তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্পে স্বাবলম্বী হচ্ছে মানুষ

নওগাঁয় ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পে স্বাবলম্বী হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
[ভালুকা ডট কম : ২২ ফেব্রুয়ারী]
ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে নিম্ম আয়ের মানুষদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দারিদ্রতার হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প।

এই প্রকল্পটি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের দারিদ্র বিমোচনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কয়েক হাজার দারিদ্র পরিবার এ প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে দাারিদ্র বিমোচন করার পাশাপাশি গরু-ছগল, ধান-মৎস্য চাষসহ বিভিন্ন প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হচ্ছেন। দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে নিজেদের করেছেন স্বাবলম্বী। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রায় ১৭ হাজার মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। ফলে দিন দিন বেকারত্বের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

আমার বাড়ি, আমার খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মহাদেবপুর উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক এসএম আব্দুস সালাম বলেন, ২০০৯-২০২১ সাল পর্যন্ত  উপজেলায় ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। দুটি ভাগে গ্রাহকেরা ঋণ পেয়ে থাকেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ৫০ হাজার থেকে শুরু করে তাদের কার্যক্রমের উপর শতকরা পাঁচ শতাংশ হারে ঋণ পেয়ে থাকেন। সাধারণ গ্রাহক পাঁচ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত শতকরা আট শতাংশ হারে ঋণ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও ২৯০টি সমিতির প্রায় ১৭ হাজার গ্রাহকের ৬ কোটি ২৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা রয়েছে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সরকার একদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত করছে। অন্যদিকে সঞ্চয়ের উৎসাহ প্রদান করে সদস্যদের যুব উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা কার্যালয়ে দু’জন ফিল্ড সুপারভাইজারসহ ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন।’ তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর থেকে এ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবেন।

আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার দেলোয়ার হোসেন ও জাফর ইকবাল মল্লিক বলেন, উপজেলার হাজার হাজার নারী-পুরুষ এ প্রকল্পের ঋণ পেয়ে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আগামী দিনে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ আরও স্বাবলম্বী হবে।

‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগী উপজেলার শালবাড়ি গ্রামের সিরাজুল এর স্ত্রী তমা পারভীন, চকদৌলত গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে মাসুদ, মির্জাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র আব্দুল ওয়াহাব, চকদৌলত গ্রামের সাজ্জাদের স্ত্রী রাশেদা গত রোববার বিকেলে উপজেলা কার্যালয়ে ঋণ নিতে এসেছিলেন। তারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে তারা ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ায় জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।

‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিলন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি এই প্রকল্পের আওতায় দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ১৭হাজার সদস্য এ প্রকল্পের সুবিধার আওতায় এসেছেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

লাইফস্টাইল বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই