তারিখ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রমনা বটমূলে বোমা হামলার ২১ বছর

রমনা বটমূলে বোমা হামলার ২১ বছর,শেষ হয়নি মামলার বিচার
[ভালুকা ডট কম : ১৪ এপ্রিল]
রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সংঘটিত বোমা হামলা মামলা। বিচারাধীন মামলাটি বিচারকার্য কবে শেষ হবে তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। যদিও রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, সব আশঙ্কা কাটিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে।

আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞা বলেছেন, কোভিডসহ অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে এসেছে। আশা করছি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে দ্রুতই এ মামলার রায় হবে।আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক মামলাটি শেষ পর্যায়ে এসেছে। আমরাও চাই, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে দ্রুত এ মামলার বিচারকাজ শেষ হোক।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের সকালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে আগে থেকে পুঁতে রাখা দু’টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে একটি এবং ১০-১৫ মিনিট পর আরেকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই সাতজন প্রাণ হারান এবং ২০-২৫ জন আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন। পরে ১৪ জনকে আসামি করে দু’টি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

বিস্ফোরক আইনের মামলাটি চার্জশিট হওয়ার পর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এক এবং হত্যা মামলাটি তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দু’টি মামলা যেহেতু একই ঘটনার, তাই ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলা দু’টি একই ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠান। কিন্তু রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে চার বছর কোনো নির্দেশনা না আসায় বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার স্থগিত ছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

দু’টি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার রায় হয় ২০১৪ সালের ২৩ জুন। রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া  মামলাটি বর্তমানে  ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছর ২১ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট সাক্ষী ৮৪ জন। যার মধ্যে ৫৪ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর গত ৩ এপ্রিল কারাগারে থাকা আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।

আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে গত ১০ এপ্রিল মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ছিল। তবে ওইদিন আসামি আসামি আরিফ হাসানের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফকে পুনরায় জেরার আবেদন করেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য সময় আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই