তারিখ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বায়ুদূষণে শীর্ষে গাজীপুর

বায়ুদূষণে শীর্ষে গাজীপুর
[ভালুকা ডট কম : ০৩ ফেব্রুয়ারী]
৬৪ জেলার মধ্যে বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে গাজীপুর। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা শহর। বাংলাদেশের বায়ু দূষণ প্রসঙ্গে স্টামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বায়ুমান সমীক্ষা ২০২১-শীর্ষক বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এ গবেষণা প্রতিবেদনে  বলা হয়েছে,  দেশের মাত্র ১০টি জেলায় বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার মধ্যে রয়েছে। ২০২১ সালে সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে মাদারীপুরে।দেশের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তিন শহর -  ঢাকা, গাজীপুর  এবং নারায়াণগঞ্জ বায়ুমান সুচক পাওয়া গেছে আদর্শমানের চেয়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। গবেষকরা বলেন, মূলত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কার কাজ, আশপাশের প্রায় ১২০০ ইটভাটা, ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্প কারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো এ শহর তিনটির বায়ু দূষণের মূল কারণ।

গবেষণার তথ্যানুযায়ী চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জ।  অন্যদিকে সবচেয়ে কম দূষিত শহরের মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর যার বায়ুমান ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৪৯ দশমিক শূন্য ৮ মাইক্রোগ্রাম। মাদারীপুরের পরের অবস্থানে রয়েছে পটুয়াখালী ও মেহেরপুর। বায়ুদূষণ কম হওয়ার কারণ হিসেবে এসব এলাকার গাছপালার আধিক্য ও প্রাকৃতিক জলাধারের কথা উল্লেখ করেছেন গবেষকরা।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। তিনি বলেন, তাদের গবেষণা অনুযায়ী গত বছর বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ২ দশমিক ৫ এর গড় উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১০২ দশমিক ৪১ মাইক্রোগ্রাম যা দৈনিক আদর্শ মানের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৫৭ গুণ বেশি।

অধ্যাপক মজুমদার আরো বলেন, ৬৪টি জেলার মধ্যে কেবল ১০ জেলায় বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার মধ্যে ছিল। এই জেলাগুলোর অবস্থান নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায়। তিনি বলেন, বৃষ্টি, প্রাকৃতিক জলাধার ও সবুজায়ন সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের বায়ুদূষণ প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের সমন্বিত, বিজ্ঞানভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কোনো ধরনের পদক্ষেপই দেখা যায়নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত  প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম বলেন- বায়ুদূষণ একটি অন্যতম নেতিবাচক প্রভাব হল প্রজননে নানা বিপত্তি। নারী- পুরুষ উভয়ের বন্ধ্যাত্বের জন্য অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ২.৫ দায়ী। এছাড়া বায়ুদূষণের প্রতিক্রিয়ায়  গর্ভপাত, জন্মগত ত্রুটি, গর্ভাবস্থায় শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা- এ সব জটিলতার সৃষ্টি  হয়। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জাতীয় বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই