্ধার
[ভালুকা ডট কম : ০৭ মে]
০৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নের কাচিনা পশ্চিমপাড়া গ্রামে একটি ধানক্ষেত থেকে হাজেরা খাতুন (৩৫) নামে দুই সন্তানের জননী এক গার্মেন্টস কর্মীর জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। অপরদিকে নিহতের স্বামী সোহেল মিয়া ঘটনার পর হতে পলাতক রয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত হাজেরার শাশুরী সুফিয়া খাতুন (৬০) সুফিয়ার দুই মেয়ে আয়েশা (২৮) ও আঁখি (১৫) কে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায় কাচিনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলীর ছেলে সোহেলের সাথে একই ইউনিয়নের বাটাজোর হাইলজোরা পাড়ার হাছেন আলীর একমাত্র কন্যা হাজেরার সাথে অনুমান ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। সানি (১৩) ও সাব্বির (১০) নামে তাদের দুই ছেলে রয়েছে তারা বাটাজোর বাজারে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। প্রতিবেশীরা জানায় সোহেল মিয়া বাটাজোর বাজারে চায়ের দোকান করে সুবিধা করতে না পেরে কিছুদিন পূর্বে দোকান ছেড়ে দিয়ে গাড়ির হেলপারি শুরু করে। সংসারের স্বাচ্ছন্দের জন্য সোহেলের স্ত্রী জামিরদিয়া এলাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে দীর্ঘদিন যাবৎ অপারেটর হিসেবে চাকরী করতেন। গার্মেন্ট এ চাকরী করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহে হাজেরাকে মারপিট করা হতো বলে প্রতিবেশীরা জানায়। সোহেল তার স্ত্রী হাজেরাকে অহেতুক সন্দেহ করার কারনে কয়েক মাস পূর্বে হাজেরা স্থানীয় ভাবে স্বামীকে ডিবোর্স দিয়ে বাপের বাড়ী চলে যায়। সেখান থেকে চাকরী স্থলে আসা যাওয়া করতেন। এরই মধ্যে তারা আবার সমজোতার মাধ্যমে পুনরায় স্বামীর বাড়ী এসে ঘর সংসার শুরু করে।

গত ৫ মে রোববার বিকালে সোহেল স্থানীয় দোকান হতে কেনা কাটা করে বাড়ী চলে যান বলে অনেকেই দেখেছেন। বড় ছেলে সানি মাদ্রাসা হোষ্টেলে থাকে। পরদিন ৬ মে সোমবার সাকাল অনুমান ১০ টার দিকে সোহেলের ছোট ছেলে সাব্বির তার নানাবাড়ী হতে নিজেদের বাড়ীতে এসে ঘরে মা হাজেরাকে না দেখে ডাকা ডাকি করে কোথাও পায়নি। এদিকে তার বাবা সোহেলকেও ডাকাডাকি করে না পেলে আশপাশের লোকজন জরো হতে থাকে। সাব্বির তার দাদী ও অন্যান্যদের  কাছে মায়ের খবর জানতে চাইলে কেউই কিছু বলতে পারেননি। সোহেল সোমবার সকালে কখন বাড়ী হতে বেড়িয়ে গেছে কেউ টের পায়নি। হাজেরা তার বাপের বাড়ীতেও যায়নি অপরদিকে সোহেলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কাররই সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এদিকে একমাত্র কন্যা হাজেরার নিখোঁজ হওয়ার খবরে বাবা হাছেন আলী পাগলের মতো হয়ে যায়। ঘটনার দিন ৭ মে মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী শামীম মিয়া লাকড়ি কাটতে বাড়ীর পিছনে গেলে দেখতে পান তারই ধানক্ষেতের এক কোনায় হাজেরার লাশ পরে আছে। পরে লোকজন ডেকে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানালে তারা থানায় অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে লাশটি উদ্ধার করে। এদিকে সোহেল পলাতক থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছে। যেহেতু সোহেলর বাড়ী হতে অনুমান ১৫০ গজ উত্তরে  ধানক্ষেতে হাজেরার লাশ পাওয়া গেছে স্থানীয়দের ধারনা রোববার রাতে ঝড় বৃষ্টির সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।  

ভালুকা মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল মর্গে প্রেরণ ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই