তারিখ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

যন্ত্রে ধানগাছ রোপণ করছে রাণীনগরের কৃষক

যন্ত্রে ধানগাছ রোপণ করছে রাণীনগরের কৃষক
[ভালুকা ডট কম : ২৬ জানুয়ারী]
নওগাঁর রাণীনগরে এই প্রথম যন্ত্রের মাধ্যমে ধানগাছ রোপণ করছেন কৃষকরা। দেশের পুরাতন কৃষিকে আধুনিকায়ন ও সময় উপযোগী করার জন্য ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে ধান কর্তন পর্যন্ত এবং ধান মাড়াই করা সকল কার্যক্রম কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি াপিস সূত্রে জানা, সরকারের প্রদেয় পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপজেলার পুরাতন আমলের কৃষকদের ডিজিটালে রূপান্তরিত করতে কাজ করে আসছে কৃষি বিভাগ। দিন দিন উপজেলার কৃষকরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকরণ যুগে প্রবেশ করছে। প্রতি মৌসুমেই উপজেলার কৃষকরা সরকারের প্রদান করা ভর্তুকিতে পাওয়া বিভিন্ন কৃষি যন্ত্র পাচ্ছেন এবং সেই কৃষি যন্ত্রগুলো নিজেদের ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিয়ে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপকে কৃষকরা সফল করছেন। সম্প্রতি উপজেলার একডালা ইউনিয়নে হাইব্রিড বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনীর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে জমিতে ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম, কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, একডালা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান আলী, কৃষক মোজাম্মেল হক, খাইরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, তোজাম্মেল হক, মামুন হোসেন প্রমুখ।

একডালা গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক, মামুন হোসেনসহ অনেকেই জানান আমরা সরকারের কৃষি যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্র পেয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছি। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকদের সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাচ্ছি। দিন যতই যাচ্ছে ততই কৃষি শ্রমিকদের সংকট প্রকট হচ্ছে। এমন সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধান রোপণ, কাটা ও মাড়াইয়ের মেশিনগুলো মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। এতে করে আমরা কৃষকরা নানা ভাবে উপকৃত হচ্ছি। পুরাতন কৃষিকে ডিজিটালে পরিণত করতে আগামীতেও আমরা উপজেলার কৃষকরা আরো সহজে সরকারের পক্ষ থেকে এমন সহযোগিতা বেশি বেশি করে পেতে চাই।    

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাজানা হক বলেন কৃষি যান্ত্রিকরণের প্রতি কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতেই এই প্রথম কৃষি বিভাগের নিজ উদ্যোগে একডালা ইউনিয়নের ৬০জন কৃষকের দেড়শত বিঘা জমিতে ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ করে দেওয়া। এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্যান্য কৃষকদের যন্ত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যদি কৃষকরা তার কৃষি খামারে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষিকাজ করে তাহলে কৃষক শ্রমিক সংকট কাটিয়ে কৃষি পেশাকে আরো আধুনিক, লাভজনক, বাণিজ্যিক ও যান্ত্রিক কৃষিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন প্রতি মৌসুমে সরকারের ভর্তুকিতে প্রদান করা জমি চাষের জন্য সিডার মেশিন, ধান মাড়াই মেশিন, গার্ডেন ট্রেইলার, হার্ভেস্টার মেশিসসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র বিতরণ কার্যক্রমও অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমি শতভাগ আশাবাদি এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষকরা দ্রুতই আধুনিক কৃষিতে পরিণত হয়ে যে কোন ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতির চাঁকাকে আরো চাঙ্গা করতে সক্ষম হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই