তারিখ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জের ৪বারের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা খুররম খান চৌধুরীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জুলাই]
ময়মনসিংহের নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার সাবেক ৪ বারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম খুররম খান চৌধুরীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (১৭ জুলাই) যথাযোগ্য মর্যাদায় আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে গত শনিবার হাসিনা খান চৌধুরী নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য সাবেক এমপি শাহ শহিদ সারোয়ার, সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবির শাহিন ও ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহাব আকন্দ সহ ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিন জেলার প্রায় দেড় শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মরহুম খুররম খান চৌধুরী ১৭ই জুলাই ২০২১ সালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৪৬ সালে নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাহাদুরপুর হাউজে এক সম্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জমিদার মরহুম আশরাফ হোসেন খান চৌধুরী, মাতা মরহুমা শামছুন্নেছা খান চৌধুরী। তিনি ১৯৬০ সালে রাজনীতি শুরু করেন। ৬১ বছরের রাজনীতির জীবনে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জীবদ্দশায় ১৯৬৪ সালের তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ময়মনসিংহ জেলাধীন নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বি.ডি মেম্বার নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বি.ডি মেম্বার থেকে পদ ত্যাগ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ গ্রহণ করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৬ সালে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে নান্দাইল থানা ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার রেডক্রস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে নির্বাচনে নান্দাইল নির্বাচনি এলাকা থেকে প্রথম বিএনপির জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির জাতীয় কমিটির ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট হিসাবে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে বৃটিশ রেডক্রস, সুইস রেডক্রস, জেনেভা রেডক্রস সোসাইটি সহ রেলগ্রেড রেডক্রস সোসাইটির সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে নান্দাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং নান্দাইল উপজেলাকে আদর্শ উপজেলা হিসাবে রূপান্তরিত করেন।

তিনি ময়মনসিংহ জেলাধীন নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে ৪বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে পার্লামেন্ট ডেলিগেশনে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির এক কনফারেন্সে অংশ গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে কানাডা কমনওয়েলথ কনফারেন্স বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ বর্ষিয়ান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী। মরহুম খুররম খান চৌধুরী সমাজের হতদরিদ্র জনগোষ্টির শিক্ষাবিস্তারের স্বার্থে নান্দাইলে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে গেছেন। তার মধ্যে খুররম খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, আশরাফ চৌধুরী ফাজিল মাদ্রাসা, আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী মহিলা কলেজ, শামছুন্নেছা চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, খুররম খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাফরুহীন খান চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্টস সহ ১৯৬৪ সাল থেকে তার সারা জীবন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে পরিচালিত করেন।

মরহুম খুররম খান চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা খান চৌধুরী একজন সমাজ সেবক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন ও পরিচালনায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। মরহুম খুররম খান চৌধুরীর একমাত্র ছেলে নাসের খান চৌধুরী পেশায় একজন সফল ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। তিনি নান্দাইল উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির অন্যতম সদস্য হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মরহুম খুররম খান চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে মাফরুহীন খান চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ার সিভিল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্মরত আছেন। এছাড়াও মরহুম খুররম খান চৌধুরী ঐহিত্যবাহী নান্দাইল প্রেসক্লাবের একতলা ভবন নিমার্ণ করে দেন এবং তিনি নান্দাইল প্রেসক্লাবের একজন সম্মানিত আজীবন সদস্য ছিলেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শোক সংবাদ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই