তারিখ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আমার এলোমেলো ভাবনা দ্বিতীয় পর্ব-হাজী সানি

আমার এলোমেলো ভাবনা দ্বিতীয় পর্ব-হাজী সানি
[ভালুকা ডট কম : ১৭ জানুয়ারী]
দীর্ঘদিনের একটা স্বপ্ন ছিল নিজের জন্য সংসারে স্বার্থহীন ভালোবাসা প্রতিষ্ঠার,সেই স্বপ্নপূরণে জীবন সংগ্রামে আন্দোলনও করছি লাগাতার কিন্তু বাস্তবতায় বারবার সেই স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সংসারের স্বার্থপর ভালোবাসা ।  স্বার্থহীনভাবে প্রান উজাড় করা ভালোবাসা জীবনের প্রথম নিঃশ্বাস যে মানুষ থেকে এসেছে যে নিজের জীবনের মায়া ছিন্ন করে উপহার দিয়েছে প্রথম নিঃশ্বাস সেই প্রথম স্বার্থপর হইয়ে চলে গেছে না বলে দূর থেকে বহু দূরে না ফেরার দেশে,একবারও ভাবেনি আজকের এখন পর্যন্ত আমার কথা। মা খুব বেশি মনে পড়ে তোমায়,প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে তোমাকে অনেক মনে পড়ে। মনে পড়বেই না কেন? অনেক কষ্ট দিয়েছ স্বার্থপর হইয়ে চলে গেছ না বলে আমার জীবন গণিতের সকল যোগফল শূন্য করে-

*আবেগ আর অনুভূতিটা হয়ত নেমে এসেছে শুন্যের কোঠায় হয়ত নিঃসঙ্গতায় বেচে আছে ধূসর অতীত আর পিছন ফিরে তাকালে নিজের অজান্তেই বেড়িয়ে আসে এক দীর্ঘশ্বাস,হাহাকারের সুরে পুড়তে থাকে শত না বলা আবেগ আর অনুভূতি তারপরও বুকের বাম পাজরটাতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা অপ্রকাশিত হাজারো স্বপ্ন ভবিষ্যতের দিকে লক্ষকরে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আজ বছর শেষে কি পেলাম? আর কি হারালাম? এর হিসাব করতে গিয়ে দেখা মিলে হিসাবের খাতায় বড়ই অমিল!অপূর্ণতার ছাই ভস্মের উপর গড়ে তুলেছি নতুন স্বপ্নের মহল হয়তোবা আবারও ভেঙ্গে পরবে মহল লাশ হবে স্বপ্ন, হয়ত স্বপ্নের লাশ বয়ে বেড়াতে হবে নতুন বছর, ভাঙ্গা গড়ার হিসাবে হাতের ফাক দিয়ে বেড়িয়ে চলে যাবে হয়ত নতুন বছর হিসেবের খাতায় আবার চোখ পরবে দেখব কি পেলাম কি হারালাম । হয়ত পাওয়ার চেয়ে হারানোর ভাগটায় বেশি থাকবে বরাবরের মতই,আসলে পাওয়াটা শূন্যের কোঠায় কিন্তু আসে পাশের মানুষ ভাবে ঠিক তার উল্টোটাই।চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিলাতে কেটে যাবে সময় ,কি পেলাম, কি পেলাম না? এ সব নিয়ে হা হুতাশ করেই শেষ বছর। তাই নতুন বছরটি হবে আমার ভেবে নেব যা পেয়েছি যে টুকু পেয়েছি তাই আমার আর যা পায়নি তা আমার কখনও ছিলই না ।-(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- January 1 at 12:10am • 2018

*সব কিছু ভেদ করে হঠাৎ ভাবণার দরজার কড়া নাড়ার শব্দ আসতে লাগে প্রায়ই,ভাবলাম এমন মানষিক দুর্যোগের সময় কে আসতে পারে?মাঝে মাঝেই যেন থেমে থেমে মনে দমকা হাওয়া বইছে,মনে হচ্ছে যেন নয়নে বৃষ্টি দেবতা উকি দিবে, এলোমেলো ভাবণা গুলো বুঝে না বুঝে সময় অসময়ে দরজার কড়াটা নড়াতে শুরু করে, ততখন নাড়াতে থাকে যতখ না কেউ দরজাটা খুলছে,কি যে এক অসহনীয় যন্ত্রনা পরিত্রানের সেই আলিশানন প্রসাদের দারোয়ান বেটা যেন দরজাটায় খিল এটে গোড়া বেচে শুয়ে পরেছে । (হাজী সানি) Facebook Timeline Post- January 7, 2016 •

*এই মরুতে এখনো শুদ্ধ বাংলা স্বপ্ন চোখে আসে হয়ত বিশ্বাস যোগ্য নয় তার পরও চেষ্টা করি নানা জাতির নানা বর্ণমালার ভিড়ে নিজের বর্ণমালাকে বুকের গহিনে চাষ করতে। চিন্তা-চেতনায় সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় থাকা সেই স্বপ্নবাজদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। বরং প্রতিকূল পরিবেশেও ফেরি করে বেড়াচ্ছি নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে। এই মরুতে এখনো শুদ্ধ বাংলা স্বপ্ন চোখে আসে নিজ বর্ণমালাকে বুকের গহিনে চাষ করতে ভাল লাগে ।-(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- December 20, 2017 at 1:43pm •

*আজ ০৮ ডিসেম্বর ছিল ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত দিবস দিনটিকে সরণ করতে ভালুকার অনেক ব্যাক্তি,রাজনৈতিক নেতারা তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েয়েছে তাদের দুই জন ব্যাক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে দুটি কথা লিখতে মন চাইল ।

১ম ব্যক্তি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন "আজ ৮ই ডিসেম্বর,, এই দিনেই আমাদের প্রিয় ভূমি,,,ভালুকা,, হানাদার মুক্ত হয়।আমরা স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করি,,,সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা,,,,,,,জয় বাংলা,,জয় পিতা মুজিব,,।"

২য় ব্যক্তি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন " আজ ৮ ডিসেম্বর ভালুকা মুক্ত দিবস .১৯৭১ সনের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনী ফযরের নামাজের একটু আগে ভালুকা হতে পলায়ন শুরু করে এই সময় আমাদের বীর মুক্তিযোব্দারা পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারদেরকে প্রতিরোধ করে ।সংবাদ পেয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতা ভালুকা আসতে শুরু করে সেইদিন আমিও জনতার সাথে ভালুকা আসি তখন শ্লোগানে মুখরিত ছিল ভালুকার আকাশ বাতাস ।পাকহানাদার ও রাজাকারদের পিছনে গুলি করতে করতে মুক্তিযোব্দারা গফরগাঁও অবদি গিয়েছিল আমি কিন্তু পিছ ছাড়ি নাই ।--------কিছু রাজাকারকে ধরে আনা হয়েছে তা ছাড়া ভোরে ভালুকা বাজারে ব্যাপক লুট পাট হয়েছে ।আমি আজকের এই দিনে সকল বীর মুক্তিযোব্দাদের সালাম জানাই যারা মৃত্যু করেছেন তাদের বেহেস্ত কামনা করছি শহীদের প্রতি শ্রব্দা জানাই ।"

১ম ব্যক্তির স্ট্যাটাসে পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তিনি একজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যাক্তি আর ২য় জন্য আওয়ামী লীগ বিরোধী এক জন ব্যক্তি আমার প্রশ্ন হচ্ছে ১ম ব্যক্তির কাছে ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের কৃতিত্ব কি ছিল ? আর আমার প্রশ্ন ২য় ব্যক্তির কাছে আপনি এত কিছু লিখলেন যে সূর্য সন্তানরা এই মুক্তির জন্য যুদ্ধে প্রথম সারিতে ছিল তাদের এক দু জনের নাম কি আপনার জানা ছিলনা ? কি এমন ক্ষতি হয়ে যেতে মেজর আফসার বাহিনীর নামটা উল্লেখ করলে ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতিত্ব পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ নামের মানচিত্র করাতে অপরিসীম অদ্বীতিয় কিন্তু ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত করাতে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের কোন কৃতিত্ব নেই যদি কেউ কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য থাকে তবে সে হচ্ছে বৃটিশ ভারত সেনাবাহিনীর (অবঃ) সুবেদার তৎকালীন ভালুকা থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আফসার বাহিনীর প্রধান আফসার উদ্দীন আহম্মেদসহ দীর্ঘ ৯ মাসের বিভিন্ন যুদ্ধে যে ৪৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন তারা এবং যে সব মুক্তিযোদ্ধারা এখনও জীবিত আছেন তারা ।

যদি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতেই হয় ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে তবে সকল রাজনীতির উর্ধে থেকে প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান দেখান নতুন প্রজন্ম আপনাদের সম্মান দেখাবে আর ভালুকা পাক হানাদার মুক্ত দিবস নিয়ে কথা বলে যদি বঙ্গবন্ধু আসে আফসার বাহিনীর নাম না আসে তবে আমাদের মানসিকতার পরিচয় লজ্জা জনক । ধন্যবাদ-(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- December 8, 2017 • Hafar Al Batin •

*প্রবল ও প্রকান্ড কোন স্মৃতিরেখার পথে অনুভূতি গুলো বিক্ষিপ্ত, প্রচন্ড রকম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটোছুটি করছে ধূসর সাদা মরুর এ প্রান্ত ও প্রান্তে ! কোথায় পাবে সেই কিশোরকে স্মৃতিরেখার পথে, যে হয়তো এখন যুবক হয়ত পরিনত হয়েছে শেষ অব্দিতে তবু অনুভূতি গুলো তাদের খুজে, দেখা হলেই বলবে স্মৃতিরেখার ছবিগুলো এক একটা গল্প,সেই গল্প আজ শেষ অব্দিতে আমায় তৃপ্তি দেবে ! চমৎকার সব ভাবনা। যখন কিশোর ছিলাম বুক ভরে বাতাস নিতাম আর খোলা মাঠে ধান ক্ষেতের আইল ধরে হেটে বেড়াতাম ,যাই দেখতাম সবই রঙিন লাগতো ,দু'চোখে অনেক স্বপ্ন ছিল,পৃথিবীটা অসাধারণ লাগতো অনেক সাধারণ ব্যাপার গুলো অনেক আনন্দ দিতো। ভোরের সূর্য আমাকে আলোকিত করতো। রাতের তাঁরা আমার স্বপ্নের রসদ দিতো। বৃষ্টি আমাকে পবিত্র করতো। পাখির গান আমাকে মুগ্ধ করতো অনুভূতি গুলো ছিলো অসাধারণ। এখন অনুভূতি গুলো বিক্ষিপ্ত, প্রচন্ড রকম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটোছুটি করছে ধূসর সাদা মরুর এ প্রান্ত ও প্রান্তে, সেই সরলতা সেই কোমলতা আর নেই, ধূসর সাদা মরু হয়ে উঠছে নিষ্ঠুর ,রঙিন পৃথিবী যেন হয়ে গেছে সাদাকালো। -(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- December 21, 2017 at 9:10am • Hafar Al Batin •

*ভালো লাগার মত একটা অনুভূতি যেন ছড়িয়ে পড়েছ প্রকৃতির মাঝে তবে কেন ভালো লাগছে ? মনে হচ্ছে হাওয়ায় মর্মর ধ্বনি তুলে ঝরে পড়েছ শুকনো পাতা। যেন নতুন কিছুর সমারোহ ঘটেছে ধূসর মরুর সাদা বুকে ,যেন প্রকৃতির আঙিনা সাজছে নতুন রূপে । সকালের সূর্যটা উঁকি দেয়ার আগে ধূসর মরুর সাদা বুকটা লাগছিল অনেকটাই হালকা লালচে পাঁপড়ির রং। রূপসী বাংলায় শরতের মনোহর রূপে মুগ্ধ হয়ে কবিগুরু শরতকে স্বাগত জানিয়েছিলেন- এসো গো শারদলক্ষী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে, এসো নির্মল নীলপথে, এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল বনগিরিপর্বতে বলে কিন্তু না আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর না আমার প্রকৃতির আঙিনা রূপসী বাংলা তার পরও যেমন কবি বলে গেছে ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত তেমনি আমার প্রকৃতির আঙিনা রূপসী হোক বা না হোক ধূসর মরুর সাদা বুকে আজ যেন সাজছে নতুন রূপে শীতের সকাল ভালো লাগার মত একটা অনুভূতি প্রকৃতির মাঝে । ধূসর মরুর সাদা বুকের সৌন্দর্য মনকে রূপসী বাংলর প্রকৃতির কাছাকাছি অনেকটাই নিয়ে যায়,মনটা হয়ে ওঠে ফুরফুরে,সূর্যটা উঁকি দেয়ায় খানিক উষ্ণতার ছোঁয়া, শীতের তীব্রতায় রোদের তেজ কম,ঘূর্ণি বরফ মেশানো বাতাস- আবার হালকা বৃষ্টি সব মিলিয়ে মরুর সাদা বুকের রূপ একেবারে ভিন্ন তার মধ্যে আবার নীল আকাশের নীচে বিস্তির্ণ মরুভূমি যতদূর চোখ যায় শুধু বালি ঢেউয়ের উচু নিচু প্রান্তর কোথাও কেউ নেই একেবারে একা তাই মনেও পরিবর্তন আসে তাই মাঝে মাঝে কবিগুরু হয়ে যাই এই আরকি ।-(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- December 22, 2017 at 1:31pm •

*“দান” বস্ত্রদান,অর্থদান,রক্তদান, দান এক মহান নাম আমার মতে সমাজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেকে মুক্তির এক নাম দান ,দান নিজের উপর নিজের কৃপাদুষ্টির এক নাম । গরিব অসহায়দের মাঝে শুধুমাত্র অর্থ সম্পদ বিলিয়ে দেয়ার নামই দান নয়, প্রতিটি ভালো কাজই একটি দান। হাদিসে এসেছে, প্রত্যেক সৎকাজই একটি দান। ইসলাম সবচে সহজ দান সালাম প্রদান করা সালাম প্রদান করার মাধ্যমে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ,ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, শীতার্ত কে শীতবস্ত্র দিলে তার জীবনের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়,একজনের দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন আলো বৃদ্ধি পায়, শুধুমাত্র অর্থ সম্পদ বিলিয়ে দেয়ায় দান নয়। তবে এই ভাল কাজটি করতে ইসলামে বলা হয়েছে এমন ভাবে দান কর যে, ডান হাতে দান করলে বাম হাত যেন না দেখে। তবে আমাদের প্রচলিত সমাজে আজ কাল দেখা যায় নামে সাথে বিশেষ বিশেষণ বিশিষ্ট দানবীর,এক দুই তিন বা পঞ্চাশ প্লাস রক্তদাতা,শীতার্তদের পঞ্চাশ হাজার প্লাস কম্বল দাতা কিন্তু এটা কেন ?

আমার জ্ঞান এইসব ব্যাপারে খুব কম, কিন্তু আমি সরল মনে যা বুঝছি (যেহেতু আমি মুসলিম) ইসলাম বলেছে তোমরা খুব গোপনে দান করো। আর এক হাতে দান করলে অপর হাত যেন না জানে এর অর্থ হচ্ছে আপনার দান যেন লোক দেখানো দানে পরিনিত না হয়। ইসলাম লোক দেখানো কোন ইবাদতই পছন্দ করে না আর দানটাও ইসলামে একটা ইবাদত। আর সেই ইবাদত যদি হয় শুধু আল্লাহর জন্য তবে আল্লাহ গোপনীয়তাকে পছন্দ করেন।

অনেকে বলেন অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য আমি প্রকাশ্যে দান করি প্রচার করি এই বিষয়ে তারা কিছু যুক্তিও হয়ত দিতে পারেন একটা হাদীসের মাধ্যমে যে "অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য প্রকাশ্যে দান করলে এবং কেউ উৎসাহিত হয়ে দান করলে উৎসাহদানকারী ব্যক্তি অন্যদের দানের সমপরিমাণ ছওয়াব পাবেন" তবে আমার কাছে সেই সব ব্যক্তির এই উক্তিটি নেহায়েত অযুক্তিক মনে হয় কারন ইসলামের মৌলিক আক্বীদা-আমল থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্যুত হয়ে পড়াদের আক্বীদা রক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য নামাজ রোজা করার জন্য কত বার প্রকাশ্যে প্রচার করেছি ? যেখানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর নামাজ রোজা ফরজ করা হয়েছে । ভেবে দেখার বিষয় নয় কি ?

দানের গণনা করে সংখ্যার ইতিহাসে নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করার কিছু নেই আমার দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবে এটা মনে করে অনেক বড় কিছু ভাববার আগে আমার দেখে নেয়া দরকার আসলে রক্তদানে আমি কি পেলাম “উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ রক্তদানের উপকারিতায় বলা হয়েছে কেন আপনি রক্তদান করবেন [] রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকার জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। [] নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। [] আরেক গবেষণায় দেখা যায়, যারা বছরে দুই বার রক্ত দেয়, অন্যদের তুলনায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। চার বছর ধরে ১২০০ লোকের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছিলো। [] নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা তা বিনা খরচে জানা যায়। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি। [] প্রতি পাইন্ট (এক গ্যালনের আট ভাগের এক ভাগ) রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। [] রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।” তার মানে আমি স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজে নিজের উপর কৃপা করছি। -(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- January 5 at 7:53am •2018 •

*নারীর মর্যাদা ও সম্মান পরিপূর্ণভাবে রক্ষায় এগিয়ে আসুন নিজের হীন স্বার্থপরতা নগ্নতাকে লজ্জার চাদরে ঢেকে রাখুন,একজন নারী সে হয়তো আজ কারো কন্যা কারো বোন কাল কারো স্ত্রী পরশু হয়তোবা কারো মা। স্মরণ করেন আজ আপনি ও কোন মায়ের সন্তান আর আপনার মাও এক জন নারী । মা আপনিও পর্দায় নিজেকে রাখুন যাতে আপনার বাবা,ভাই,ছেলে আপনাকে দেখে অন্য নারীকে সম্মান করতে শিখে । -(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- January 7 at 2:48pm • 2018 •

*আমি প্রবাসী, আমি স্বপ্ন বিলাসী,আমি আজব মানুষ কি?একাকিত্ব ভালবাসি,অবাক হই নিজেই -কষ্ট পেয়েও হাসি, বাস্তবতা কম বুঝি শুধু মনের কথা শুনি স্বপ্নের মাঝে পথ খুজি স্বপ্ন বিলাসী এই আমি । সংসারে স্বপ্ন বিলাসী কাঁদে সবচে বেশি তাই হয়ত স্বপ্নকে এত বেশি ভালবাসি । প্রবাসীর জীবন হয়ত অনেকটাই স্বপ্ন বিলাসী,সৃষ্টিশীলদের ভাষায় বলতে গেলে দেয়ালহীন কারাগারের নামই হয়ত প্রবাস। যেখানে প্রতিনিয়ত স্বপ্নরা বাসাবাঁধে কিন্তু পূরণ হবার জন্য নিদ্রাটুকু আসেনা,রাতে আস্তে আস্তে স্বপ্নরা ভীড় করে মনের জানালায়,রাতের গভীরতার সাথে সাথে সব স্বপ্ন এলোমেলো হয়ে চলে যায় নির্ঘুম রাতের অসংখ্য স্মৃতির ভীড়ে। আমি প্রবাসী, আমি স্বপ্ন বিলাসী,আমি আজব মানুষ কি? 🤔-(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- January 9 at 8:12am • 2018 •

*নিঃসঙ্গ প্রহর পাড়ি দিতে দিতে এই অবেলায় আনমনে গন্তব্য-হীন এক মুসাফিরের বেশে পাড়ি দিচ্ছি বহুদূরের পথ সবকিছু নিতান্তই প্রণহীন কালের গতিময়তা কঠোর ,সেই কবে হাত ছেড়ে পথ আলাদা করে চলা আজ এই নিঃসঙ্গ অবেলায় গন্তব্য-হীন যাত্রাটা যেন একটু বেশিই বেমানান মনে হচ্ছে । পথ যদি আলাদা নাই হতো,হেঁটে হেঁটে এই অবেলায় একটু জিরিয়ে নিতাম,হয়তো তোমার ঘাড়ে মাথা রেখে একটু অনুভব করতাম শীতলতা,কোন কিছুই আজ আর হলনা অবশেষে নিজেকে বড্ড বেশি ক্লান্ত মনে হচ্ছে। এই পড়ন্ত বিকেলে গোধূলীর শেষ সীমানায় গন্তব্য-হীন মুসাফিরের বেশে স্তব্ধ,নিঃশব্দ ঘুমন্ত মরুর উপর চলেছি যেন আমি রাজা, স্তব্ধ,নিঃশব্দ ঘুমন্ত মরু আমার রাজত্ব আর এই একাকীত্ব আমার প্রজা। সেই কবে পথ চলা শুরু করি তা এখন আর মনে নেই এই পথের শুরু আর শেষ জানা নেই ,শুধু জানি চলতে হবে ব্যস্ততায় বিলীন হতে মানা তাই চলতে হবে থামা নিষেধ সাত সমুদ্র পারি দিয়ে হলও জানতে হবে কেমন আছো তুমি? দেখতে হবে কালো চুলে এখনও কি বাধো বেনি? কিন্তু এখন বার বার খুব বেশি জানতে ইচ্ছে করছে এই অবেলা শেষের সূর্যরশ্মি কি এখনও তোমার গন্তব্যে ঝলমল করছে ? সে রশ্মিতে এখনও কি সময় কাটাচ্ছ? নাকি অন্য কিছু জানতে হবে তাই চলতে হবে থামা নিষেধ ।-(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- January 14 at 2:38pm • 2018 • (ন্যবা)






সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই