তারিখ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় কলেজ ফান্ডের টাকা লোপাট করলেন ইউএনও

নওগাঁয় বাবদ ছাড়াই কলেজ ফান্ডের খরচ দেখিয়ে লাখ টাকা লোপাট করলেন ইউএনও
[ভালুকা ডট কম : ২২ মার্চ]
বাবদ (বিবরণ) ছাড়াই নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর মহিলা কলেজের ফান্ড থেকে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ কলেজের বিগত দুই অধ্যক্ষের সময় এই খরচ দেখিয়েছেন। কলেজের সভাপতির দায়িত্বরত সময়ে তিনি ক্ষমতার ব্যবহার দেখিয়ে এমন কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে দায়িত্বরতদের মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এদিকে বিষয়টি সুরাহার পূর্বেই তার বদলি হয়ে যান বগুড়ার আদমদীঘিতে। বর্তমানে তিনি সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেছিলেন রুমানা আফরোজ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী উপজেলার নজিপুর মহিলা কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব ইউএনও’র। কিন্তু নজিপুর মহিলা কলেজে তিনি সভাপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রথম দফায় খরচ দেখানো হয়েছে ১লাখ ৯১হাজার টাকা। যখন ওই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন নূর উদ্দিন। দ্বিতীয় দফায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব (২২ সালের ১অক্টোবর ২৩ সালেন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) যখন সাবিনা ইয়াসমিন ছিলেন, তখন ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। আর এভাবেই বাবদ ছাড়াই কলেজের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে ৮লাখ ৪২হাজার টাকা খরচ দেখিয়েছেন। যে খরচে রেজুলেশনে নেই কোনো বাবদ। নেই কোনো সুনির্দিষ্ট খরচের ভাউচার বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। তবে নিয়ম অনুসারে হিসাবের পরিপূর্ণতার জন্য আয় ও ব্যয়ের খরচ বিস্তারিত উল্লেখ ও ব্যয়ের বিবরণ দাখিল করতে হয়।

অপরদিকে ঘটনাটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ অশ্বিনী কুমারের মাধ্যমে জানার পর খরচের বাবদ না থাকায় রেজুলেশনের অনুমোদন দেননি সদ্য বদলী হওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার। তিনিও গত বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ বদলি হয়েছেন। এতে করে কয়েকমাস শিক্ষকদের বেতন ভাতা সহ মাসিক খরচ আটকে ছিলো। আর এমন খরচ নিয়ে উঠে প্রশ্ন? এদিকে পত্নীতলা থেকে রুমানা আফরোজ বদলির পূর্বে সরকারি খরচে ক্রয় করা ইউএনও'র বাসভবনে লাগানো বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা ও পরিষদের পুকুর থেকে মাছ তুলে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার কর্মচারীরা।

বাবদ ছাড়া ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা খরচ দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নজিপুর মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সাবিনা ইয়াসমিন মুঠোফোনে বলেন, বাবদ ছাড়া কোনোদিন খরচ হয় না। আপনাকে যে বলেছে সে ভুল বলেছে। এক টাকা খরচ হলেও সেটার ভাউচার ও বাবদ থাকে। এছাড়া এই খরচের বিষয়ে অডিট হয়েছে এবং মিটিং এ পাশ হয়েছে বলে জানান তিনি। অপরদিকে সাবেক অধ্যক্ষ অবসরে যাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বর্তমান নজিপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অশ্বিনী কুমার জানান, ২৩ সালের ১অক্টোবর থেকে আমি এই কলেজের দায়িত্ব পেয়েছি। রেজুলেশনে দুই দফায় খরচ দেখানো আছে, কিন্তু আমার জানামতে সেখানে বাবদ নেই। ওই রেজুলেশনে আমি স্বাক্ষরও দেয়নি। টাকা উত্তোলনের নিয়ম জানতে চাইলে তিনি জানান, সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা তুলতে হয়।

পত্নীতলা সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, কলেজের বিষয়ে তিনি প্রশাসনিক শাখায় খোঁজ নিতে বলেন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেসা করতে গণমাধ্যম কর্মীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি।

পত্নীতলা সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার জানান, এখানে আসার পর কলেজের বিষয়টি জানতে পারি। রেজুলেশনটি আমার কাছে অসংগতি মনে হয়েছে। সেজন্য আমি স্বাক্ষর দেয়নি। আমি গত সপ্তাহে বদলি হয়ে চলে এসেছি। বিস্তারিত জানতে কলেজে গিয়ে তদন্ত করতে বলেন তিনি।

বর্তমান পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পপি খাতুন জানান, কয়েকদিন হলো আমি এখানে এসেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই