তারিখ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে পোল্ট্রির বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে খালের পানি-পরিবেশ

ক্ষতি হচ্ছে ৬’শ বিঘা জমির ধান চাষ
শ্রীপুরে পোল্ট্রির বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে খালের পানি-পরিবেশ
[ভালুকা ডট কম : ২৬ ডিসেম্বর]
পোল্ট্রির বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে খালের পানি। দূর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। বর্জ্য পানিতে  নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধশত বিঘা জমির উর্বরতা। খালের পানি ধূষণের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ৬’শ বিঘা জমির বোরো ধান চাষ। এমন অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের বাউনী গ্রামের প্যারাগণ পোল্ট্রি ফার্মের বিরুদ্ধে। বারবার এলাকাবাসির  অভিযোগের তদন্ত হলেও অজ্ঞাত কারণে নেয়া হয়না কোন ব্যবস্থা। ক্ষোব্ধ হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।

শনিবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে এলাকাবাসির অভিযোগের তদন্ত করে। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,৮/১০ বছর আগে মুরগী পালনের নাম করে ফার্মের যাত্রা শুর হয়। ক্রমেই এলাকাবাসির কাছে কর্তৃপক্ষের আসল রুপ প্রকাশ পায়। ফার্মের আকার সম্প্রসারণ করে শুরু করে মুরগী পুরানো, জৈব সার উৎপাদন। খামারের বর্জ ও দূষিত পানি কোন প্রকার পরিশোধন না করেই ফেলা হয় খালে। মরা মুরগী পুরানোর জন্য ব্যবহার করা হয়না কোন চিমনি। এলাকাবাসির অভিযোগ উন্মোক্ত ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করে মুরগী পুরানোর কারণে দূষিত ধূঁয়া ও দূর্ঘন্ধে আশপাশ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফার্মের দূষিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য কোন প্রকার পরিশোধন না করেই ফেলা হচ্ছে খালে। ফলে পারুলী নদীর শাখা বাউনী গ্রামের শেড়ার খালের পানি সম্পূর্ণ ভাবে দূষিত হয়ে গেছে। মরে গেছে খালের মাছ, পোকা মাকরসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী।

স্থানীয় কৃষক আ.হালিম ও হারুন জানান,ফার্মের বর্জ্য ও দূষিত পানি নিষ্কাষণের কোন ড্রেন নেই। দূষিত পানি ধানের জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে প্রায় অর্ধশত বিঘা জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব জমিতে ধান রোপন করলে ধানের শিষ বের হলেও চুচা হয় চাল হয় না। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ ফার্মের দূষণের শিকার হচ্ছেন। কতৃপক্ষের সাথে যাগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পায় না। ফার্মের বর্জ্য ও দূষিত পানি ফেলা হয় সেড়ার খালে। খালের পানিতে সেচ দিয়ে বাউনী,চাওবন, ডুয়াই বাড়ি গ্রামের কৃষকরা প্রায়  ৬’শ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতো। কিন্তু খালের পানি দূষিত হওয়ায় এখন ৬’শবিঘা জমিতে ধানচাষ বন্ধ গেছে।

গ্রামবাসিরা আরও জানায়, বারবার তারা এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তদন্তও আসে। পরে এবিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। এতে করে চার পাশের মানুষ ক্রমেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে।  প্যারাগন পোল্ট্রি এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান এলাকা বাসির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফার্মের বর্জ্য ও পানি সরাসরি খালে ফেলা হয়না। ফার্মের ভিতরে পুকুর রয়েছে । ওই পুকুরে পানি ফেলা হয়। কিছু পানি লিকেজ দিয়ে বের হয়ে খালে পরে। পানিতে নিয়মিত ঔষধ ও চুন দেয়া হয়। জৈব সার উৎপাদনের কারণে কিছু র্দূগন্ধ হয়। খুবদ্রুতই আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা হবে। 

শনিবার (২৫ডিসেম্বর) বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোসর্মেন্ট উইং এর উপপরিচালক সৈয়দ আহামদ কবিরের নেতৃত্বে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের রিচার্জ অফিসার আশরাফ উদ্দিন,সহ কারী পরিচালক মো.মমিন ভূইয়াসহ কর্মকর্তাগন সরেজমিনে এলাকা বাসির অভিযোগ তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপপরিচালক সৈয়দ আহামদ কবির জানান, এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছেন। কিছু অশংগতি আছে। তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পরিবেশ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই