তারিখ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সিরাজগঞ্জে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে প্রশিক্ষণ

সিরাজগঞ্জে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
[ভালুকা ডট কম : ১৫ ফেব্রুয়ারী]
তথ্য নির্ভুলভাবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ও বিধির প্রয়োগ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রেজিষ্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতা ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ রাশেদুল হাসান।

এসময় প্রধান অতিথি বলেন, জন্ম নিবন্ধন সনদ হলো একজন ব্যক্তির জীবনের প্রথম ডকুমেন্ট, যা একজন শিশুর রক্ষাকবচ হিসেবেও কাজ করে সারাজীবন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুসারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, মা-বাবার নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত রেজিস্ট্রারে লেখা বা নিবন্ধত করাই হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন। মৃত্যু নিবন্ধন হলো, মৃত ব্যক্তির নাম, মৃত্যুর তারিখ, মৃত্যুর স্থান, লিঙ্গ, পিতা-মাতা, স্বামী বা স্ত্রীর নাম নিবন্ধিত করা বা রেজিস্ট্রারে লেখা।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট করা, সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, জমি রেজিষ্ট্রি, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি-রপ্তানি লাইসেন্স, গ্যাস, পানি, জমি রেজিষ্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বিশেষ প্রয়োজন।

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর জন্ম গ্রহণের পর জন্ম নিবন্ধন করার তার অধিকার রয়েছে। একই সাথে ঐ শিশুর জাতীয়তা অর্জন, নামকরণ এবং পিতা-মাতার পরিচয় জানার এবং পাওয়ার অধিকার আছে। এসময় একজন মানুষের জন্ম সনদের বিষয়ে গুরুত্ব বিবেচনা করে আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে জন্ম নিবন্ধন ফরম পুরণ করার জন্য সকল ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও অফিস সহকারীদের পরামর্শ দেন তিনি।

সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী রেজিস্ট্রার জেনারেল সামিউল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মাসুম বিল্লাহ, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪১জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও অফিস সহকারীগণ ছাড়াও পৌরসভার স্যানেটারী ইসপেক্টরগণ উপস্থিত ছিলেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই