তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আমার এলোমেলো ভাবনা ষষ্ঠ পর্ব -হাজী সানি

আমার এলোমেলো ভাবনা ষষ্ঠ পর্ব -হাজী সানি
[ভালুকা ডট কম : ২১ জুন]
স্মৃতি কষ্ট দেয়, কাঁদায়, স্বপ্ন নতুন কিছুর জন্য উৎসাহ দেয়। স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক উত্তম ।স্বপ্ন নিয়ে সেরা বাক্য গুলো বাছাই করতে গিয়ে ঘুমের সাথে যথেষ্ঠ কষ্ট করতে হয়েছে কারণ, স্বপ্ন দেখা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন হালকা ঘুমের স্বপ্নগুলি হয় হাল্কা,অস্পষ্ট কিছু লজিকবিহীন এলোমেলো ছবি, গাঢ় ঘুমের স্বপ্ন-স্পষ্ট, যুক্তিনির্ভর।কিন্তু আমারতো সম্পুর্ণ উল্টা পাল্টা আমিত খুলা চোখেই স্বপ্ন দেখি!

পৃথিবীর সব সফল ও জ্ঞানী মানুষই সুন্দর সুন্দর উক্তি করেছেন স্বপ্ন সম্পর্কে ,উক্তি গুলোর বেশিরভাগই দারুন উৎসাহমূলক।কিন্তু আমার খুলা চোখের স্বপ্ন বাছতে গিয়ে আজ এক মধুর সমস্যায় পড়ে গেছি কোনটা ছেড়ে কোনটা নেব – এমন অবস্থা।আসলে যে কোনও সাফল্য বা অর্জনের মূলেই থাকে একটা আকাঙ্খা বা স্বপ্ন। এটাই আসলে মানুষকে দিয়ে পরিশ্রম করায়, এটাই মানুষকে অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা করতে উৎসাহ দেয়। যার মাঝে স্বপ্ন নেই তার মাঝে আসলে আশা বা উৎসাহ নেই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা, ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস, ছোট অবস্থায় থেকেও জীবনে বড় অর্জন করার সংকল্প – সবকিছুই উৎসই আসলে এটি।স্বপ্ন দেখার উক্তি বা উৎসাহমূলক বাণীগুলো আমরা গ্রহণ করেছি অতীত ও বর্তমানের সফল ও জ্ঞানী মানুষদের কাছ থেকে।

**মানুষের খাদ্য সংকট ক্রমশই তীব্র হচ্ছে,করোনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি জনজীবন, দিন যাচ্ছে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে যা সময়ের ব্যবধানে মানুষের খাদ্য সংকট ক্রমশই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ত্রাণের জন্য হাহাহকার ইতোমধ্যেই লক্ষণীয়। এক শ্রেণীর মানুষ খাদ্যের জন্য দিশাহারা তো অন্য এক শ্রেণী ক্যামেরা হাতে ব্যস্ত নিজেদেরকে সমাজে জাহির করার জন্য সমাজ চিত্রে যা অশোভনীয় মানব সভ্যতার বহিরপ্রকাশ। আমরা ভুলে যাচ্ছি নিজেদের অস্তিত্ব উপরে ওঠাতে অন্যের আত্ম অহমিকা কে নিজের পায়ের জুতার নিচে দিয়ে লুণ্ঠিত করছি ।দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ দিন আনে দিন খায় তার মানে এই নয় এরা কারো দয়ায় বা করুণায় জীবন ব্যতীত করছে।সময়টা তাদের জন্য অনেকটা ক্রান্তিকাল গৃহবন্দী তাই উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়তো এই দিকটাই আজ তারা অসহায় আর এই অসহায়ত্বের সুযোগটা এক শ্রেণীর লোক যারা দানবীর হরিশচন্দ্র আখ্যায়িত তারা ফটোসেশনের নামে ওই খেটে খাওয়া মানুষদের যে ভাবে লাঞ্চিত করছে তা দেখে মনুষ্যত্ব আজ সত্যিই লজ্জাহীন মনে হচ্ছে ।

ফেসবুকের স্ট্যাটাসে আর বিভিন্ন অনলাইন দৈনিকের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা দানবীর হরিশচন্দ্রদের দানের যে কিচ্ছা কাহিনী প্রতিনিয়ত চোখে পড়েছে তাতে বুঝার কোন উপায় নেই দেশে আসলেই কোন সমস্যা আছে কিন্তু পরক্ষণেই যখন ফটোসেশনের পিছনের ঘটনা দৃষ্টি গোচর থেকে দৃষ্টির আলোকে আসে তখনই প্রকাশ পায় আসলে সত্যটা ফেসবুকের স্ট্যাটাস আর বাস্তবতা অনেক বেশি পার্থক্য আমাদের মানব জীবনে।

কাউকে তার দুঃসময়ে একটু সহযোগিতা করে মানবতাকে জয় করার চেয়ে যারা নিজের অস্তিত্বকে প্রচারে ব্যস্ত থাকে তারা কতটুক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে পাশে দাঁড়ায় তা প্রশ্নবিদ্ধ ! আর যদি কাউকে সহযোগিতা করে তার জীবনে একটু স্বচ্ছলতা আনার জন্য পাশে দাঁড়িয়ে থাকি তবে কেন তার আত্ম অহমিকা কে নিজের পায়ের জুতার নিচে দিয়ে লুণ্ঠিত করছি। জীবনের সবচাইতে নিকৃষ্ট কাজ ভিক্ষাবৃত্তি কিন্তু যারা দানবীর সেজে নিজেদেরকে অন্যের কাছে জাহির করার জন্য অন্যের আত্মমর্যাদা কে লুণ্ঠিত করছে তাদের মধ্যে আর একজন ভিক্ষাবৃত্তি করা মানুষের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?দুজনেই তো অন্যের কাছ থেকে আশা করছে একজন পেটের জ্বালা নিবারণের জন্য হয়তো দু মোঠ ভাত আরেকজন নিজের অস্তিত্বকে বুলন্দিতে দিতে অন্যের সহযোগিতায় প্রচার!
এটাই স্বাভাবিক স্রষ্টার সৃষ্টিতে যার যা নেই সে তাই বেশি বেশি কামনা করে, ভিখারীর ভাতের অভাব আর নামধারী দানবীর হরিশচন্দ্রদের নিজের নামের প্রভাব। আসলে কে কাকে দিচ্ছে যে অসহায় হয়ে পড়ায় কারো কাছ থেকে কিছু নিচ্ছে নাকি যে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অন্যের কাছ থেকে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে,চিন্তার বিষয়,এক বার ফটোসেশনের আগে নিজের বিবেককে জাগ্রত করুন সব উত্তর পেয়ে যাবেন।

দান করুন পৃথিবীর সকল ধর্মে দান করাকে সর্বোত্তম কর্ম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মানব সেবা জীবনের সবচেয়ে বড় ধর্ম কিন্তু ধান এবং সেবা দুটোই আত্মতৃপ্তির জন্য যখনই করা হয় তখন হয় মহান আর যখন তা প্রচারের জন্য হয় তখন আর তার মধ্যে সেই আত্মতৃপ্তি এবং মহানুভবতা কোনটাই থাকেনা। আমি যেহেতু মুসলিম তাই আমার ধর্ম অনুযায়ী দানে বরকত বাড়ে আবার আমার ধর্মে বলে দান এমন ভাবে করো যে সেই ব্যক্তি না বুঝতে পারে তুমি তাকে দান করেছ কারণ সে হয়তো নিজেকে অপমানিত বোধ করতেও পারে তাই ডান হাতে দান করো বাম হাতে যেন তার খবর না হয়।

আমি ভালুকার আর তাই ভালুকার প্রশাসন অথবা জনপ্রতিনিধি যারা এই মহৎ কাজ ত্রাণ বিতরণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছেন তাদের জন্য শুধু এতটুকু নিবেদন করব, মুখ দেখে নয় সমস্যা দেখে বিতরণ করুন। আমি ভালুকার এমন বেশ কয়জন জনপ্রতিনিধির ত্রাণ বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠাতে পারি কিন্তু জনসম্মুখে কাউকে অপমানিত লাঞ্ছিত করার মনোবাসনা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমার মধ্যে নেই তারপরও ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যেন এমন ঘটনার উদয় জনপ্রতিনিধিরা না করে "আমি এক ব্যক্তিকে জানি যে ভালুকা পৌরসভার বাইরের অথচ ভালুকায় থেকে ভালুকায় ছোট্ট একটা ভাসমান ব্যবসা করে সংসার চালায় কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিকালে তার ভাসমান ব্যবসাটি লকডাউন এর কারণে স্থবির হয়ে পড়ায় পরিবারের ভরণপোষণ করাটা অনেকটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে কিন্তু লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারিনি সর্ব শেষ সন্তানের কষ্টের কারণে পৌরসভার কোন এক জনপ্রতিনিধির দ্বারস্থ হলে জনপ্রতিনিধি তার কাছে তার ভোটার আইডি চাইলে সে যখন তা দেখায় তখন জনপ্রতিনিধি উত্তরে বলেন আপনি আমার এলাকার ভোটার না তাই আপনাকে কিছু দেওয়া যাবে না আপনি আপনার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে যান।" তাহলে মানবতা কি শুধুমাত্র ভোটারদের জন্য?

কথা হচ্ছিল একজন ভালুকার নারী স্বেচ্ছাসেবীর সাথে যাদেরকে ভালুকা প্রশাসন নিয়োগ দিয়েছিল স্বেচ্ছায় ত্রাণের সামগ্রিক প্যাকেজিং করার কাজে সহায়তা করার জন্য যা গত কয়েকদিন আমি নিজেও ফেসবুকে ত্রাণের সামগ্রিক প্যাকেজিং করার ছবি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি সেই সব স্বেচ্ছাসেবীর একজন সেই নারী বলল আমি আমার ওয়ার্ডের জন্য ৩৫ টি প্যাকেট করে আসলাম কিন্তু সেই প্যাকেট গেল কোথায় তা জানতে পারলাম না। প্রশাসনকে জিজ্ঞেস করলাম উত্তর আসলো স্থানীয় চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ৩৫ প্যাকেটের একটি প্যাকেট আমার দৃষ্টিতে আসেনি আমার ওয়ার্ডের কোন প্রাপ্য ব্যক্তির হাতে।

ভালুকার প্রশাসনের হাতে সময় খুব বেশি নাই। যা করবার দ্রুত করতে হবে।সর্বোচ্চ করোনা ঝুঁকিতে উপজেলা যে কোনো সময় মহামারী রূপ নেয়ার আশংকা আমার দৃষ্টিতে তার বেশ কটি কারন ।ইতি মধ্যে ভালুকার শিল্পাঞ্চল ক্ষত হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ডুবালিয়া পাড়ায় উপজেলার প্রথম কডিট ১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক মিল শ্রমিককে শনাক্ত করা হয়েছে।এ ছাড়াও শনাক্ত ব্যক্তির স্ত্রী, মা,শাশুড়ির রক্ত পরীক্ষা করে কভিট-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাদের সবাইকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বুধবার ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামালের স্বাক্ষরিত এক গণ- বিজ্ঞপ্তিতে হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ডুবালিয়া পাড়া এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলাটি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় বেশ কিছু বড় এবং ছোট আকারের শিল্প-কলকারখানা এই উপজেলাটিতে থাকার সুবাদে হাজার হাজার শ্রমিক এখানে কর্মরত থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে ভালুকাতে বসবাস করছে তাই উপজেলাটি অতীব ঘনবসতিপূর্ণ আর মানুষ সমাগম সর্বোচ্চ করোনা ঝুঁকি।

ভালুকা মৎস্য খামারের জন্য দেশের মধ্যে বেশ প্রসিদ্ধ এই মৎস্য খামারের মাছ ভালুকা বাজারের মাছের আড়ৎ থেকে কিনে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে খুচরা বিক্রির জন্য শতাধিক মাছের পাইকার যারা প্রতিদিনই আসে ঢাকা ও আশাপাশ এলাকা থেকে এর ফলে ভালুকায় আগত পাইকারদের মাধ্যমে হাঁচি,কাশি ও ছোঁয়াছুঁই অথবা টাকার মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছাড়ানো ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। সারাদেশের মাঝে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সর্বোচ্চ আক্রান্ত ঢাকা শহর এর পরে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ শহর। নারায়ণগঞ্জে বসবাসকারী ও বিভিন্ন মিল কারখানার শ্রমিক যারা ভালুকার বাসিন্দা তারা গত কয়েক দিনে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে নিজ এলাকায় চলে এসেছেন। যার ফলে বর্তমানে পুরো উপজেলায় ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রশাসন, যেকোনো মূল্যে খাদ্য প্রক্রিয়া ও প্রবাহ অব্যাহত রাখার সকল কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করুন। মনে রাখতে হবে মানুষ গৃহবন্দি। এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে মহাবিপদ চলে আসতে পারে। আর সে বিপদ মোকাবিলায় এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে মহাপির্যয়ের মুখোমুখি হবে ভালুকাবাসীকে।এমন পরিস্থিতিতে সবাই বিপদগ্রস্ত থাকে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ দিন আনে দিন খায়। এই জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংকটকাল যাচ্ছে এখন। তাদের সংকট কাটাতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়াও এর বাইরে আরেকটি বড় জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তা যাকে আমরা বলি মধ্যবিত্ত পরিবার। তারা চাইলেই হাত বাড়াতে পারেন না। আর হাত তারা বাড়িয়েও এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না। এ রকম মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছেন যাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, আয় নেই। এদের বেশিরভাগই অনানুষ্ঠানিক। এরাই মূলত বড়ধরনের ধাক্কা খাবেন আগামীতে। এদের বাঁঁচিয়ে রাখতে প্রশাসনের দৃষ্টি দিতে হবে ।

মধ্যবিত্ত পরিবার সম্পর্কে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি হুমায়ূন আহমেদের একটি উক্তি দিয়ে শেষ করব- "মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায় ” জীবনে কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যার উত্তর কখনও মিলেনা, কিছু কিছু ভুল থাকে যা শোধরানো যায়না, আর কিছু কিছু কষ্ট থাকে যা কাউকে বলা যায়না এর নাম মধ্যবিত্ত জীবন।
প্রায় দুই বছর পর নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে কিছু লিখলাম তাও সবার জন্য নয় শুধুমাত্র ফেসবুক আইডিতে যারা বন্ধু আছেন তাদের জন্য লেখাটির উন্মুক্ত কারণ কিছু লিখতে গেলে অন্যের চেতনায় আঙ্গুল পড়ে যায় কারো চেতনায় আঙ্গুল দিতে নয় নিজের আবেগ থেকে বন্ধু তালিকায় যে কয়জন আছে তাদের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করার ইচ্ছাতেই লেখা টি বিশেষ করে প্রশাসনের দুই একজন ব্যক্তি বন্ধু তালিকায় আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই মূলত লেখা টি -(হাজী সানি)। Facebook Timeline Post April 17 •  at 07:22pm • 2020 •

**ইদানিং ফেসবুকে প্রবেশ করা মাত্রই নিজেকে বড্ড বেশি অমানুষ বলে মনে হয় । মনুষ্যত্বের ভিড়ে যেন আমি একাই এক অমানুষ, চতুর্দিকে শুধুমাত্র মানবতার জয়জয়কার শুধুই মানবতার গান ।এত বেশি পোস্ট হয় মানবদেহের মানবতার জয়জয়কার নিয়ে জয় হোক মানবতা মানবতা মানবতা। নিজের এমন একটি পোস্ট করার মত ভাগ্য হয়না যখন তখন সত্যিই কেন জানি মনে হয় হয়তো মনুষ্যত্ব নেই নিজের মধ্যে ,বড় বেশি কষ্ট হয় আবার পরক্ষনেই ভুলে যায় কষ্ট হবে কেন আমি তো মানুষই নই। আবার নিজেকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে আসলেই কি আমি মানুষ ?হলে কেন মানবতার গান গাইনা। আমি মানবতাকে দেখেছি ছেলের প্যান্ট-শার্ট স্যুটে ফেইসবুক এর ঝকঝকে ঝকঝকে ছবির সাথে সেই কি মানবতার কাহিনী যার এ পৃষ্ঠাতো সাদা মনে হয় অন্যটি যেন একেবারেই অন্ধকার। আমি দেখেছি মানবতা বাড়ির আঙিনায় সেই ছেলের মায়ের ছেঁড়া কাপড়ে ভিক্ষার ঝুলি হাতে অন্যের দুয়ারে। তখন হয়তো একটু শান্তি পেলাম যাই হোক মানুষ নাইবা হলাম।-(হাজী সানি, সঞ্চালক ভালুকা মাল্টিমিডিয়া নেটওয়ার্ক) Facebook Timeline Post  April 23  •  at 09:09am • 2020 •

**এই যে শুনছেন কে বলছেন জ্বী আমি স্বঘোষিত ঘাড়তেড়া বলছিলাম জ্বী জনাব আপনার কানটা শব্দ করছে না আমার কথাটা আপনি শুনতে পাচ্ছেন আমি স্বঘোষিত ঘাড়তেড়া বলছি নিজের জন্য যদি অতিরিক্ত মায়াকান্না হয় অনুগ্রহ করে দরজাটা খুলে ভিতরে ঢুকবেন না বাহির থেকে চলে যান কারণ ভিতরের হাওয়া বাতাস হয়তো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে যখন একে অন্যের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে কর্মহীন এই সময়ে ঠিক আমার মত ব্যক্তিদের জীবনে সম্পর্কের শতভাগ অবনতি ঘটার শতভাগ গ্যারান্টি চলে আসছে কারন ওই যে বললাম স্বঘোষিত ঘাড়তেড়া কারোনার করনে কাজ নেই কি করব বসে বসে এর চেতনায় আঙ্গুলি দেওয়া ওর চেতনায় আঙ্গুলি দেওয়া ছাড়া আর তেমন কোন কর্ম করার মত নেই! বেকার সময় পার করছি।

যাইহোক আপনার চেতনায় যদি অঙ্গুলি পরেও থাকে তবে মন্তব্যর বাক্সটি আপনার জন্য খোলা আছে আপনিও সেখানে আঙ্গুলি করতে পারেন দয়া করে ইনবক্সে তোষামোদি করতে আসবেন না আপনার কাছে বিশেষ অনুরোধ রইল; অনুরোধ ক্রমে স্বঘোষিত

প্রথমে কিছু অঙ্গুলি করব আমাদের ভালুকার তথাকথিত উচ্চ-শিক্ষিতদের চেতনায় উনাদেরকে এইজন্য উচ্চশিক্ষিত বললাম কারণ ফেসবুকে এদের আনাগোনা অনেক বেশি টুইটার ইনস্টাগ্রাম অথবা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় এদেরকে পাওয়া যায় না। কি জন্য তা ঠিক আমার বোধগম্য হয় না যাই হোক যে প্রসঙ্গে আসছিলাম এই জাতীয় প্রাণী গুলি প্রশাসনের লোকদের নিয়ে এত বেশি তোষামোদিতে ব্যস্ত থাকে এদেরকে আসলে মানব সমাজে কোন স্তরে রাখা যায় যারা শেষ পর্যন্ত পড়বেন তারাই বিবেচনা করবেন।

ফেসবুকে ইদানিং প্রশাসনের কয়েকজন কর্তাব্যক্তির এমনি কোন বার্তা প্রকাশ হলেই তা অর্থবহ হোক আর না হোক এমন কিছু ব্যক্তি আছেন যারা লাইক শেয়ার করার জন্য যেন অপেক্ষায় থাকেন কখন আইডি থেকে কিছু একটা পোস্ট হবে আর উনি সবার আগে ওর মধ্যে লাইক অথবা কমেন্ট অথবা শেয়ার করে কর্তাব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন আমি আপনার সর্বোচ্চ শুভাকাঙ্ক্ষী। একটি উদাহরণ দিব কারণ ওই একটি পোস্ট আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল এবং কি আমি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছিলাম এবং পোস্ট কর্তাকে পোস্টটিতে আমি সাধুবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু আমার এখনকার কথা সেই পোস্ট নিয়ে নয় তবে ঐ পোষ্টের কিছু কর্মকান্ড নিয়ে আমি দুটো কথা বলতে চাচ্ছিলাম পোস্টটি ছিল ভালুকার একজন উর্দ্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওই পোস্টটি কর্মকর্তা যদি অত্যাধিক পারদর্শী হয়ে থাকে বাংলা টাইপিং এ তারপরেও আমার মনে হয় ত্রিশ মিনিটের উপর সময় নিয়েছেন তিনি লিখাটি লিখতে তারপর ফেসবুকের টাইমলাইনে লেখাটি শেয়ার করেন। আমার দৃষ্টিতে পোষ্টটি আসে লেখাটি আমি পড়তে এবং কি আমার নিজেকে বুঝাতে পনের থেকে বিশ মিনিট সময় লাগে । লেখা টি পড়ে এবং নিজেকে বুঝে লাইক বাটনটিতে যখন আমি ক্লিক করতে যাব সেখানে আমার পূর্বেই দুই শতাধিক এর অধিক লাইক এবং গোটা পঞ্চাশেক মন্তব্য ("অভিনন্দন স্যার" "শুভেচ্ছা স্যার" "খুব ভালো হয়েছে স্যার") ব্যক্তি করে রেখেছেন। ততক্ষণে লেখাটির বয়স ফেসবুকে বিশ মিনিটের বেশি হবে না আর যারা লেখাটিকে লাইক করেছেন অথবা শেয়ার করেছেন সবাই ভালুকার বাসিন্দা ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ একজন যারা আমার মত একটুখানি স্বঘোষিত ঘাড়তেড়া তারা এখানে কি মন্তব্য করতে পারে। ছোট্ট একটি প্রশ্ন শিক্ষিত সমাজকে আপনি কোথায় লাইক মন্তব্য শেয়ার করছেন অন্তত একবার পড়ে তারপরে তো করুন যে লেখাটা লিখতে ত্রিশ মিনিট সময় হয়তো একজন ব্যক্তি ব্যয় করেছে আপনি সেকেন্ডের মধ্যে তাকে কি করে উত্তম লেখা অথবা খারাপ লেখা বলে বিবেচনা করতে পারেন?

আমরা অনেকটাই হুজুগে বাঙালি তা না হলে কিছু বলার আগে হয়তো চিন্তা করতাম গত কয়দিন যাবত একজন বৃদ্ধের ছবি যার ক্যাপশনে লেখা আছে ভিখারি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রচার চলছে দানভীর ভিখারী হিসেবে যিনি নিজের ভিক্ষার ১০০০০ টাকা একজন ডিসির কাছে হস্তান্তর করেছেন দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অসহায় দুঃখীদের সাহায্যার্থে। নিঃসন্দেহে ভালো কাজ এর চেয়ে ভাল কোন কাজ হতে পারেন কিন্তু প্রথমেই বলেছি আমি কে? স্বঘোষিত ঘাড়তেড়া কিছুটা তো অন্য রকম দৃষ্টিতে আসবেই আর তাই নিয়ে দুটি কথা বলতে চাচ্ছিলাম কেউ কিছু মনে করবেন না কারণ চেতনায় অঙ্গুলি দিতে আমি উদ্যত নই।

কারো কি মনে আছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের মাস্ক কেলেঙ্কারির কথা কি করে থাকবে আমাদের দৃষ্টিতে এত বড় একটি মহান কাজ একজন ভিখারি ডিসির কাছে তার সর্বশেষ ১০০০০ টাকা দান করেছে গরিবের সাহায্যার্থে এর চেয়ে বড় কি হতে পারে আমরা পড়ে গেলাম হুজুরকে শেয়ার করতে আর তার মধ্যে চাপা পড়ে গেল লাখো কোটি টাকার কেলেঙ্কারি।এই হলাম আমরা ।

একবার চিন্তা করেছেন একজন সাধারন ভিখারি কি করে ডিসি পর্যন্ত চলে যায় ?দশ হাজার কেন আপনি এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য যান দেখেন তো যোগাযোগ করতে পারেন কিনা আর কত সময় লাগে এক জন ডিসি পর্যন্ত যেতে। একজন সাধারণ ভিখারি যে সাধারণত উপজেলা পরিষদের নির্বাহীর দরওয়াজা অতিক্রম করতে পারে না সে শেষ পর্যন্ত কি করে পৌঁছায় একজন জেলা প্রশাসকের কাছে এত সহজে একবার চিন্তা করেছেন? চিন্তা করবে।

আজ দেখলাম বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন এর মাধ্যমে গত কয়দিন আগে শ্রীপুরে ঘটে যাওয়া নিশংস চার হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা পুলিশের ভাষ্যমতে একমাত্র আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে সাধুবাদ অনেক অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশকে এত সুন্দর একটি কার্যকরী ভূমিকা এত অল্প সময়ের মধ্যে পালন করার জন্য কিন্তু ওই যে আগেই বললাম আমিতো স্বঘোষিত ঘাড়তেড়া কিছুতো অন্যদৃষ্টি চলে আসবেই যাই হোক এ বিষয়ে ছোট্ট একটি কথা ও কেন জানি মনের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে তাই বলতে চাচ্ছিলাম ।কেউ চেতনায় অঙ্গুলি দিয়েছি মনে করে ফেসবুকের ইনবক্সে অঙ্গুলি করতে আসবেন না মন্তব্যের বাক্সটি আপনার জন্য খোলা আছে।

যে ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমার বিশ্বাস সে পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট একজন মানুষ তাতে কোন সন্দেহ নেই তারপরও কথা হচ্ছে যখন একজন ব্যক্তি আর একজন ব্যক্তির জীবন নিতে যাবে তখন সে পাল্টা আঘাত করবে এটাই স্বাভাবিক যে চার জন ব্যক্তি কে আটককৃত ব্যক্তি নিশংস ভাবে খুন করেছে তাকে দেখে মনে হয় তার দ্বারা এই কাজটি একা করা সম্ভব হয়েছে? এতটাই কি দুর্বল বল ছিল মৃত ব্যক্তিরা যারা একেবারেই কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। একজন মহিলাকে এরকম একজন ব্যক্তি ধর্ষণের পর গলা কেটে খুন করেছে একা কতোটুকু বিশ্বাসযোগ্য?হয়ত আটককৃত ব্যক্তির সুপার পাওয়ার আছে! তা ছাড়া কি করে সম্ভব? আপনারা তো সহজ সরল মানুষ ঘাড়তেড়া নন একবার চিন্তা করে দেখুন।
কিছু বলতে গেলেই লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়ে যায়, চলো তাই আর আজ কিছু বলবো না কারো চেতনায় আঙ্গুলি ও দেবো না তবে শেষ লাইনটি কোন বিখ্যাত মনীষীদের কথা নয় ক্ষুদ্র এই মানবের ছোট্ট একটি কথা মনে রেখো চেতনাধারি "যাকে ভালো লাগে তাকে হৃদয়ের সর্বোচ্চ স্থানে রাখি যাকে ভালো লাগে না সে আমার চিন্তার মধ্যেও থাকে না"।-(হাজী সানি)Facebook Timeline Post  April 27 . at 09:00am • 2020 •

**জীবনটা সত্যি বড়ই অদ্ভুত এক রঙ্গমঞ্চ আর এই রঙ্গমঞ্চের এক বিশেষ কিরদার মানুষ যার রং বদলায় প্রতিটি ধাপে ধাপে । যারা ভালো ভাবে নিজ কিরদার করতে পারে তারাই টিকে থাকে আর যারা কিরদার করতে পারেনা তারা পথ হারিয়ে ফেলে রঙ্গমঞ্চে। এই রঙ্গমঞ্চের যোদ্ধে টিকে থাকার জন্য চাই ভাগ্য,যাদের ভাগ্যের চাকা মজবুদ তারা খুব দ্রুত সামনে এগুতে পারে আর যার ভাগ্যের চাকা নড়বরে তার সামনে আগানোর শুধু চেষ্টায় করে । এই রঙ্গমঞ্চে যখন খুব ছোট ছিলাম, চারপাশের জগতটা কতইনা রঙীন ছিল,দেখতাম কত রঙীন স্বপ্ন আর এখন স্বপ্নগুলো সব ফ্যাকাশে হয়ে গেছে রঙ্গমঞ্চে সুনিপূণ কিরদার করতে করতে মিথ্যে চরিত্রের মেক-আপ নেওয়া মুখটার ভেতরের আসল মুখটা উন্মুখ হতে প্রায় অস্থির হয়ে ওঠে কিন্তু মানা কিরদার থেকে বাহিরে আসা।

ভালোবাসাটা কেন জানি আজ মনে হয় বর্ণহীন হয়তো নয় হয়তো রক্তহীন তাও হয়তো নয় হয়তো আবেগহীন যার জন্য হয়তো এখন আর নীল কষ্ট গুলি সেইভাবে আচার খায় না মনের মধ্যে। প্রশ্নগুলি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আগেই যেন নিষ্ঠুরতার প্রখর খরতাপে নিষ্পেষিত হয়ে যায় তাই হয়তো ভাসমান জীবনে বর্ণহীনতার গল্প কাহিনী স্পষ্ট হয়ে ওঠে না। ভাষাহীন কষ্টগুলি স্বচ্ছ জলের মতো কান্না হয়ে যখন দৃষ্টিতে আসে তার উত্তাপ শুধু সেই চোখ উপলব্ধি করে যার মধ্যে দিয়ে সে বাহিত হয়, কান্নার বর্ণ স্বচ্ছ হলেও তারমধ্যে জ্বালাময়ী দক্ষতা বর্ণবিহীন।

স্মৃতি কষ্ট দেয়, কাঁদায়, স্বপ্ন নতুন কিছুর জন্য উৎসাহ দেয়। স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক উত্তম ।স্বপ্ন নিয়ে সেরা বাক্য গুলো বাছাই করতে গিয়ে ঘুমের সাথে যথেষ্ঠ কষ্ট করতে হয়েছে কারণ, স্বপ্ন দেখা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন হালকা ঘুমের স্বপ্নগুলি হয় হাল্কা,অস্পষ্ট কিছু লজিকবিহীন এলোমেলো ছবি, গাঢ় ঘুমের স্বপ্ন-স্পষ্ট, যুক্তিনির্ভর।কিন্তু আমারতো সম্পুর্ণ উল্টা পাল্টা আমিত খুলা চোখেই স্বপ্ন দেখি!

পৃথিবীর সব সফল ও জ্ঞানী মানুষই সুন্দর সুন্দর উক্তি করেছেন স্বপ্ন সম্পর্কে ,উক্তি গুলোর বেশিরভাগই দারুন উৎসাহমূলক।কিন্তু আমার খুলা চোখের স্বপ্ন বাছতে গিয়ে আজ এক মধুর সমস্যায় পড়ে গেছি কোনটা ছেড়ে কোনটা নেব – এমন অবস্থা।আসলে যে কোনও সাফল্য বা অর্জনের মূলেই থাকে একটা আকাঙ্খা বা স্বপ্ন। এটাই আসলে মানুষকে দিয়ে পরিশ্রম করায়, এটাই মানুষকে অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা করতে উৎসাহ দেয়। যার মাঝে স্বপ্ন নেই তার মাঝে আসলে আশা বা উৎসাহ নেই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা, ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস, ছোট অবস্থায় থেকেও জীবনে বড় অর্জন করার সংকল্প – সবকিছুই উৎসই আসলে এটি।

এগিয়ে যেতে চেষ্টা করতে থাকি থেমে যেন না যায় মন্দ আচরণ পরিত্যাগ করতে থাকি ,এসব করে চেষ্টা যদি ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস, ছোট অবস্থায় থেকেও জীবনে বড় অর্জন করার সংকল্পে প্রতিযোগীতার প্রেরণা সৃষ্টি হয় তবে, জরুরী শর্ত একটাই,যারা আমার পথের পথিক, তাদের প্রতি পরামর্শ হলো- বিশ্বাস কথাটিকে জীবন ডাইরীতে আস্তে আস্তে সংযুক্ত করার চেষ্টা কর। 'অনুমান'- 'ধারণা' বা 'আপাত ধারণা, মানা বা জানা - এইরূপ অন্যান্য কথা ব্যবহার করা থেকে একটু সরে এসে তার জায়গায় তাকে বিশ্বাস করি ব্যবহার শুরু করা। তার উপর আমার আপাত আস্থা বা আপাত ভরসা আছে না মনে করে –এক্ষেত্রে, বলতে পারো, তার উপর আমার বিশ্বাস আছে ।

"বাংলা সাহিত্যের সংলাপ প্রধান নতুন শৈলীর জনক এবং আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন- যদি কাউকে ধোকা দিতে পারো, তাহলে ভেবোনা সে বোকা ছিলো। মনে রেখো সে তোমাকে বিশ্বাস করেছিলো, যার যোগ্য তুমি ছিলে না।" চেষ্টা কর যেন পবিত্র হতে পার, কারণ মানুষ পবিত্রতাকে তখনই পেতে পারে যখন সে নিজে পবিত্র হবে । তখনই অপবিত্র হতে মুক্ত হবে যখন অন্তর দৃঢ় প্রত্যয় দ্বারা নিজের স্বপ্নের প্রতি বিশ্বাসী হবে।কাউকে বিচার করার পূর্বে তার দৃষ্টিকোনটি দেখার চেষ্টা করি।- (হাজী সানি)Facebook Timeline Post- May 24 at 1:24 pM •2020



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই