তারিখ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় চালের দাম বেড়েছে,নাভিশ্বাসে নিম্ম ও মধ্যবৃত্তরা

নওগাঁয় সকল প্রকার চালের দাম বেড়েছে,নাভিশ্বাসে নিম্ম ও মধ্যবৃত্তরা
[ভালুকা ডট কম : ০৭ জুন]
উত্তরের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সীমান্তবর্তি বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলা নওগাঁর বাজারে সকল প্রকার চালের দাম বেড়েছে। গত ১০দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি চালে ৩-৪টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান-চালের খাদ্য উদ্বৃদ্ধ জেলা নওগাঁ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। চালে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

জেলার রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর, মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি, স্বরস্বতীপুর, মাতাজি ও মহিষবাথান হাট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে হাইব্রিড ৯০০-৯২০ টাকা, জিরাশাইল ১০০০-১০৭০ টাকা, কাটারি ১১০০-১১২০ টাকা, মোয়াজ্জেম ৯৪০-৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিমণ ধানে ১০০-১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ১লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করা হয়েছে।

রাণীনগর উপজেলার একডালা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমে ২২বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। এক বিঘাতে ৫৬ ও এক বিঘাতে ৫৭ জাতের ধানের চাষ করা হয়েছিল। বাকীগুলোতে জিরাশাইল। যেখানে বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে প্রায় ২৫মন হারে। গত ১৫দিন আগে জিরাশাইল ১ হাজার ২০ টাকা মন দরে প্রায় ২৫০ মণ ধান বিক্রি করেছি। বর্তমানে বাজারে মণে প্রায় ১০০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

নওগাঁর পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজারে চাল কিনতে আসা রিক্সাচালক মফিজ উদ্দিন বলেন চালের দাম বৃদ্ধিতে ধনীদের কোন সমস্যা নেই। শুধু মরবো তো আমরা যারা দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা। দিনে রিক্সা চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তা যদি শুধু চাল কিনতে শেষ হয় তাহলে অন্যান্য বাজার করবো কি দিয়ে। বাজার মানেই তো আগুন। বাজেট আসার আগেই সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হয় কিন্তু আমাদের আয় আর বৃদ্ধি হয় না। সরকার কখনোই গরীবদের দিকে তাকায় না। আমরা চালের বাজার স্থিতিশীল চাই।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, গত ১০দিনের  ব্যবধানে প্রকার ভেদে প্রতিকেজি চালের দাম ৩-৪ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে জিরাশাইল প্রতিকেজি ৫০-৫২ টাকা, কাটারি ৫৫ টাকা ও খাটোদশ ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তার দাম বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা। আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন কিনে প্রতিদিন বিক্রি করা। ধানের জেলা হয়েও ধানের ভর মৌসুমের চালের দাম বেড়েছে। বিগত বছরগুলোতে কখনোই এমন হয়নি। ব্যবসায়ীদের বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে খরচও বেশি পড়ছে। একারণে বাজারে চালের দাম বেড়েছে।

নওগাঁ চাউলকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বাজারে চালের দাম বাড়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে ধানের দাম বৃদ্ধি। বিগত বছরে কৃষকরা ধান উঠানোর আগেই কাটা মাড়াই করে হাটে বিক্রি করত। কিন্তু এ বছর সামান্য পরিমাণ ধান হাটে বিক্রি করে বাঁকী টা ঘরে মজুদ করে রেখে দিয়েছে। হাট-বাজারে ধানের আমদানি কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে ধানের আমদানী কম হওয়ায় সঙ্গত কারণে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এতে চালের দামও বেড়ে গেছে। এবছর ধানের ফলনও ভাল হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

লাইফস্টাইল বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই