তারিখ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

জলাবদ্ধাতই যেন তাদের ভাগ্যের লিখন

জলাবদ্ধাতই যেন তাদের ভাগ্যের লিখন
[ভালুকা ডট কম : ১৯ জুন]
বছর ঘুরে বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতার শিকার হন। শুষ্ক মৌসুমে কিছুটা স্বস্তিতে থাকেন। গত চার বছর যাবত বছরের ৬মাস দুর্ভোগে বেগুনবাড়ী এলাকার বাসিন্দারা। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আওতাধীন একটি এলাকার নাম বেগুনবাড়ী।

স্থানীয়রা জানান, সারা বছর বেগুনবাড়ী এলাকায় জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। বর্ষা এলে রাস্তাঘাট, উঠোন, রান্নাঘর ও বসতঘরে পানি উঠে। মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি গৃহপালিত জীবগুলোর খাবার দাবার বন্ধ হয়ে যায়। এসব কারণে পানিবাহিত নানারকম ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। দরপত্রের মাধ্যমে কার্যাদেশ দেয়ার পর চলতি অর্থ বছরের আর কয়েকদিন বাকী। অথচ কাজ শুরুই হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল বিভাগ দুই রকমের কথা বলছেন।

শ্রীপুর পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগসুত্রে জানা গেছে, বেগুনবাড়ী এলাকায় ড্রেন নির্মানের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১৯ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, বেগুনবাড়ী এলাকায় গত পাঁচ বছর যাবত জলাবদ্ধতা একটি স্থায়ী সমস্যা। বৃষ্টি না হলে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করে বাড়িতে বসবাস করা যায়। কিন্তু বর্ষা শুরু হলেই যতো দুর্ভোগ শুরু হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ডুবে ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে। কেউ কেউ বর্ষাকালে মাচা তৈরী করে ঘরে ঢুকেন। বসবাসকারী পরিবারগুলোর সদস্যরা নানারকম পানিবাহিত রোগে ভুগছেন। গৃহপালিত জীবগুলোর খাবার দাবার কখনো কখনো বন্ধ থাকে।

শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, দুুই বছর আগে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম মোল্লা পাওয়ার পাম্প লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন করতেন। কিন্তু গত দুই বছর যাবত জলাবদ্ধ পানি থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। বেগুনবাড়ী এলাকায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের সবাই দুর্ভোগে রয়েছেন।

স্থানীয় রোমানা বেগম বলেন, বেগুনবাড়ী এলাকার চারদিকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। জলাবদ্ধতার কারণে চলাফেরা ছাড়াও দৈনন্দিন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। রোববার তার সাতজন ভাড়াটিয়া ঘর ছেড়ে চলে গেছেন ও অন্যত্র বাসা ভাড়া নিচ্ছেন বলে দাবী তার।

এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স চুন্নু এন্ড কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহম্মেদ চুন্নু বলেন, চলতি অর্থ বছরে ১৯লাখ টাকা বরাদ্দে তাকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। গত প্রায় পাঁচ মাস আগে পৌরসভায় নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদান করেন। তিনি ওই এলাকা পরিদর্শন করে কাজের ক্ষেত্র বাড়িয়ে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। বৃষ্টির পানি সরে গেলে নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।

শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মোল্ল্যা বলেন, ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ শুরু করেনি। এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রথমে ড্রেন তৈরীর কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বর্ষার কারণে নির্মাণ কাজ শুরু করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পাইপ স্থাপন করে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হবে। তবে কার্যাদেশ দেয়ার পর পরিকল্পনা পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই